নদীতে পাওয়া গেলো দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকের লাশ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৭

দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিক রাজীব প্রতাপের (৩৬) লাশ গত রোববার ভারতের উত্তরাখন্ডে একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ‘দিল্লি উত্তরাখন্ড লাইভ’ নামে একটি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল চালাতেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার বলছে, রাজীব নিয়মিত দুর্নীতি নিয়ে খবর করতেন। মৃত্যুর আগে সর্বশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেদিনই তার গাড়িটি ভাগীরথী নদীর কাছে পাওয়া যায়। এর ৯ দিন পর রাজীবের লাশ নদীর ভাটিতে যোশিয়ারা জলবিদ্যুৎ বাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবার বলছে, এটি ‘হত্যাকাণ্ড’।

রাজীবের স্ত্রী মুসকানকে উদ্ধৃত করে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন, একটি হাসপাতাল ও একটি স্কুল নিয়ে তার করা প্রতিবেদনের (যা তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছিলেন) পর তিনি অস্বস্তিতে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অনেকে তাকে ফোন করে ভিডিওগুলো সরিয়ে না নিলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আমি একটি মেসেজ পাঠাই, কিন্তু সেটি ডেলিভারি হয়নি। তাকে কেউ অপহরণ করেছে। আমি নিশ্চিত, তিনি শুধু রাস্তা থেকে পড়ে যাননি।’

রাজীবের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে উত্তরাখন্ডের একটি হাসপাতালে মদ্যপানের ঘটনা ও হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ছিল।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সাংবাদিক রাজীবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এ ঘটনার স্বচ্ছতা দাবি করেছে।

দ্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব জার্নালিস্টস, দ্য দিল্লি ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস ও কেরালা ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (দিল্লি ইউনিট) সবাই হত্যাকাণ্ডের জরুরি তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টের ভারত প্রতিনিধি কুনাল মজুমদার বলেছেন, উত্তরাখন্ড কর্তৃপক্ষের উচিত নয় রাজীব প্রতাপের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণগুলো এড়িয়ে যাওয়া। তার পরিবারের গুরুতর অভিযোগকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত—তাকে তার সাংবাদিকতার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

কুনাল মজুমদার বলেন, পুলিশের প্রাথমিক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, রাজীব গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। কিন্তু তাকে দেওয়া হুমকির কঠোর তদন্ত হওয়া উচিত। যারা সাংবাদিকদের হুমকি দেয়, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত