নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুদান গুরুং ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগামী মার্চ মাসের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আন্দোলন “জনগণের সরকার” গঠনের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সান্দ্রা গ্যাথম্যানকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গুরুং বলেন, তাঁর দল প্রচলিত রাজনৈতিক দলের মতো নয়, বরং এটি ‘পরিবর্তনের আন্দোলন’, যা দেশব্যাপী সমর্থকদের একত্রিত করছে।
তিনি বলেন, ‘স্বার্থপর ও দুর্নীতিবাজ নেতারাই আমাদের রাজনীতিতে টেনে এনেছে। যদি তারা রাজনীতিই চায়, তাহলে সেটাই তারা পাবে। আমরা পরবর্তী নির্বাচনে লড়ব। কারণ, এখন আর পিছু হটার কোনো সময় নেই।’
সুদানের দল দুর্নীতি প্রতিরোধের বাইরেও একটি বিস্তৃত কর্মসূচিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। তারা নেপালের পর্যটন খাতকে উন্নত করা এবং ‘বাহ্যিক হস্তক্ষেপ’ ছাড়াই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরিকল্পনা করছে।
সুদান বলেন, তিনি চান না যে পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো মার্চ মাসের নির্বাচনে অংশ নিক। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে দুর্নীতি ও বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না—জানতে চাইলে সুদান বলেন, ‘আমি এখনই বলব না যে আমি সঠিক ব্যক্তি... কিন্তু যদি জনগণ আমাকে বেছে নেয়, আমি অবশ্যই নির্বাচনে লড়ব।’
তিনি জানান, তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছেন। অনেকে তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এরপরও তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমি ভয় পাই না... শুধু আমাকে হত্যা করলেই কিছু হবে না। আমাকে আমার জাতিকে বাঁচাতে হবে। কারণ, এখন না হলে আর কখনো না।’

