নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ৬০

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৪১
ছবি: বিবিসি

নাইজেরিয়ার উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বোর্নো রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে দারুল জামাল গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সেনা সদস্য ছিলেন। হামলার সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারাম জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

শুক্রবার রাতে নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী দারুল জামাল গ্রামে হামলা হয়। সেখানে একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন সেনা নিহত হয়।

বিজ্ঞাপন

নাইজেরিয়ার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, গ্রামে সন্ত্রাসী অভিযানের খবর পাওয়ার পর তারা সেখানে যান। এসময় সংঘর্ষে হামলাকারীদের মধ্যে ৩০ জন মারা যায়। কয়েক বছর বাস্তুচ্যুত থাকার পর সম্প্রতি ফিরে এসেছেন গ্রামটির বাসিন্দারা।

নাইজেরিয়ায় গত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয় শিবিরগুলো বন্ধ করে নিজেদের গ্রামে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।

বোর্নো রাজ্যের গভর্নর বাবাগানা জুলুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সম্প্রদায়টিকে কয়েক মাস আগে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছি। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনা উভয়ই রয়েছেন।’

২০১৩-২০১৫ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম বিদ্রোহের পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা কিছুটা কমেছে। তবুও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্সসহ (আইএসডব্লিউএপি) বিভিন্ন গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

বোর্নো রাজ্যের গভর্নর আরো বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল পর্যাপ্ত নয়। তাই ফরেস্ট গার্ডস নামে পরিচিত নবগঠিত একটি বাহিনী এ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে মোতায়েন করা হবে।

বোর্নো ১৫ বছর ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, যার ফলে ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত