জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা এখন ‘অপ্রাসঙ্গিক’: ইরান

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০৭
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ০৫

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ)-এর সঙ্গে ইরানের পূর্বের সহযোগিতা এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনঃআরোপ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের যেকোনো পারমাণবিক আলোচনায় ইউরোপীয় ত্রয়ী — ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির ভূমিকা অতীতের তুলনায় “অনেক ক্ষুদ্র” হবে।

বোরবার পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে জুন মাসে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান সহযোগিতা স্থগিত করে। এরপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনঃআরোপ করা হলে তেহরান আগের চুক্তিকে গুরুত্বহীন বলে ঘোষণা করে।

আরাঘচি অভিযোগ করেন, “তিনটি ইউরোপীয় দেশ ভেবেছিল তাদের হাতে প্রভাব আছে, তারা স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিল। এখন তারা সেই প্রভাব ব্যবহার করেছে এবং তার ফলও দেখেছে। এতে তাদের আলোচনার ন্যায্যতা প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে।”

তিনি জানান, ভবিষ্যতের যেকোনো কূটনৈতিক আলোচনায় ইউরোপীয়দের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে।

ইরান আইএইএর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, দাবি করে যে সংস্থাটি ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও ইরান এখনও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-এর একটি স্বাক্ষরকারী দেশ।

পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে ‘লাল রেখা’ হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে তেহরান বারবার দাবি করেছে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বৈধ।

ইরানের সংসদে এনপিটি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চললেও, প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন যে ইরান এখনও এনপিটি অনুযায়ী তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।

উল্লেখ্য, ইরান এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির আলোচনায় অংশ নিচ্ছিল। তবে জুন মাসে ইসরাইলের ইরানের সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলার পর সেই আলোচনা স্থগিত হয়। তেহরান দাবি করে, এই হামলা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া দুর্বল করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে এবং নতুন আলোচনা শুরুর আগে ইরান তার অধিকার ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত