
আমার দেশ অনলাইন

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানিয়েছে আফগানিস্তানে প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি পরিবার টিকে থাকার জন্য খাবার বাদ দিচ্ছে, সম্পদ বিক্রি করছে বা ঋণ নিচ্ছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, ব্যাপকভাবে বিদেশ থেকে প্রত্যাবাসন বর্তমান মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করছে—যা ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের পর থেকে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি আফগান—মূলত ইরান ও পাকিস্তান থেকে—দেশে ফিরে এসেছে, যা জনসংখ্যা ১০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি ভূমিকম্প, বন্যা ও খরার ফলে ৮,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং জনসেবা ব্যবস্থা “সীমার বাইরে” চাপের মুখে পড়েছে।
৪৮,০০০ পরিবারের ওপর করা জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি প্রত্যাবাসিত পরিবার চিকিৎসা নেওয়া বাদ দিয়ে খাবার কেনার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং ৪৫% পরিবার খোলা ঝর্ণা বা অপরিশোধিত কূপের পানি ব্যবহার করছে। প্রায় ৯০% পরিবার ঋণগ্রস্ত—যেখানে গড় ঋণের পরিমাণ ৩৭৩ থেকে ৯০০ ডলার, যা মাসিক আয়ের পাঁচগুণ এবং বার্ষিক মাথাপিছু জিডিপির প্রায় অর্ধেক।
যেসব এলাকায় বেশি সংখ্যক মানুষ ফিরে এসেছে, সেখানে একজন শিক্ষক ৭০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থীর দায়িত্বে আছেন, শিশু শ্রমের হার ৩০%, এবং চাকরিহীনতা ৯৫% পর্যন্ত পৌঁছেছে। মাসিক গড় আয় মাত্র ৬,৬২৩ আফগানি (প্রায় ১০০ ডলার), অথচ ভাড়ার খরচ তিনগুণ বেড়েছে।
ইউএনডিপি সতর্ক করেছে যে, জরুরি সহায়তা ছাড়া দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও জোরপূর্বক অভিবাসনের সংকট আরও গভীর হবে। সংস্থাটি বলছে, ২০২১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যাপকভাবে কমেছে, যেখানে জাতিসংঘের ৩.১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চাহিদার সামান্য অংশই পূরণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক পূর্ব আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের পর তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে এবং পাকিস্তান কর্তৃক আফগান নাগরিকদের গণপ্রত্যাবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে শরণার্থী ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়সহ তালেবান প্রশাসনের কোনো দপ্তর এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
আফগানিস্তানে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ এখন মাত্র ৬%, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে নারী প্রধান পরিবারগুলোর পক্ষে চাকরি, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনডিপি পরিচালক কানি উইগ্নারাজা বলেন, “কিছু প্রদেশে প্রতি চারটি পরিবারের একটিতে নারীই প্রধান উপার্জনকারী। নারীদের কাজ করতে না দিলে শুধু পরিবার নয়, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
কিছু জেলায় প্রত্যাবাসিত পরিবারের ২৬% পর্যন্ত নারী প্রধান পরিবার, এবং তাদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও দ্বিতীয় দফা বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
ইউএনডিপি তালেবান প্রশাসনকে নারী কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা খাতে আরও সম্পদ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক দাতাদের নারী সহায়তা কর্মীদের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে।
উইগ্নারাজা বলেন, “নারীদের মানবিক সহায়তার সামনের সারি থেকে সরিয়ে দিলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে অসংখ্য মানুষ বঞ্চিত হবে।”
সূত্র: রয়টার্স
এসআর

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানিয়েছে আফগানিস্তানে প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি পরিবার টিকে থাকার জন্য খাবার বাদ দিচ্ছে, সম্পদ বিক্রি করছে বা ঋণ নিচ্ছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, ব্যাপকভাবে বিদেশ থেকে প্রত্যাবাসন বর্তমান মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করছে—যা ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের পর থেকে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি আফগান—মূলত ইরান ও পাকিস্তান থেকে—দেশে ফিরে এসেছে, যা জনসংখ্যা ১০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি ভূমিকম্প, বন্যা ও খরার ফলে ৮,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং জনসেবা ব্যবস্থা “সীমার বাইরে” চাপের মুখে পড়েছে।
৪৮,০০০ পরিবারের ওপর করা জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি প্রত্যাবাসিত পরিবার চিকিৎসা নেওয়া বাদ দিয়ে খাবার কেনার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং ৪৫% পরিবার খোলা ঝর্ণা বা অপরিশোধিত কূপের পানি ব্যবহার করছে। প্রায় ৯০% পরিবার ঋণগ্রস্ত—যেখানে গড় ঋণের পরিমাণ ৩৭৩ থেকে ৯০০ ডলার, যা মাসিক আয়ের পাঁচগুণ এবং বার্ষিক মাথাপিছু জিডিপির প্রায় অর্ধেক।
যেসব এলাকায় বেশি সংখ্যক মানুষ ফিরে এসেছে, সেখানে একজন শিক্ষক ৭০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থীর দায়িত্বে আছেন, শিশু শ্রমের হার ৩০%, এবং চাকরিহীনতা ৯৫% পর্যন্ত পৌঁছেছে। মাসিক গড় আয় মাত্র ৬,৬২৩ আফগানি (প্রায় ১০০ ডলার), অথচ ভাড়ার খরচ তিনগুণ বেড়েছে।
ইউএনডিপি সতর্ক করেছে যে, জরুরি সহায়তা ছাড়া দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও জোরপূর্বক অভিবাসনের সংকট আরও গভীর হবে। সংস্থাটি বলছে, ২০২১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যাপকভাবে কমেছে, যেখানে জাতিসংঘের ৩.১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চাহিদার সামান্য অংশই পূরণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক পূর্ব আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের পর তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে এবং পাকিস্তান কর্তৃক আফগান নাগরিকদের গণপ্রত্যাবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে শরণার্থী ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়সহ তালেবান প্রশাসনের কোনো দপ্তর এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
আফগানিস্তানে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ এখন মাত্র ৬%, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে নারী প্রধান পরিবারগুলোর পক্ষে চাকরি, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনডিপি পরিচালক কানি উইগ্নারাজা বলেন, “কিছু প্রদেশে প্রতি চারটি পরিবারের একটিতে নারীই প্রধান উপার্জনকারী। নারীদের কাজ করতে না দিলে শুধু পরিবার নয়, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
কিছু জেলায় প্রত্যাবাসিত পরিবারের ২৬% পর্যন্ত নারী প্রধান পরিবার, এবং তাদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও দ্বিতীয় দফা বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
ইউএনডিপি তালেবান প্রশাসনকে নারী কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা খাতে আরও সম্পদ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক দাতাদের নারী সহায়তা কর্মীদের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে।
উইগ্নারাজা বলেন, “নারীদের মানবিক সহায়তার সামনের সারি থেকে সরিয়ে দিলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে অসংখ্য মানুষ বঞ্চিত হবে।”
সূত্র: রয়টার্স
এসআর

বিভিন্ন কারণে ভারতে এপর্যন্ত অনেকগুলো হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। ধর্মীয়, ব্যক্তিগত অথবা রাজনৈতিক কারণে হলেও এসব হামলায় মারা যান নেহায়েত নিরাপরাধ সাধারণ কিছু মানুষ। বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। আসুন দেখে নেই ভারতের ভয়বাহ কিছু হামলার চিত্র
২৬ মিনিট আগে
ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মধ্যেই বিচারমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কোকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর বরাত দিয়ে বুধবার কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, "দেশের অভ্যন্তরে যখন সেনাবাহিনীর মদতে সাংবিধানিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার এবং ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চলছে, তা থেকে তাদের নিজেদের জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা আখ্যান তৈরি করা পাকিস্তানের পরিচিত কৌশল। আন্তর্জাতিক মহল ভালো করেই জানে বাস্তবটা কী এবং পাকিস্তান মরিয়া হয়ে নজর ঘ
১ ঘণ্টা আগে
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী আমাজন অঞ্চলে মাদক পাচারকারী এক গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৯ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে