
বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা

হাতে না মেরে ভাতে মারা। বাস্তবে সেটাই যেন ঘটছে কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরে। আগে সারা বছরই বাংলাদেশি পর্যটক, রোগীরা ভিড় জমাত কলকাতায়। তবে গত পাঁচ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ও ঢাকা ছেড়ে দিল্লি পালানোর পর বদলে গেছে ছবিটা।
দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া কূটনৈতিক টানাপোড়েনে ভুগছে পশ্চিমবাংলার রাজধানী শহর। কারণ এখানেই বাংলাদেশের বহু মানুষ আসেন কেনাকাটা করতে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে। মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট, মার্কুইস স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, হাজী মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ার এলাকা গমগমে থাকে বাংলাদেশি নাগরিকদের আনাগোনা ও আলাপচারিতায়।
মেহেন্দি দেওয়া চুল-দাড়িসহ পুরুষ, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজে হিজাবধারী নারীদের ভিড় যেখা যায় এই চত্বরে। কিন্তু কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তখন নিউ মার্কেটের বড় বড় কাপড়ের দোকানি, রেস্তোরাঁ, হোটেল মালিকরা হাহুতাশ করছেন।
অনেককেই দেখা যাচ্ছে কাস্টমারের অভাবে মাছি তাড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রেতারাই ছিল তাদের ব্যবসার মূল ভরসা। ক্ষেত্র বিশেষে মেডিকেল ভিসা ছাড়া কোনো ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা।
তাছাড়া কলকাতার একাধিক মিডিয়ায় যেভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রপাগান্ডা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে তাতে সে দেশের মানুষ এখানে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছে। দুই দেশের নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকযুদ্ধ করছে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে। কিন্তু কলকাতার কেন্দ্রবিন্দু নিউ মার্কেটে বাংলাদেশিরা না এসে হাতে না, এভাবেই ভাতে মারছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
এর ফলে ভ্রমণ ও হোটেল ব্যবসা জোরে ধাক্কা খেয়েছে। একের পর এক বাসের বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল ও ট্যুর-ট্রাভেলস কোম্পানি মালিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তাই দিনকে দিন আরও চওড়া হচ্ছে। এখানকার হোটেল, পরিবহন ব্যবসা পুরোটাই বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের উপরই নির্ভর করে চলে।
সদর স্ট্রিটে বেঙ্গল ট্রাভেল সার্ভিস-এর প্রোপ্রাইটার মুহম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশিদের উপর নির্ভর করে চলে আমাদের ব্যবসা। এখন টিকিট বুকিং কমে গেছে। অনেকে অগ্রিম বুকিং করেও বাতিল করে দিয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবসা মার খেয়েছে। পর্যটক বুকিং তো একদমই নেই। এখন কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে জানি না। ততদিনে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হবে।
শ্যামলী পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের অবনী কুমার ঘোষ বলেন, ঢাকা, পাবনা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং অন্যান্য জায়গা থেকে লোকজন ফোন করে আমাদের জিজ্ঞাসা করছে যে আমরা তাদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করতে পারব কি না। শ্যামলী পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে বাস সার্ভিস চালায়। তিনি জানাচ্ছেন, তারা ভিসার জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকেই পালিয়ে ভারতে আসার জন্য ভিসা করানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, এটা আমাদের হাতে নেই। কিছু করাও সম্ভব নয়।
কেউ কেউ বলছেন, পর্যাপ্ত বুকিং না থাকায় তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যরা বলছেন, যাত্রী সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। বাড়ছে লোকসান।
কয়েক মাস আগে, কলকাতা থেকে ঢাকাগামী একটি ৪৫ আসনের বাস প্রায় পূর্ণ হয়ে যেত। এখন অর্ধেক আসনও পূরণ হয় না। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বাস রুটে কলকাতা আসতে পছন্দ করেন। কারণ এটি ফ্লাইটের তুলনায় সস্তা।
অপারেটররা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ঢাকায় বাসে যাত্রার খরচ ১৯০০ টাকা, যা বিমান ভাড়ার অর্ধেকেরও কম। এখন আমরা ১২০০ টাকায় টিকিট দিচ্ছি। কিন্তু কেউ নেই। আগে তিনটি বাস যেত। এখন মাত্র একটি। রয়্যাল কোচের রাজা কারিগর বলেছেন, এভাবে লোকসান সামলানো কঠিন। আমরা প্রচারের জন্য বুকিং অফিস খোলা রাখছি।
বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা এক বাংলাদেশি বলেছেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে আমাকে চিকিৎসার জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পৌঁছাতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। কিন্তু আজকাল ভিসা পাওয়া কঠিন। তবে আপনাকে বলি, ঢাকায় কোনো ঝামেলা নেই, কোনো অশান্তি নেই। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
ফলওয়ালা, আখের রসওয়ালা, কাশ্মীরি শালওয়ালা সবাই চিন্তিত খরিদ্দার না আসায়। ফল ব্যবসায়ী সোনকার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশিরাই আমাদের মূল কাস্টমার ছিল। তারা তো আসছে না! একই কথা শোনা গেল শাল বিক্রেতা হিলাল আহমেদের কাছে।
কলকাতার স্থানীয় ব্যবসা সংগঠনগুলো বলছে, প্রতিদিন সাধারণত ৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক কলকাতা যান। শীত মৌসুমে সেই সংখ্যা দৈনিক ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ম সচিব মনতোষ সরকার বলেন, নিউমার্কেট মূলত বাংলাদেশনির্ভর এলাকা। বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে এখানকার মানি এক্সচেঞ্জ, হোটেল ও পর্যটক ব্যবসা চলছে। তাদের অনুপস্থিতি আমাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে।
এসব আবার মানতে চান না মধ্য কলকাতার হোটেল অ্যাকমির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াহিদ মুরাদ। তার ভাষায়, আগে দেশ, তারপর ব্যবসা। ওরা আমাদের দেশের বিরোধিতা করছে দেখছি টিভিতে। ওরা না আসলেও ব্যবসা চলবে।
এদিকে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন রয়েছে মুজিবুর রহমান সরণিতে। তার প্রবেশ পথের দুদিকে পুলিশের ব্যারিকেড। একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ঘেরাও অভিযানের পরপরই এখানকার রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। পরে অবশ্য তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানা গেল।
ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্যাট্রোলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনার সৌমেন দে সরকার। তিনি জানাচ্ছেন, অশান্তি হয়েছিল, আর এ জন্যই আমরা এই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি।
কূটনৈতিক মিশনের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট বাপ্পা সরকার জানালেন, মিশনের কাজ চলছে। তবে আগের তুলনায় ধীরগতি। এভাবেই ঢিমেতালে চলছে নিউ মার্কেট থেকে ডেপুটি হাইকমিশন। কবে কাটবে সংকট, আশায় দিন গুনছেন ব্যবসায়ী ও আমজনতা।

হাতে না মেরে ভাতে মারা। বাস্তবে সেটাই যেন ঘটছে কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরে। আগে সারা বছরই বাংলাদেশি পর্যটক, রোগীরা ভিড় জমাত কলকাতায়। তবে গত পাঁচ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ও ঢাকা ছেড়ে দিল্লি পালানোর পর বদলে গেছে ছবিটা।
দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া কূটনৈতিক টানাপোড়েনে ভুগছে পশ্চিমবাংলার রাজধানী শহর। কারণ এখানেই বাংলাদেশের বহু মানুষ আসেন কেনাকাটা করতে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে। মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট, মার্কুইস স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, হাজী মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ার এলাকা গমগমে থাকে বাংলাদেশি নাগরিকদের আনাগোনা ও আলাপচারিতায়।
মেহেন্দি দেওয়া চুল-দাড়িসহ পুরুষ, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজে হিজাবধারী নারীদের ভিড় যেখা যায় এই চত্বরে। কিন্তু কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তখন নিউ মার্কেটের বড় বড় কাপড়ের দোকানি, রেস্তোরাঁ, হোটেল মালিকরা হাহুতাশ করছেন।
অনেককেই দেখা যাচ্ছে কাস্টমারের অভাবে মাছি তাড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রেতারাই ছিল তাদের ব্যবসার মূল ভরসা। ক্ষেত্র বিশেষে মেডিকেল ভিসা ছাড়া কোনো ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা।
তাছাড়া কলকাতার একাধিক মিডিয়ায় যেভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রপাগান্ডা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে তাতে সে দেশের মানুষ এখানে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছে। দুই দেশের নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকযুদ্ধ করছে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে। কিন্তু কলকাতার কেন্দ্রবিন্দু নিউ মার্কেটে বাংলাদেশিরা না এসে হাতে না, এভাবেই ভাতে মারছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
এর ফলে ভ্রমণ ও হোটেল ব্যবসা জোরে ধাক্কা খেয়েছে। একের পর এক বাসের বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল ও ট্যুর-ট্রাভেলস কোম্পানি মালিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তাই দিনকে দিন আরও চওড়া হচ্ছে। এখানকার হোটেল, পরিবহন ব্যবসা পুরোটাই বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের উপরই নির্ভর করে চলে।
সদর স্ট্রিটে বেঙ্গল ট্রাভেল সার্ভিস-এর প্রোপ্রাইটার মুহম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশিদের উপর নির্ভর করে চলে আমাদের ব্যবসা। এখন টিকিট বুকিং কমে গেছে। অনেকে অগ্রিম বুকিং করেও বাতিল করে দিয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবসা মার খেয়েছে। পর্যটক বুকিং তো একদমই নেই। এখন কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে জানি না। ততদিনে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হবে।
শ্যামলী পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের অবনী কুমার ঘোষ বলেন, ঢাকা, পাবনা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং অন্যান্য জায়গা থেকে লোকজন ফোন করে আমাদের জিজ্ঞাসা করছে যে আমরা তাদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করতে পারব কি না। শ্যামলী পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে বাস সার্ভিস চালায়। তিনি জানাচ্ছেন, তারা ভিসার জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকেই পালিয়ে ভারতে আসার জন্য ভিসা করানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, এটা আমাদের হাতে নেই। কিছু করাও সম্ভব নয়।
কেউ কেউ বলছেন, পর্যাপ্ত বুকিং না থাকায় তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যরা বলছেন, যাত্রী সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। বাড়ছে লোকসান।
কয়েক মাস আগে, কলকাতা থেকে ঢাকাগামী একটি ৪৫ আসনের বাস প্রায় পূর্ণ হয়ে যেত। এখন অর্ধেক আসনও পূরণ হয় না। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বাস রুটে কলকাতা আসতে পছন্দ করেন। কারণ এটি ফ্লাইটের তুলনায় সস্তা।
অপারেটররা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ঢাকায় বাসে যাত্রার খরচ ১৯০০ টাকা, যা বিমান ভাড়ার অর্ধেকেরও কম। এখন আমরা ১২০০ টাকায় টিকিট দিচ্ছি। কিন্তু কেউ নেই। আগে তিনটি বাস যেত। এখন মাত্র একটি। রয়্যাল কোচের রাজা কারিগর বলেছেন, এভাবে লোকসান সামলানো কঠিন। আমরা প্রচারের জন্য বুকিং অফিস খোলা রাখছি।
বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা এক বাংলাদেশি বলেছেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে আমাকে চিকিৎসার জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পৌঁছাতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। কিন্তু আজকাল ভিসা পাওয়া কঠিন। তবে আপনাকে বলি, ঢাকায় কোনো ঝামেলা নেই, কোনো অশান্তি নেই। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
ফলওয়ালা, আখের রসওয়ালা, কাশ্মীরি শালওয়ালা সবাই চিন্তিত খরিদ্দার না আসায়। ফল ব্যবসায়ী সোনকার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশিরাই আমাদের মূল কাস্টমার ছিল। তারা তো আসছে না! একই কথা শোনা গেল শাল বিক্রেতা হিলাল আহমেদের কাছে।
কলকাতার স্থানীয় ব্যবসা সংগঠনগুলো বলছে, প্রতিদিন সাধারণত ৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক কলকাতা যান। শীত মৌসুমে সেই সংখ্যা দৈনিক ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ম সচিব মনতোষ সরকার বলেন, নিউমার্কেট মূলত বাংলাদেশনির্ভর এলাকা। বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে এখানকার মানি এক্সচেঞ্জ, হোটেল ও পর্যটক ব্যবসা চলছে। তাদের অনুপস্থিতি আমাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে।
এসব আবার মানতে চান না মধ্য কলকাতার হোটেল অ্যাকমির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াহিদ মুরাদ। তার ভাষায়, আগে দেশ, তারপর ব্যবসা। ওরা আমাদের দেশের বিরোধিতা করছে দেখছি টিভিতে। ওরা না আসলেও ব্যবসা চলবে।
এদিকে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন রয়েছে মুজিবুর রহমান সরণিতে। তার প্রবেশ পথের দুদিকে পুলিশের ব্যারিকেড। একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ঘেরাও অভিযানের পরপরই এখানকার রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। পরে অবশ্য তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানা গেল।
ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্যাট্রোলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনার সৌমেন দে সরকার। তিনি জানাচ্ছেন, অশান্তি হয়েছিল, আর এ জন্যই আমরা এই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি।
কূটনৈতিক মিশনের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট বাপ্পা সরকার জানালেন, মিশনের কাজ চলছে। তবে আগের তুলনায় ধীরগতি। এভাবেই ঢিমেতালে চলছে নিউ মার্কেট থেকে ডেপুটি হাইকমিশন। কবে কাটবে সংকট, আশায় দিন গুনছেন ব্যবসায়ী ও আমজনতা।

নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে সুযোগ করে দিতে বাধ্য ইসরাইল। বুধবার আইসিজে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিষয়ে জারি করা আদেশে এ মন্তব্য করে।
১ ঘণ্টা আগে
আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
খামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
৫ ঘণ্টা আগে
হোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
৬ ঘণ্টা আগে