চার সপ্তাহের বিরতির পর শনিবার আবার ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা শুরু করেছেন অভিবাসীরা। এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় দেশটিতে অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক আলোচনা ও বিতর্ক নতুন করে জোরদার হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই ধরনের পারাপারকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। লন্ডন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক এই দীর্ঘ বিরতির পেছনে প্রধান কারণ ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। গত সাত বছরে এটিই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ সময়, যখন কোনো ছোট নৌকা ব্রিটেনের উপকূলে পৌঁছায়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৪ নভেম্বরের পর টানা ২৮ দিন দক্ষিণ ইংল্যান্ডের উপকূলে কোনো অভিবাসীবাহী নৌকার দেখা মেলেনি। সর্বশেষ ওই দিন ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল থেকে অভিবাসীরা ব্রিটেনের দক্ষিণ উপকূলে পৌঁছান।
শনিবার চ্যানেলে একাধিক ছোট নৌকা দেখা গেলেও সেদিন কতজন অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বর্তমানে দেশটির অন্যতম বড় রাজনৈতিক ইস্যু। এই বিষয়টি অভিবাসনবিরোধী রাজনীতিক নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরটি ২০১৮ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর থেকে ছোট নৌকায় অভিবাসী আগমনের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বছর হতে যাচ্ছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ এই পথে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন, যাদের একটি বড় অংশ সংঘাত ও সংকট থেকে পালিয়ে আসা।
এই সংখ্যা ২০২৪ সালের মোট সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেলেও ২০২২ সালের রেকর্ড ৪৫ হাজার ৭৭৪ জনের তুলনায় কম। সে সময় দেশটিতে কনজারভেটিভ সরকার ক্ষমতায় ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রসচিব অবৈধ অভিবাসন রোধে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্কার উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন, যার লক্ষ্য অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসার প্রণোদনা কমানো এবং যাদের থাকার বৈধ অধিকার নেই, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।
এসআর

