শীতকালীন বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার ইসরাইলের দুই বছরের যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। বৃষ্টিতে তাঁবুগুলো প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। এর মধ্যেই শনিবার গাজা উপত্যকার ওপর দিয়ে তীব্র নিম্নচাপ বয়ে যায়, সঙ্গে ছিল ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া।
আবহাওয়াবিদ লাইথ আল-আল্লামি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, এই শীতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এটি তৃতীয় নিম্নচাপ। সোমবার থেকে চতুর্থ নিম্নচাপ শুরু হতে পারে।
২০২৩ সালে গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকেই অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে তাঁবুতে বাস করছেন। অঞ্চলটিতে সামনে আরও তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, বৃষ্টি বাড়লে তা পূর্ণ মাত্রার ঝড়েও রূপ নিতে পারে।
গাজা সিটির বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা মোহাম্মদ মাসলাহ আল জাজিরাকে বলেন, থাকার মতো অন্য কোথাও তিনি জায়গা পাননি। তার ভাষায়, ‘গাজায় থাকার মতো জায়গা খুঁজে পাইনি, শুধু গাজা পোর্টেই থাকতে পারছি। আমার ঘর এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই আমরা পুরো ভিজে যাই।’
উত্তরের জাবালিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত দেইর আল-বালাহতে চার সন্তানের মা শাইমা ওয়াদি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমরা এই তাঁবুতেই আছি। যখনই বৃষ্টি হয়, তাঁবুটা মাথার ওপর ভেঙে পড়ে। তখন আবার কাঠ জুড়ে ঠিক করার চেষ্টা করি। সবকিছুর দাম এত বেড়েছে, আর আয় নেই, বাচ্চাদের জন্য কাপড় বা ঘুমানোর গদি জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছি।’
এই মাসের শুরুতে ভারী বৃষ্টিতে গাজাজুড়ে তাঁবু ও অস্থায়ী আশ্রয় প্লাবিত হয়েছে। মূলত গাজার অধিকাংশ ভবনই ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিসেম্বরেই এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনটি শিশুও রয়েছে। প্রবল ঠান্ডা ও ভেজা আবহাওয়ায় হাইপোথার্মিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়; কিছু ভবনও ধসে পড়েছে। মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ ঢুকতে দিতে হবে।
সূত্র: আল জাজিরা
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৭১ হাজার
ইরানে আরো হামলার জন্য ট্রাম্পকে উসকানি নেতানিয়াহুর