নিউইর্য়ক সিটির মেয়র নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে আগাম ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি। এই ভোট গ্রহণের ঠিক একদিন আগেই তাকে পড়তে হয় বিরোধী পক্ষের ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণে। মামদানির মুসলিম পরিচয়কে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘বর্ণবাদী ও ভিত্তিহীন আক্রমণের’ শিকার হতে হয়েছে তাকে। তবে এমন আক্রমণের জবাবে এক আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ব্রঙ্কসের একটি মসজিদের বাইরে বক্তৃতা দেন মামদানি। এ সময় তিনি বিরোধীদের মুসলিমবিদ্বেষীর সমালোচনা করেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, প্রতিপক্ষরা ‘ঘৃণা’কে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। বিরোধী পক্ষের এই ইসলামোফোবিয়া কেবল তাকেই নয়, বরং নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মুসলমানকেও প্রভাবিত করে।
মামদানি তার বক্তৃতায় বলেন, নিউ ইয়র্কে মুসলিম হওয়া মানে অসম্মানিত, অপমানিত হওয়া নয়। অনেক নিউইয়র্কবাসী আছেন, যারা প্রতিনিয়ত এর মুখোমুখি হচ্ছেন। এভাবে অসম্মান করা মুসলমানদের আলাদা করা যাবে না। বরং অসম্মানকে সহ্য করাই অন্যদের থেকে মুসলমানকে আলাদা করে। ৪ নভেম্বর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। এর দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে মামদানি এমন বক্তব্য দেন।
ভাষণে এই মেয়র প্রার্থী আরো বলেন, বিতর্ক মঞ্চে রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ কার্টিস স্লিওয়া তার ‘নিন্দা’ করেছেন। কারণ তিনি বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী জিহাদকে সমর্থন করেন তিনি। এ ছাড়া কিছু সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইঙ্গিত করেছেন যে, তিনি একজন সন্ত্রাসী, অথবা তারা মামদানির খাওয়ার ভঙ্গি নিয়ে উপহাস করেছে। স্লিওয়া মঞ্চে এসব বিষয় তুলে ধরেছিলেন।
মামদানি বলেন, ১/১১র পর তার খালা পাতাল রেলে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। হিজাবের কারণে সেখানে নিরাপদবোধ করতেন না তিনি। শুধু তা-ই নয়, তার এক কর্মীর গ্যারেজে স্প্রে দিয়ে ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি লেখা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তাকে অন্যরা পরামর্ম দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে জয়ী হতে হলে নিজের মুসলিম পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আনেন তিনি।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাসেম্বলির সদস্য মামদানি বলেছেন, তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে মূলত জীবনযাত্রার ব্যয়, সাশ্রয় এসব বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিয়েছেন। এখানে অন্য কোনো কিছু প্রাধান্য পায়নি। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার বিরোধীরা দেখিয়েছেন, ‘ইসলামোফোবিয়া যেন অন্যদের একমত হওয়ার একটি ক্ষেত্র হিসাবে উপস্থিত হয়েছে’।
মামদানি এমন এক সময়ে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, যখন তার শীর্ষ প্রতিপক্ষ, নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এক রেডিও অনুষ্ঠানে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যে হেসে ফেলেন। সেদিন ওই অনুষ্ঠানে রেডিও হোস্ট সিড রোজেনবার্গ বলেছিলেন, আরেকটি ১/১১র মতো হামলা হলে মামদানি ‘উল্লাস করবেন’। এ সময় কুওমো উত্তরে বলেছিলেন, এটি অনেকটি সমস্যা।
কুওমোর এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘ঘৃণ্য, বিপজ্জনক এবং অযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ সিএআইআর অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক বাসিম এলকারা। তার মতে, একজন বর্ণবাদী রেডিও হোস্টের সঙ্গে একমত হয়ে কুওমো তার নৈতিক সীমা অতিক্রম করেছেন। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে কুওমোর এমন ঘৃণাত্মক বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় তিনি মানুষকে একত্রিত করার চেয়ে তাদের মনে ভয় জাগাতে বেশি আগ্রহী।
এদিকে আগাম ভোট শুরুর আগেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস। এছাড়া নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল, কংগ্রেস ওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সও এর আগে তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে ডেমোক্র্যাটিক দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিশেষ করে সিনেটর চাক শুমার এখনো তার পক্ষে অবস্থান নেননি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৩ দশমিক দুই শতাংশ ভোটারের সমর্থনে এগিয়ে আছেন মামদানি। এর পরের অবস্থানে আছেন কুওমো ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং স্লিওয়া ১৯ দশমিক চার শতাংশ ভোটার সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে আট দশমিক চার শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা সিদ্ধান্তহীন বা অন্য প্রার্থীকে পছন্দ করেন। একই জরিপে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল প্রধান সমস্যা, জননিরাপত্তা এবং আবাসন ক্রয়ক্ষমতাও উদ্বেগের বিষয়।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে আগাম ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি। এই ভোট গ্রহণের ঠিক একদিন আগেই তাকে পড়তে হয় বিরোধী পক্ষের ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণে। মামদানির মুসলিম পরিচয়কে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘বর্ণবাদী ও ভিত্তিহীন আক্রমণের’ শিকার হতে হয়েছে তাকে। তবে এমন আক্রমণের জবাবে এক আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ব্রঙ্কসের একটি মসজিদের বাইরে বক্তৃতা দেন মামদানি। এ সময় তিনি বিরোধীদের মুসলিমবিদ্বেষীর সমালোচনা করেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, প্রতিপক্ষরা ‘ঘৃণা’কে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। বিরোধী পক্ষের এই ইসলামোফোবিয়া কেবল তাকেই নয়, বরং নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মুসলমানকেও প্রভাবিত করে।
মামদানি তার বক্তৃতায় বলেন, নিউ ইয়র্কে মুসলিম হওয়া মানে অসম্মানিত, অপমানিত হওয়া নয়। অনেক নিউইয়র্কবাসী আছেন, যারা প্রতিনিয়ত এর মুখোমুখি হচ্ছেন। এভাবে অসম্মান করা মুসলমানদের আলাদা করা যাবে না। বরং অসম্মানকে সহ্য করাই অন্যদের থেকে মুসলমানকে আলাদা করে। ৪ নভেম্বর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। এর দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে মামদানি এমন বক্তব্য দেন।
ভাষণে এই মেয়র প্রার্থী আরো বলেন, বিতর্ক মঞ্চে রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ কার্টিস স্লিওয়া তার ‘নিন্দা’ করেছেন। কারণ তিনি বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী জিহাদকে সমর্থন করেন তিনি। এ ছাড়া কিছু সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইঙ্গিত করেছেন যে, তিনি একজন সন্ত্রাসী, অথবা তারা মামদানির খাওয়ার ভঙ্গি নিয়ে উপহাস করেছে। স্লিওয়া মঞ্চে এসব বিষয় তুলে ধরেছিলেন।
মামদানি বলেন, ১/১১র পর তার খালা পাতাল রেলে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। হিজাবের কারণে সেখানে নিরাপদবোধ করতেন না তিনি। শুধু তা-ই নয়, তার এক কর্মীর গ্যারেজে স্প্রে দিয়ে ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি লেখা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তাকে অন্যরা পরামর্ম দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে জয়ী হতে হলে নিজের মুসলিম পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আনেন তিনি।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাসেম্বলির সদস্য মামদানি বলেছেন, তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে মূলত জীবনযাত্রার ব্যয়, সাশ্রয় এসব বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিয়েছেন। এখানে অন্য কোনো কিছু প্রাধান্য পায়নি। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার বিরোধীরা দেখিয়েছেন, ‘ইসলামোফোবিয়া যেন অন্যদের একমত হওয়ার একটি ক্ষেত্র হিসাবে উপস্থিত হয়েছে’।
মামদানি এমন এক সময়ে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, যখন তার শীর্ষ প্রতিপক্ষ, নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এক রেডিও অনুষ্ঠানে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যে হেসে ফেলেন। সেদিন ওই অনুষ্ঠানে রেডিও হোস্ট সিড রোজেনবার্গ বলেছিলেন, আরেকটি ১/১১র মতো হামলা হলে মামদানি ‘উল্লাস করবেন’। এ সময় কুওমো উত্তরে বলেছিলেন, এটি অনেকটি সমস্যা।
কুওমোর এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘ঘৃণ্য, বিপজ্জনক এবং অযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ সিএআইআর অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক বাসিম এলকারা। তার মতে, একজন বর্ণবাদী রেডিও হোস্টের সঙ্গে একমত হয়ে কুওমো তার নৈতিক সীমা অতিক্রম করেছেন। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে কুওমোর এমন ঘৃণাত্মক বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় তিনি মানুষকে একত্রিত করার চেয়ে তাদের মনে ভয় জাগাতে বেশি আগ্রহী।
এদিকে আগাম ভোট শুরুর আগেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস। এছাড়া নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল, কংগ্রেস ওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সও এর আগে তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে ডেমোক্র্যাটিক দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিশেষ করে সিনেটর চাক শুমার এখনো তার পক্ষে অবস্থান নেননি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৩ দশমিক দুই শতাংশ ভোটারের সমর্থনে এগিয়ে আছেন মামদানি। এর পরের অবস্থানে আছেন কুওমো ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং স্লিওয়া ১৯ দশমিক চার শতাংশ ভোটার সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে আট দশমিক চার শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা সিদ্ধান্তহীন বা অন্য প্রার্থীকে পছন্দ করেন। একই জরিপে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল প্রধান সমস্যা, জননিরাপত্তা এবং আবাসন ক্রয়ক্ষমতাও উদ্বেগের বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য গোপন অভিযান থেকে নিজেদের উপকূল রক্ষায় সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে ভেনেজুয়েলা। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো একথা জানান। সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৩৯ মিনিট আগে
যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও গাজার একটি অংশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। তার দাবি, চুক্তি অনুযায়ী গাজা উপত্যকার এই অংশটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গাজার আকাশে নজরদারি ড্রোন ওড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকে ঘিরে মালেয়েশিয়ায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ট্রাম্প বিরোধী মোটরসাইকেল র্যালি থেকে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা রাত প্রায় ১০টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল র্যালি করে।
৩ ঘণ্টা আগে