
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলি বাহিনী দুই বছর ধরে বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। অব্যাহত বিমান ও স্থল অভিযানে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেনে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ শিশু এবং ১০ হাজার ৪২৭ নারী। নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা ২৫২।
ইসরাইল গাজায় শুধু গণহত্যা চালিয়েই এই ভূখণ্ড নিজেদের দখলে নিতে চাচ্ছে বিষয়টি তা নয়, এই যুদ্ধ নিয়ে তারা রীতিমতো মিথ্যাচার ও ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে জিততেও চাচ্ছে তারা। ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি গাজায় তাদের কর্মকাণ্ডকে যৌক্তিকতা দিতে ব্যাপক ‘তথ্যযুদ্ধ’ও চালাচ্ছে ইসরাইল।
বার বার ইসরাইলের এই ভুল তথ্য প্রচারে এগিয়ে রয়েছে অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যম। কারণ তেল আবিবের দেওয়া এসব ভুল তথ্য প্রচার করছে তারা।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তেল আবিবের কিছু বৃহত্তম মিথ্যাচার এবং প্রচারণামূলক প্রচেষ্টা এখানে দেওয়া হলো।
যুদ্ধ চলাকালে হামাস ৪০টি শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে-এমন খবর ছড়িয়ে দিয়েছিল ইসরাইল। এই তথ্য মিথ্যা বলে প্রচার করা হলেও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৭১ নম্বর ইউনিটের চরমপন্থি কমান্ডার ডেভিড বেন জিয়ন আই২৪ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছিলেন।
দখলদার বাহিনীর এমন দাবি প্রথম খণ্ডন করে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। একজন ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আনাদোলু জানায়, তারা ইসরাইলের ‘আই২৪ নিউজ’ চ্যানেলের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। যদিও এই খবর সামাজিক ও মূলধারার গণমাধ্যমে দাবানলের মতো ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিলেন কমান্ডার ডেভিড বেন জিয়ন। শুধু মিথ্যা তথ্য ছড়ানোই নয়, অবৈধ ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারী এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অন্যতম। আর এসব খবর যে মিথ্যা তা খুঁজে বের করেছিল গ্রেজোন নিউজ আউটলেট।
ইসরাইলের আরেকটি মিথ্যা প্রচার হচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গণধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। যৌন নির্যাতনের এই অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি তেলআবিব। ইসরাইলি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা জাকারার একজন স্বেচ্ছাসেবক চাইম ওটমাজগিন প্রথমে এ দাবি করেছিলেন।
গাজাযুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল নিরীহ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এই দাবিও প্রমাণ করতে পারেনি ইসরাইল। গত মার্চ থেকে গাজায় প্রবেশকারী মানবিক সহায়তার ওপর পূর্ণ অবরোধ বজায় রেখেছে ইসরাইল। তাদের অভিযোগ, উপত্যকায় প্রবেশ করা ত্রাণসামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় হামাস। তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় যখন গত ২৫ জুলাই, আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) জোর দিয়ে বলে যে, হামাস মানবিক সহায়তা চুরি করেছে, এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামাসকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনছে ইসরাইল। ইসরাইলের আরেকটি বড় মিথ্যাচার হচ্ছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কাতার, মিসর এমনকি আমেরিকাসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবিত অনেক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হামাস মেনে নিয়েছে। গত মে মাসে হামাস কাতার ও মিসরের প্রস্তাবিত তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। গাজায় যুদ্ধের ফলে ফিলিস্তিনিদের হতাহতের সংখ্যা ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে এনেছে। ইসরাইল দাবি করছে, তারা হামাস ও তাদের অবকাঠামোতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে। ইসরাইলি নেতা এবং সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সেনাবাহিনীকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন।
অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংস্থাগুলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

ইসরাইলি বাহিনী দুই বছর ধরে বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। অব্যাহত বিমান ও স্থল অভিযানে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেনে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ শিশু এবং ১০ হাজার ৪২৭ নারী। নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা ২৫২।
ইসরাইল গাজায় শুধু গণহত্যা চালিয়েই এই ভূখণ্ড নিজেদের দখলে নিতে চাচ্ছে বিষয়টি তা নয়, এই যুদ্ধ নিয়ে তারা রীতিমতো মিথ্যাচার ও ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে জিততেও চাচ্ছে তারা। ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি গাজায় তাদের কর্মকাণ্ডকে যৌক্তিকতা দিতে ব্যাপক ‘তথ্যযুদ্ধ’ও চালাচ্ছে ইসরাইল।
বার বার ইসরাইলের এই ভুল তথ্য প্রচারে এগিয়ে রয়েছে অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যম। কারণ তেল আবিবের দেওয়া এসব ভুল তথ্য প্রচার করছে তারা।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তেল আবিবের কিছু বৃহত্তম মিথ্যাচার এবং প্রচারণামূলক প্রচেষ্টা এখানে দেওয়া হলো।
যুদ্ধ চলাকালে হামাস ৪০টি শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে-এমন খবর ছড়িয়ে দিয়েছিল ইসরাইল। এই তথ্য মিথ্যা বলে প্রচার করা হলেও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৭১ নম্বর ইউনিটের চরমপন্থি কমান্ডার ডেভিড বেন জিয়ন আই২৪ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছিলেন।
দখলদার বাহিনীর এমন দাবি প্রথম খণ্ডন করে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। একজন ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আনাদোলু জানায়, তারা ইসরাইলের ‘আই২৪ নিউজ’ চ্যানেলের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। যদিও এই খবর সামাজিক ও মূলধারার গণমাধ্যমে দাবানলের মতো ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিলেন কমান্ডার ডেভিড বেন জিয়ন। শুধু মিথ্যা তথ্য ছড়ানোই নয়, অবৈধ ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারী এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অন্যতম। আর এসব খবর যে মিথ্যা তা খুঁজে বের করেছিল গ্রেজোন নিউজ আউটলেট।
ইসরাইলের আরেকটি মিথ্যা প্রচার হচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গণধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। যৌন নির্যাতনের এই অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি তেলআবিব। ইসরাইলি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা জাকারার একজন স্বেচ্ছাসেবক চাইম ওটমাজগিন প্রথমে এ দাবি করেছিলেন।
গাজাযুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল নিরীহ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এই দাবিও প্রমাণ করতে পারেনি ইসরাইল। গত মার্চ থেকে গাজায় প্রবেশকারী মানবিক সহায়তার ওপর পূর্ণ অবরোধ বজায় রেখেছে ইসরাইল। তাদের অভিযোগ, উপত্যকায় প্রবেশ করা ত্রাণসামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় হামাস। তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় যখন গত ২৫ জুলাই, আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) জোর দিয়ে বলে যে, হামাস মানবিক সহায়তা চুরি করেছে, এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামাসকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনছে ইসরাইল। ইসরাইলের আরেকটি বড় মিথ্যাচার হচ্ছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কাতার, মিসর এমনকি আমেরিকাসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবিত অনেক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হামাস মেনে নিয়েছে। গত মে মাসে হামাস কাতার ও মিসরের প্রস্তাবিত তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। গাজায় যুদ্ধের ফলে ফিলিস্তিনিদের হতাহতের সংখ্যা ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে এনেছে। ইসরাইল দাবি করছে, তারা হামাস ও তাদের অবকাঠামোতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে। ইসরাইলি নেতা এবং সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সেনাবাহিনীকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন।
অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংস্থাগুলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
২ ঘণ্টা আগে
হোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
২ ঘণ্টা আগে
গুগলের ক্রোমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করেছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। ওপেনএআই তাদের নতুন এই ব্রাউজারের নাম দিয়েছে ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’।
২ ঘণ্টা আগে