আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় চলছে শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি। আলোচনা শুরুর আগেই রাশিয়ার মস্কোতে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
মস্কোর আঞ্চলিক গভর্নর আদ্রেই ভোরোবিয়েভ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভ সর্বকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রাজধানীর বাইরে ভিডনয়ে এবং ডেমোডেডোভো শহরে এসব হামলা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের পাঠানো ৩৩৭টি ড্রোনের মধ্যে ৯১টি ভূপাতিত করেছে মস্কো। তবে এ হামলায় কমপক্ষে দু্’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তিন শিশুসহ আরো ১৮ জন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার পর ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবনের সাতটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষে একটি ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতভর হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফ্ল্যাট থেকে তিন শিশুসহ ১২ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হামলার পর ডেস্ট্রিক্ট ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেছেন, এই ড্রোন হামলা সৌদি আরবে কিয়েভের প্রস্তাবিত প্রস্তাবগুলো মেনে নিতে উৎসাহিত করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই ড্রোন হামলাটি পুতিনের জন্য একটি অতিরিক্ত সংকেত যা তাকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আগ্রহী করবে।
ইউক্রেন হামলাটি এমন সময়ে করেছে যখন সৌদি আরবে আমেরিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আংশিক যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। যদিও এ ধরনের আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তাদের মতে, এ রকম চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধে ইউক্রেন নিজের পরাজয় ঠেকানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
গত মাসে হোয়াইট হাউসের ট্রাম্প-জেলেনস্কি বাগ্বিতণ্ডার পর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এই আলোচনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ।
এদিকে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির অংশ হিসেবে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে। তিনি আরো বলেন যে, উভয় পক্ষকেই বুঝতে হবে যে এই পরিস্থিতির কোনো সামরিক সমাধান নেই। তাই সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
তবে এই হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ১২৬টি ড্রোনের মধ্যে ৭৯টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা, সেই সঙ্গে একটি ব্যালিস্টিক ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্রও ভূপাতিত করেছে। এতে আরো বলা হয়, ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধের পাল্টা ব্যবস্থার কারণে আরো ৩৫টি ড্রোন সম্ভবত তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও বাকি ১২টি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে সামনে রেখে সোমবার জেদ্দায় পৌঁছানোর পর সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মূল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় চলছে শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি। আলোচনা শুরুর আগেই রাশিয়ার মস্কোতে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
মস্কোর আঞ্চলিক গভর্নর আদ্রেই ভোরোবিয়েভ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভ সর্বকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রাজধানীর বাইরে ভিডনয়ে এবং ডেমোডেডোভো শহরে এসব হামলা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের পাঠানো ৩৩৭টি ড্রোনের মধ্যে ৯১টি ভূপাতিত করেছে মস্কো। তবে এ হামলায় কমপক্ষে দু্’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তিন শিশুসহ আরো ১৮ জন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার পর ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবনের সাতটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষে একটি ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতভর হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফ্ল্যাট থেকে তিন শিশুসহ ১২ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হামলার পর ডেস্ট্রিক্ট ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেছেন, এই ড্রোন হামলা সৌদি আরবে কিয়েভের প্রস্তাবিত প্রস্তাবগুলো মেনে নিতে উৎসাহিত করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই ড্রোন হামলাটি পুতিনের জন্য একটি অতিরিক্ত সংকেত যা তাকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আগ্রহী করবে।
ইউক্রেন হামলাটি এমন সময়ে করেছে যখন সৌদি আরবে আমেরিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আংশিক যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। যদিও এ ধরনের আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তাদের মতে, এ রকম চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধে ইউক্রেন নিজের পরাজয় ঠেকানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
গত মাসে হোয়াইট হাউসের ট্রাম্প-জেলেনস্কি বাগ্বিতণ্ডার পর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এই আলোচনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ।
এদিকে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির অংশ হিসেবে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে। তিনি আরো বলেন যে, উভয় পক্ষকেই বুঝতে হবে যে এই পরিস্থিতির কোনো সামরিক সমাধান নেই। তাই সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
তবে এই হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ১২৬টি ড্রোনের মধ্যে ৭৯টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা, সেই সঙ্গে একটি ব্যালিস্টিক ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্রও ভূপাতিত করেছে। এতে আরো বলা হয়, ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধের পাল্টা ব্যবস্থার কারণে আরো ৩৫টি ড্রোন সম্ভবত তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও বাকি ১২টি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে সামনে রেখে সোমবার জেদ্দায় পৌঁছানোর পর সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মূল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে সুযোগ করে দিতে বাধ্য ইসরাইল। বুধবার আইসিজে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিষয়ে জারি করা আদেশে এ মন্তব্য করে।
১ ঘণ্টা আগেআরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেখামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
৬ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
৬ ঘণ্টা আগে