থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে কখন ও কীভাবে বিরোধ শুরু হয়

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৪৮
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৫৭

ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বর্তমানে বিরোধ আবারো তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই বিরোধ শতবছরের পুরোনো, ফরাসিরা যখন কম্বোডিয়া দখল করেছিল তখন দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়।

অচিহ্নিত সীমান্ত এবং ঐতিহাসিক ভূমি বিরোধ, বিশেষ করে প্রিয়া ভিহার মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংঘাত আরো তীব্র হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালে কম্বোডিয়া তাদের সীমানায় অবস্থিত ১১শ’ শতাব্দীর একটি প্রাচীন মন্দিরকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে। থাইল্যান্ড তখন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, কারণ মন্দিরটি একটি বিতর্কিত অঞ্চলে অবস্থিত। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে উভয় পক্ষের সৈন্য এবং সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।

২০২৫ সালের মে মাসে আবার উত্তেজনা বেড়ে যায় । সেসময় সংঘর্ষে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হন। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নেমে আসে।

পরর্বতীতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে ফলমূল ও শাকসবজি আমদানি বন্ধ করেছে এবং বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবাও নেওয়া বন্ধ করেছে। দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরো সংকটময় করে তুলছে।

সর্বশেষ আজ ভোররাতে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তজুড়ে সংঘর্ষে অন্তত তিনটি প্রদেশের ১২ জন হন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৪ জন।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। উভয় দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করা উচিত। নইলে নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়বে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত