Ad T1

চীনা পণ্যের শুল্ক কমিয়ে ৮০ শতাংশের প্রস্তাব ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ১৯: ৪১

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে আমেরিকায় আমদানি করা সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৮০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, চীনের ওপর ৮০ শতাংশ শুল্কারোপ ‘ঠিক’ মনে করছেন তিনি। চলতি সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আমেরিকার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রেয়ারের সঙ্গে চীনা প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় অংশ নেবেন। এর আগেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প তার অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, চীনের উচিত আমেরিকার জন্য তার বাজার উন্মুক্ত রাখা। আর এটিই তাদের জন্য ভালো। কারণ, বন্ধ বাজার আর কাজ করবে না।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, চীন এটা মেনে নিলে তা চীনের জন্য যেমন ভালো হবে, তেমনি বিশ্বের জন্যও ভালো হবে। এটি আমেরিকার সঙ্গে চীনের ব্যবসার ক্ষেত্রকেও প্রসারিত করবে; ফলে দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। কারণ, ১৪৫ শতাংশের চেয়ে ৮০ শতাংশ শুল্ক তাদের জন্য ভালো।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুই দেশের মধ্যে এ আলোচনাকে বাণিজ্য সংঘাত সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থাকে জটিল করে তুলেছে। প্রতি বছর দুই দেশ নিজেদের মধ্যে কোটি কোটি ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে। কিন্তু গত মাসে ট্রাম্প চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেন। আর এর পাল্টা জবাবে চীন আরোপ করে ১২৫ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট কীভাবে শুল্কাহার ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প কেবল এর প্রস্তাব করেছেন। মূল বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে দুই দেশের বৈঠকের পর। তবে একতরফাভাবে চীনের ওপর শুল্ক কমাবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীনের কাছ থেকেও ছাড়ের ঘোষণা আসতে হবে।

গত মঙ্গলবার ১৪৫ শতাংশ শুল্ক হারেই চীনা পণ্যবাহী প্রথম চালানভর্তি জাহাজ নোঙর করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে। লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সেরোকা জানিয়েছিলেন, চীন থেকে বন্দরে আসা জাহাজগুলোতে আমদানির পরিমাণ কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি।

চলতি বছরের শুরুতে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানলের মতো মাদকের অবাধ প্রবেশের অভিযোগ এনে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শাস্তিমূলক আমদানি কর আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। এর মধ্যে চীনের ওপর সর্বোচ্চ শুল্কারোপ করেন তিনি।

এদিকে, আমেরিকার এই অপমানজনক ও হুমকিমূলক অর্থনৈতিক কৌশলের নিন্দা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে চীনের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্কহার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

বিষয়:

ট্রাম্প
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত