গাজার দুর্ভিক্ষ বর্ণনায় এক মা

‘ফল-সবজির স্বাদ কেমন আমার ছেলেটা জানে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ১৩
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ২৬

‘ফলমূল আর সবজি দেখতে বা খেতে কেমন আমার ছোট ছেলেটা জানেই না। গত পাঁচ মাস ধরে আমরা কোনো আমিষ খাইনি। আমার ছোট ছেলের বয়স চার বছর। কিন্তু সে জানেই না এগুলো স্বাদ কেমন।’

কথাগুলো বলছিলেন গাজা শহরে পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাসরত ৪১ বছর বয়সী নারী রীম তৌফিক খাদার। গাজার দুর্ভিক্ষে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, "দুর্ভিক্ষের ঘোষণা অনেক দেরিতে এসেছে, কিন্তু তবুও এটি গুরুত্বপূর্ণ।"

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো গাজা উপত্যকার কিছু অঞ্চল জুড়ে দুর্ভিক্ষের ঘোষণার পর সেখানকার বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ ক্ষুধা কীভাবে তাদের শরীরে প্রভাব ফেলছে।

জাতিসংঘ বলছে, গাজার সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার দুর্ভিক্ষ একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবতারই ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, 'দুর্ভিক্ষ কেবল খাদ্যের জন্য নয়; এটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ইচ্ছাকৃত পতন। মানুষ অনাহারে আছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে। যাদের দায়িত্ব আছে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।'

গাজায় অপুষ্টি বাড়ছে বিপর্যয়কর হারে। কেবল গত জুলাই মাসে ১২ হাজারের বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। যেসব শিশুর জন্ম হচ্ছে, তাদের ওজন কম বা অপুষ্ট। উপত্যকার ৯৮ শতাংশ ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত