কাতার ও তুরস্কের প্রশংসায় ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬: ২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব করতে অসাধারণ সহায়তা করেছে কাতার ও তুরস্ক। চুক্তিটি সম্পন্ন করতে দুই দেশের সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা বিশাল। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরাইলে যাওয়ার আগে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, তিনি কাতারিদের ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন’ বন্ধ করার জন্য বলেছেন কি না, যেমনটি তিনি তার প্রথম মেয়াদে বলতেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে কাতার আসলেই বিশাল সহায়তা করেছে এবং কাতারের আমির সত্যি চমৎকার একজন মানুষ। আপনাকে বুঝতে হবে, তার দেশ সবকিছুর মাঝামাঝি রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত বা সৌদি আরবের চেয়ে তারা সবার কাছাকাছি। দেশটি অবিশ্বাস্য ধরনের বৈরী অঞ্চলে সবার মাঝামাঝি রয়েছে। এটি কাতারের জন্য কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প বলেন, প্রথম মেয়াদের শুরুতে কাতার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু যখনই তিনি কাতারিদের সম্পর্কে জানতে পারলেন, তখন অনুধাবন করতে পারলেন তারা সবকিছুর মধ্যখানে রয়েছেন। অন্য দেশগুলোতে যেখানে যেতে সময় প্রয়োজন হয়, তখন সব জায়গা থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানেই কাতারে পৌঁছানো যায়।

তিনি বলেন, কাতারি জনগণ ও তাদের আমির প্রচণ্ড সাহসী। চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তাদের উচিত কিছু কৃতিত্ব দাবি করা। কাতার যেভাবে সহায়তা করেছে, তা চমৎকার।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কথা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তুরস্কও চমৎকারভাবে সহায়তা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান চমৎকার সহায়তা করেছেন। তিনি সম্মানিত ও তার জাতি প্রভাবশালী। এছাড়া তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অনেক সহায়তা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহায়তা করেছে। সৌদি আরব ভালো কাজ করেছে। তাদের বাদশাহ নানাভাবে সাহায্য করেছেন। ইন্দোনেশিয়াও চমৎকার কাজ করেছে। অসাধারণ সহায়তা পাওয়া গেছে জর্দান ও দেশটির বাদশাহর কাছ থেকে।

ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কখনো গাজা সফর করবেন কি না। তিনি বলেন, ‘আমি যাব। যেতে পারলে আমি গর্বিত হব। আমি এখানে যাইনি কিন্তু এ অঞ্চলকে ভালোভাবেই জানি। আমি আমার পা এখানে রাখতে চাই।’

তিনি বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এটি অন্যতম এক অলৌকিক ঘটনা হবে। তবে সময়ের আগেই কোনো কিছু করা ভালো হবে না। যে কোনো কাজ যথাযথ গতিতেই করতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী যেখানে যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছেন না, সেখানে আপনার মন্তব্য কী? জবাবে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকবে কি না, প্রশ্ন করা হলে জবাবে বলেন, তা টিকবে বলে মনে করছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধের কারণে মানুষ এখন ক্লান্ত হয়ে গেছে। শতকের পর শতক তা চলে আসছে। তাই যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকবে বলে মনে করেন তিনি।

গাজায় শিগগির ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, পুরো অঞ্চলই বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এটি এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। সবকিছু তাই পরিষ্কার করতে হবে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অস্ত্রধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য অস্ত্র রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারা শান্তি রক্ষা করতে চায় এবং উপত্যকার নিরাপত্তা বহাল রাখার জন্যই তা প্রয়োজন।

গাজা চুক্তিকে নিজের অষ্টম যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা দাবি করে ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়টি নোবেল পুরস্কার কমিটি বিবেচনা করতে পারত। তবে এ কাজ পুরস্কার জয়ের জন্য নয়- মানুষের জীবন রক্ষার জন্য করেছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত