চীনের নাগরিকদের জন্য জাপান সফরের উপর সতর্কতার পর, প্রায় ৫০০,০০০টি বিমান টিকিট বাতিল হয়েছে বলে ধারণা করছেন এক এভিয়েশন বিশ্লেষক। চীন ও জাপানের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই উত্তেজনা শুরু হয় যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানাই তাকাইছি মন্তব্য করেন যে, যদি তাইওয়ান আক্রমণের শিকার হয় তবে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
শুক্রবার, চীন তার নাগরিকদের জন্য জাপান সফরের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে এবং আগামী সময়ে জাপানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়। এই সতর্কতার ফলস্বরূপ চীনের নাগরিকদের বিমানের বুকিংয়ে বড় ধরনের পতন দেখা যায়, এমনটি জানিয়েছেন স্বাধীন এভিয়েশন বিশ্লেষক লি হানমিং। তিনি ২০২৩ সাল থেকে প্রধান বিমান সংস্থা এবং অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে দৈনিক বুকিং তথ্য সংগ্রহ করছেন।
লি তার তথ্যে জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে জাপানে বিমানের বুকিং ১.৫ মিলিয়ন থেকে ১৭ নভেম্বর মাত্র ১ মিলিয়নে নেমে আসে, যার ফলে তিনি অনুমান করছেন যে প্রায় ৫০০,০০০টি ভ্রমণ বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, "যদি উত্তেজনা আরও বাড়ে, তবে বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়বে।"
চীনের বেশ কিছু বিমান সংস্থা, যার মধ্যে প্রধান তিনটি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত, ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত জাপানের জন্য করা সমস্ত বুকিংয়ের জন্য পূর্ণ রিফান্ড অফার করেছে।
চীনের ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ট্যুরিজম সংস্থা তাদের অ্যাপ থেকে সমস্ত জাপান ভ্রমণ অপশন সরিয়ে ফেলেছে, আরেকটি বেইজিং ভিত্তিক সংস্থা জানিয়েছে তারা এখন আর জাপানে বুকিং নিচ্ছে না। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে তাদের জাপান ট্যুরগুলি এখনও চালু আছে এবং তারা আশা করছেন যে এই অস্থিরতা স্থায়ী হবে না।
চীনা পর্যটকরা বর্তমানে জাপানের জন্য সবচেয়ে বড় পর্যটক উৎস, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন চীনা পর্যটক জাপান সফর করেছেন, যা জাপানের মোট পর্যটক খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ।
চীনের ভ্রমণ সতর্কতা প্রকাশের পর সোমবার ব্যাপকভাবে জাপানের পর্যটন এবং খুচরা শেয়ারগুলির দামের পতন ঘটে।
এসআর

