এয়ার কানাডার সব ফ্লাইট স্থগিত, ভোগান্তিতে লাখো যাত্রী

কেবিন ক্রুদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কানাডার সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এয়ার কানাডা। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। এতে করে প্রতিদিন ১ লাখের বেশি যাত্রীর ভ্রমণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর সিএনএনের।

বেতন বাড়ানোর দাবিতে শনিবার ভোর থেকে ধর্মঘটে যোগ দেন ১০ হাজারের বেশি কেবিন ক্রু। এরফলে এয়ার কানাডা তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তবে এয়ার কানাডা জ্যাজ, পিএএল এয়ারলাইনস ও এয়ার কানাডা এক্সপ্রেসের ফ্লাইটগুলো এই ধর্মঘটের কারণে প্রভাবিত হবে না। এরফলে ভোগিান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।

এয়ার কানাডার সহযোগী সংস্থা সাশ্রয়ী সেবা দেয়া এয়ার কানাডা রুজের অধীনে চলাচল করা ফ্লাইটও স্থগিতের আওতায় রয়েছে। এ অবস্থায় অন্য কোনো এয়ারলাইনসে ভ্রমণ নিশ্চিত না করে বিমানবন্দরে না যেতে ভুক্তভোগী যাত্রীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজের মুখপাত্র হিউ পুলিওট নিশ্চিত করেছেন, তাদের দাবি নিয়ে কোনো চুক্তি না হওয়ায় ধর্মঘট শুরু করেন তারা।

কানাডার বৃহত্তম এই বিমান সংস্থা এবং এর ১০ হাজার কেবিন ক্রুর প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব শুক্রবার তীব্র আকার ধারণ করে।

বর্তমানে কেবিন ক্রুদের উড়োজাহাজ চলাচলের সময়ের জন্য বেতন দেয়া হয়। ফ্লাইটের মাঝে এবং যাত্রীদের বিমানে উঠতে সহায়তার সময়ে কোনো পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি এই সময়ের জন্যও পারিশ্রমিক দাবি করছেন তারা।

ফ্লাইট কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধের ফলে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটবে এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ হাজার কানাডিয়ান বিদেশে আটকা পড়তে পারেন। এয়ার কানাডা প্রতিদিন প্রায় ৭০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এয়ার কানাডা জানিয়েছে, যেসব যাত্রীর ভ্রমণ ব্যাহত হবে তারা বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে পুরো অর্থ ফেরতের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।

এছাড়া সম্ভব হলে তারা অন্যান্য কানাডিয়ান এবং বিদেশী বিমান সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিকল্প ভ্রমণের অফার দেবে। তবে তারা গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের জন্য অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট ইতোমধ্যেই পূর্ণ থাকায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুনরায় বুকিংয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

আরএ