যে অভিনব উপায়ে হাতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে কেনিয়ার কৃষকেরা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৬

কেনিয়ার আম্বোসেলি অঞ্চলের ভোরবেলা এখন পাখি ডাকাডাকির পাশাপাশি ড্রোনের গুঞ্জনেও মুখরিত। এই ছোট উড়ন্ত যন্ত্রগুলো মানুষ ও হাতির দীর্ঘদিনের সংঘাতে নতুন এক বন্ধু হয়ে উঠেছে।

দক্ষিণ কেনিয়ার কাজিয়াডো ও আম্বোসেলি অঞ্চলে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে হাতির আক্রমণে ফসল হারাচ্ছেন। ভুট্টা, টমেটো, শিম—সবই নষ্ট হয়ে যায় রাতের অন্ধকারে হাতির চলাচলের কারণে। কিন্তু এখন ড্রোন প্রযুক্তির কল্যাণে সেই ভয় অনেকটাই কমে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বিগ লাইফ ফাউন্ডেশন নামের সংরক্ষণ সংস্থা হাতির সমস্যা দূরীকরণে থার্মাল ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন ব্যবহার করছে। এই ড্রোনগুলো রাতে তাপ সংকেত শনাক্ত করে আশেপাশের গ্রামগুলোকে সতর্ক করে দেয়। বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা ও ড্রোন পাইলট ডেভিড এনটিনিনা জানান, ‘ড্রোনের আলো আর শব্দ হাতিদের ভয় পাইয়ে দেয়। আর এতে তারা খামার ছেড়ে সংরক্ষণ এলাকায় ফিরে যায় ।’

গবেষকরা বলছেন, ড্রোনের প্রোপেলারের গুঞ্জন মৌমাছির ঝাঁকের শব্দের মতো—যা হাতির জন্য স্বাভাবিক ভয়ের উৎস। হাতিরা চোখ ও শুঁড়ের আশপাশে মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচতেই সেই শব্দ শুনলেই দূরে সরে যায়। স্থানীয় কৃষক লেকাটো সাইতো জানান, “আগে আমরা টিন বাজাতাম বা আগুন জ্বালাতাম, তাতে কাজ হতো না। এখন ড্রোনের গুঞ্জন শুনলেই তারা পালায়।”

এই প্রযুক্তি মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা যেমন সম্ভব হচ্ছে, তেমনি হাতি হত্যার ঘটনাও কমেছে।

তবে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে কেননা ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যথেষ্ট বেশি, আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় উড়ান সম্ভব হয় না। সংরক্ষণবিদেরা এখন সৌরশক্তি ব্যবহার করে এই উদ্যোগকে আরও টেকসই করার চেষ্টা করছেন।

সূত্র: আনাদোলু

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত