বাংলাদেশে পুশইন

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ওয়াইসির

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ২০: ৫১
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ২১: ০০

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষী মুসলিমদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক ও পুশব্যাক করা হচ্ছে—এমন অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি এই ধরনের অভিযানকে ‘নৈতিক লঙ্ঘন’ এবং ‘ব্যাকডোর এনআরসি’র অংশ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ওয়াইসি বলেন, এ সরকার শক্তের কাছে দুর্বল আর দুর্বলের কাছে শক্ত। দরিদ্র বাংলাভাষী মুসলিমদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টায় নেমেছে প্রশাসন। অথচ এদের অধিকাংশই ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর বাসিন্দা ও ভারতীয় নাগরিক। তিনি আরো অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণশ্রমিক, সাফাইকর্মী, রাস্তায় আবর্জনা পরিষ্কারের মতো শ্রমঘন কাজে যুক্ত দরিদ্র বাংলাভাষী মুসলিমদের আটক করে তাদের পুশব্যাক করা হচ্ছে, যাদের অনেকেরই আইনি লড়াই চালানোর মতো সামর্থ্য নেই।

সম্প্রতি গুরুগ্রামের জেলা প্রশাসকের একটি নির্দেশিকার প্রসঙ্গ টেনে ওয়াইসি বলেন, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব থাকলেও শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে কাউকে আটক করা আইনসম্মত নয়। ভাষার ভিত্তিতে গ্রেফতার সম্পূর্ণ বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়াইসি পুনে পুলিশের সাম্প্রতিক একটি অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেখানে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়, যারা ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভারতে ঢুকেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ওয়াইসির মতে, এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে গোটা জনগোষ্ঠীকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। “বন্দুকের মুখে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া যায় না”—সাফ জানিয়ে দেন ওয়াইসি।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও জানিয়েছে, ভারতে প্রক্রিয়াবিহীনভাবে হাজারো বাংলাভাষী মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। সংস্থাটির মতে, এর বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত