দক্ষিণ লেবাননের ঘনবসতিপূর্ণ আইন আল-হিলওয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় মঙ্গলবার রাতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, হামাসের একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে এর বিপরীতে তারা কোনো প্রমাণ প্রকাশ করে নি। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, লেবাননে ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো সামরিক স্থাপনা নেই, তারা ইসরাইলের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে।
এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হামলার পর শিবিরের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচতলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীরা কাজ করছিলেন, আর ওই সময় বন্দুকধারীরা ভিড় সরাতে গুলি ছোড়ে যাতে অ্যাম্বুলেন্স শিবিরে প্রবেশ করতে পারে। আইন আল-হিলওয়ে লেবাননের সবচেয়ে বড় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে।
একই রাতে দক্ষিণ লেবাননের আল-তাইরি শহরে ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে একজন বেসামরিক লেবাননী নিহত হন এবং স্কুলবাসের শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হন। নভেম্বর ২০২৪-এর যুদ্ধবিরতির পরও দক্ষিণ লেবাননে চলমান ইসরাইলি আক্রমণে ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। খান ইউনিসে হামলায় এক নারী ও তার শিশু সন্তান আহত হয়েছে, যদিও অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, দক্ষিণ লেবাননে সাম্প্রতিক ইসরাইলের আক্রমণে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

