ট্রাম্পের ‘গাজা রিভেরা’ প্রত্যাখ্যান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা ভূখণ্ডে টানা ১৫ মাস বর্বর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। পুরো ভূখণ্ডই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশেরও বেশি ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা না করে উল্টো গাজা পুনর্গঠনের নামে ফিলিস্তিনিদের আরব দেশগুলোয় পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে রীতিমত নিন্দার ঝড় ওঠে আরব দেশগুলোয়। তবে ট্রাম্পের এই ‘গাজা রিভেরা’কে স্বাগত জানায় ইসরাইল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নেননি আরব নেতারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা গুনর্গঠনে উল্টো বিকল্প প্রস্তাব দেন তারা।
মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেয় দেশটি। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না। মিসরের এই পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন আরব নেতারা। ঘণ্টাব্যাপী সম্মেলন শেষে এ কথা ঘোষণা করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সিসি বলেন, তিনি নিশ্চিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে সমর্থ হবেন। কারণ, ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মিসরের এই পরিকল্পনায় নিজ ভূখণ্ড থেকে গাজাবাসীকে উচ্ছেদ এড়ানো যাবে, যা ট্রাম্পের ‘গাজা রিভেরার’ বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেছেন, মিসরের পরিকল্পনাই আরব দেশের পরিকল্পনা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক যে কোনো স্থানচ্যুতিকে প্রত্যাখ্যান করে আরবরা।
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকা কে পরিচালনা করবে আর এই ভূখণ্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জোগান দেবে কোন কোন দেশ।
সিসি বলেন, নতুন এই পরিকল্পনায় প্রস্তাব করা হয়েছে যুদ্ধের সমাপ্তির পর গাজা সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনি সরকারের ছত্রছায়ায় গাজা ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে। সেই কমিটি গঠিত হবে একটি স্বতন্ত্র, পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে। আর এই কমিটি গঠনে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কাজ করছে মিসর।
তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতির জন্য কমিটি অস্থায়ী সময়ের জন্য মানবিক সহায়তা তদারকি এবং উপত্যকার বিষয়গুলো দেখভাল করবে। এই পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহে আগামী মাসে একটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, পুনর্গঠন তহবিল আন্তর্জাতিক অর্থায়ন এবং তদারকির পাশাপাশি সম্ভবত এটি বিশ্বব্যাংকের অধীনে থাকবে। গাজা পুনর্নির্মাণের এই নতুন পরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপটির মেয়াদ ছয় মাস। এ সময়টাতে বিপুল পরিমাণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ শুরু করা হবে এবং অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলাবারুদ সরানো হবে। আর পরবর্তী দুটি ধাপ কয়েক বছর স্থায়ী হবে।
তবে এতে হামাসের ভূমিকা কী হবে— সেটি উপেক্ষিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনো কিছু উল্লেখ করা নেই। তবে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত শেষ হলে এ সমস্যটিরও সমাধান হবে। তবে কিছু আরব দেশ হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অন্যরা এ বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের ওপরই ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। তবে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছে, গাজা পরিচালনায় তারা কোনো ভূমিকা পালন করবে না; কিন্তু নিরস্ত্রীকরণও করবে না।
মিসরের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করার এ পরিকল্পনাকে সমর্থন দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। এদিকে, মিসরের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাসও। একইসঙ্গে হামাস কায়রোর প্রস্তাবিত কমিটিতে প্রার্থী দেবে না বলে একমত হয়েছে। তবে পিএ’র তত্ত্বাবধানে কাজ করবে— এমন কমিটির কাজ, সদস্য ও এজেন্ডা সম্পর্কে তাদের সম্মতি দিতে হবে।
হোয়াট হাউস জানিয়েছে, আরব নেতাদের এই পরিকল্পনা গাজা সমস্যার সমাধান করবে না। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
গাজা ভূখণ্ডে টানা ১৫ মাস বর্বর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। পুরো ভূখণ্ডই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশেরও বেশি ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা না করে উল্টো গাজা পুনর্গঠনের নামে ফিলিস্তিনিদের আরব দেশগুলোয় পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে রীতিমত নিন্দার ঝড় ওঠে আরব দেশগুলোয়। তবে ট্রাম্পের এই ‘গাজা রিভেরা’কে স্বাগত জানায় ইসরাইল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নেননি আরব নেতারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা গুনর্গঠনে উল্টো বিকল্প প্রস্তাব দেন তারা।
মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেয় দেশটি। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না। মিসরের এই পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন আরব নেতারা। ঘণ্টাব্যাপী সম্মেলন শেষে এ কথা ঘোষণা করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সিসি বলেন, তিনি নিশ্চিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে সমর্থ হবেন। কারণ, ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মিসরের এই পরিকল্পনায় নিজ ভূখণ্ড থেকে গাজাবাসীকে উচ্ছেদ এড়ানো যাবে, যা ট্রাম্পের ‘গাজা রিভেরার’ বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেছেন, মিসরের পরিকল্পনাই আরব দেশের পরিকল্পনা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক যে কোনো স্থানচ্যুতিকে প্রত্যাখ্যান করে আরবরা।
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকা কে পরিচালনা করবে আর এই ভূখণ্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জোগান দেবে কোন কোন দেশ।
সিসি বলেন, নতুন এই পরিকল্পনায় প্রস্তাব করা হয়েছে যুদ্ধের সমাপ্তির পর গাজা সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনি সরকারের ছত্রছায়ায় গাজা ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে। সেই কমিটি গঠিত হবে একটি স্বতন্ত্র, পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে। আর এই কমিটি গঠনে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কাজ করছে মিসর।
তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতির জন্য কমিটি অস্থায়ী সময়ের জন্য মানবিক সহায়তা তদারকি এবং উপত্যকার বিষয়গুলো দেখভাল করবে। এই পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহে আগামী মাসে একটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, পুনর্গঠন তহবিল আন্তর্জাতিক অর্থায়ন এবং তদারকির পাশাপাশি সম্ভবত এটি বিশ্বব্যাংকের অধীনে থাকবে। গাজা পুনর্নির্মাণের এই নতুন পরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপটির মেয়াদ ছয় মাস। এ সময়টাতে বিপুল পরিমাণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ শুরু করা হবে এবং অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলাবারুদ সরানো হবে। আর পরবর্তী দুটি ধাপ কয়েক বছর স্থায়ী হবে।
তবে এতে হামাসের ভূমিকা কী হবে— সেটি উপেক্ষিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনো কিছু উল্লেখ করা নেই। তবে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত শেষ হলে এ সমস্যটিরও সমাধান হবে। তবে কিছু আরব দেশ হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অন্যরা এ বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের ওপরই ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। তবে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছে, গাজা পরিচালনায় তারা কোনো ভূমিকা পালন করবে না; কিন্তু নিরস্ত্রীকরণও করবে না।
মিসরের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করার এ পরিকল্পনাকে সমর্থন দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। এদিকে, মিসরের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাসও। একইসঙ্গে হামাস কায়রোর প্রস্তাবিত কমিটিতে প্রার্থী দেবে না বলে একমত হয়েছে। তবে পিএ’র তত্ত্বাবধানে কাজ করবে— এমন কমিটির কাজ, সদস্য ও এজেন্ডা সম্পর্কে তাদের সম্মতি দিতে হবে।
হোয়াট হাউস জানিয়েছে, আরব নেতাদের এই পরিকল্পনা গাজা সমস্যার সমাধান করবে না। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১৪ মিনিট আগেখামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
১ ঘণ্টা আগেগুগলের ক্রোমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করেছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। ওপেনএআই তাদের নতুন এই ব্রাউজারের নাম দিয়েছে ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’।
১ ঘণ্টা আগে