কোনো রকম আগাম তথ্য না দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত গজলডোবা ব্যারাজের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রূম ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, এই বিপুল পরিমাণ পানি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানা ছিলো না। পানি আগ্রাসী ভারত বরাবরই বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে চলেছে।
১৯৯২ সালের ২৬ জুন ভারত সরকার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলবাসীর যাতায়াতের জন্য শুধু মাত্র দিনের বেলা এক ঘণ্টা পরপর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করিডোরের গেট খুলে রাখার সিন্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে করিডোরের গেট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা খুলে রাখার ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের ২২ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ তিনবিঘা করিডোর। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেয় ভারত। দুদেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো ভারতীয়দের দখলে রয়েছে করিডোর।
দহগ্রাম ভারত বেষ্টিত, সেখানে যাতায়াতের একমাত্র পথ তিনবিঘা করিডরের দশ ফিটের রাস্তা। আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে ভারত সেখানে জিরো লাইন বরাবর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে এবং সেই বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছে মদের বোতল।