বাগরাম ঘাঁটি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভারত-পাকিস্তান-চীন-রাশিয়া

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৫
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৭

আফগানিস্তানে বাগরাম বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের মার্কিন প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আঞ্চলিক শক্তিগুলো। গতকাল রাশিয়া, চীন, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোসহ ‘মস্কো ফরম্যাট অফ কনসালটেশনস অন আফগানিস্তান’-এর সদস্যরা যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা আফগান ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না।

বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দেশগুলোর যৌথবিবৃতিতে আফগানিস্তানকে স্বাধীন, ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। ট্রাম্পের বাগরাম ঘাঁটি পুনর্দখলের উদ্যোগ আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

মস্কো ফোরামে যোগদানের পর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তান কোনও বিদেশী সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না। "আফগানিস্তান একটি স্বাধীন ও স্বাধীন দেশ এবং ইতিহাস জুড়ে, এটি কখনও বিদেশীদের সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয়নি," তিনি বলেন। "আফগানিস্তানকে মুক্ত ও স্বাধীন রাখার জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত এবং নীতি একই থাকবে।"

প্রসঙ্গত, গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন যে বাগরাম ফেরত না দিলে আফগানিস্তানের "খারাপ কিছু" ঘটবে এবং চীনের কাছে এর কৌশলগত অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি উল্লেখ করেন। তারপর তালেবানরা ট্রাম্পের ঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।

বাগরাম চীনা সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০০ মাইল) এবং জিনজিয়াংয়ের নিকটতম চীনা ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা থেকে প্রায় ২,৪০০ কিলোমিটার (প্রায় ১,৫০০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

এদিকে,মার্কিন প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, বাগরাম পুনর্দখল করতে বিপুল সৈন্য ও ব্যয়বহুল অবকাঠামো প্রয়োজন হবে, যা নতুন করে সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর দুই দশক ধরে বাগরাম আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সামরিক ঘাঁটি ছিল। ২০২১ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ঘাঁটিটি পুনর্দখল করে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত