গাজা পুনর্গঠনে এক হচ্ছে মিসর তুরস্ক কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত

মাত্র চার বছর আগেও কাতারের শাসক, তুরস্ক ও মিসরের প্রেসিডেন্টের একসঙ্গে বসার কথা কল্পনা করা অসম্ভব ছিল। কিন্তু এবার শুধু একসঙ্গে বসাই নয়, বরং যৌথ এক নথিতে স্বাক্ষর করেছে একসময়ের শত্রু তিন দেশ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা, বাজেট পুনর্গঠন, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে একসঙ্গে ভূমিকা পালন করবে মিসর, তুরস্ক ও কাতার।

বিজ্ঞাপন

শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা উপত্যকাকে সুরক্ষিত করতে গঠিত সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীকে (আইএসএফ) নেতৃত্ব দেবে মিসর। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুদ্ধ-পরবর্তী ক্রান্তিকালে বিধ্বস্ত গাজাকে সুরক্ষিত করবে বাহিনীটি।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো একটি প্রস্তাব তৈরি করছে যা আইএসএফকে জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীনে কাজ করার অনুমতি দেবে। তবে বাহিনীটি জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিবেচিত হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিকদের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্ভবত মিসর এই বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে। যদিও কায়রো এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি এবং এই মিশনে সেনা পাঠানোর কোনো প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

এদিকে, আইএসএফ মিশনের সমর্থনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। ইন্দোনেশিয়া এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ যারা প্রকাশ্যে এই মিশনে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটি গত মাসে জানিয়েছে তারা গাজায় ২০ হাজার সেনা পাঠাবে। তারা জাতিসংঘের নির্দেশিত শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে থাকবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে দেশটি।

এছাড়া আজারবাইজানও এই মিশনে সেনা পাঠাতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আমেরিকা ও ইসরাইলে থাকা আজারবাইজানের দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ট্রাম্পকে বলেছিলেন, আঙ্কারা গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। তবে গাজা যুদ্ধের ফলে তুরস্ক-ইসরাইলের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ইসরাইল গাজায় তুর্কি বাহিনীর উপস্থিতি মানবে কি না, তা অনিশ্চিত।

সম্প্রতি ট্রাম্পের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন ‘আরব ও মুসলিম’ দেশসহ আরো অনেকে এই মিশনে সেনা পাঠাতে গোপনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সেনা পাঠাতে না চাইলেও তহবিল কিংবা প্রশিক্ষণে সহায়তা করতে চায় বলে জানা গেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত