তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, শীতের আগেই গাজার অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি জানান, তুরস্ক ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করবে। দেশটির গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “শীত শুরু হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। গাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় থেকে উদ্ধার করে তাদের সম্মানজনক জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরাইল গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এর পুনর্গঠন অবিলম্বে শুরু করা জরুরি।”
গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এরদোয়ান বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এখন মুসলিম বিশ্ব ও মানবজাতির জন্য বড় এক পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। মানবিক প্রবেশাধিকার এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে ইসরাইলকে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।”
গাজার অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা উচিত; এর লঙ্ঘন অনুমোদন করা যাবে না।”
এরদোয়ান জানান, তুরস্ক ইতিমধ্যে গাজায় সাহায্য পাঠানো শুরু করেছে। “আমরা যে সাহায্য ট্রাক পাঠিয়েছি, তা এখন গাজায় পৌঁছাতে শুরু করেছে। আগামী দিনে আমাদের প্রচেষ্টা আরও ত্বরান্বিত হবে। খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
এরদোয়ান আরো বলেন, “আমাদের বিবেক আমাদের নীরব থাকতে দেয় না। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের জন্য কথা বলব, কাজ করব এবং সর্বোচ্চ সহায়তা করব।”


আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ নয়, আংশিকভাবে ‘স্থগিত’
গাজায় গণহত্যা বন্ধে সকল প্রচেষ্টাকে তুরস্ক সমর্থন করে: এরদোয়ান