অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী প্রায় দশ লাখ ব্যবহারকারীর ওপর সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার একদিন পরই দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা দ্রুত কমে যাওয়া ফলোয়ার ও ভিউয়ের চাপ অনুভব করছেন। এতে তাদের আয়ের ওপর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং কনটেন্ট কৌশল নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
টিকটকে দৈনন্দিন অস্ট্রেলিয়ান জীবনের ওপর কমেডি স্কিট করা ২৯ বছর বয়সী জশ পার্টিংটন সাধারণত ১ লাখ ভিউ পেতেন। কিন্তু বুধবার নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর তার নতুন ভিডিও পৌঁছেছে মাত্র ১০ হাজার ভিউয়েও না। খবর রয়টার্সের।
তিনি জানান, “আমার টিকটক আর ইনস্টাগ্রাম—দুই জায়গাতেই গতকালের ভিডিওগুলো অস্বাভাবিকভাবে কম ভিউ পেয়েছে।” নিষেধাজ্ঞার পর তার ইনস্টাগ্রামে ১,৫০০ ফলোয়ার হারিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবসহ বড় ১০টি প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দিয়েছে ১৬ বছরের নিচে প্রায় ১ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে ব্লক করতে, অন্যথায় বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে।
যেসব কনটেন্ট ক্রিয়েটর বছরের পর বছর ধরে তরুণ দর্শকদের ওপর নির্ভর করে বড় হয়েছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ধাক্কা এসেছে এঙ্গেজমেন্ট কমে যাওয়া—লাইক, কমেন্ট ও ভিউ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
৩০ বছর বয়সী কমেডিয়ান মিচ ডেল বলেন, তার অধিকাংশ ফলোয়ার প্রাপ্তবয়স্ক হলেও কিশোর ফলোয়ার হারালে ভিডিও পোস্টের সময়সূচি পাল্টাতে হবে। “স্কুল ছুটির পর বিকেল ৩টা ৩০-এ পোস্ট করতাম, কারণ তখন বাচ্চারা ফোন ধরত। এখন হয়তো সময় পরিবর্তন করতে হবে।”
১৮ বছর বয়সী ইন্ডি সংগীতশিল্পী হ্যারি কারবি, যার ১.৮ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে, বলেন তার বড় অংশই ছিল ১৬ বছরের নিচে। তিনি ইনস্টাগ্রামে ইতোমধ্যে হাজারখানেক ফলোয়ার হারিয়েছেন। “হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেল,” তিনি বলেন।
সরকার বলেছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর টিকটকে একাই ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস জানান, সংশ্লিষ্ট সব প্ল্যাটফর্মকে জানাতে বলা হচ্ছে—এখনো কতজন ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারী সক্রিয় আছে।
নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে ফলোয়ার কমে যাওয়া ও এঙ্গেজমেন্ট হ্রাস কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ব্র্যান্ড চুক্তি ও আয়ের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন।
এসআর

