সীমান্তে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে ছয়দিনে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই দেশের সাত লাখ মানুষ। খবর বিবিসির।
শনিবার সামাজিকমাধ্যমে দেয়া পোস্টে থাই প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশ ও জনগণের প্রতি হুমকি থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত থাইল্যান্ড সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।’
থাই নেতার এই ঘোষণার পরপরই কম্বোডিয়া অভিযোগ করে, তাদের ভূখণ্ডে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে থাইল্যান্ড।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিকমাধ্যমে দেয়া পোস্টে জানায়, ‘১৩ ডিসেম্বর থাই সেনাবাহিনী দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি বোমা নিক্ষেপ করে।’ মন্ত্রণালয় আরো জানায়, থাই বাহিনী এখনো বোমা হামলা বন্ধ করেনি।
দুই দেশের সীমান্তে গত রাতভর গোলাগুলি অব্যাহত ছিল। থাই বাহিনী সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে সংঘাতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় পক্ষের সাত লাখ মানুষকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সোমবার থাই ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া লড়াই তিনি ফোন করলেই বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর শুক্রবার রাতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যমে লেখেন, যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে সম্মত হয়েছেন তারা। তিনি লেখেন, ‘উভয় দেশই শান্তির জন্য প্রস্তুত।’
আরএ


চীন থেকে ইরানগামী পণ্যবাহী জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলা
নোবেলজয়ী নার্গেস মোহাম্মদিকে গ্রেপ্তার করল ইরান