তুরস্ক ও হাঙ্গেরি সোমবার বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৬ টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের নেতা এদিন তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইস্তানবুলে হাঙ্গেরি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, দুই দেশ ছয় বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে।
ওরবান তুরস্ক সফর করেন সপ্তম “তুরস্ক-হাঙ্গেরি উচ্চ-স্তরের কৌশলগত সহযোগিতা কাউন্সিল” সভায় অংশ নিতে। এরদোগান বলেন, তারা বাণিজ্য লক্ষ্যকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও জানান, “২০২৫ সালে আমরা ২৮টি যৌথ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি এবং যৌথ প্রকল্পের জন্য সম্পদ বরাদ্দ করেছি,” যেটি তুরস্ক-হাঙ্গেরি “বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের বছর” হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল।
দুই দেশ একটি যৌথ পরিকল্পনা দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হবে, যাতে দ্বিপক্ষীয় ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলো আরও সাংগঠনিকভাবে সমাধান করা যায়।
এরদোয়ান বলেন, “ইউরোপে পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমরা এমন প্রকল্প মূল্যায়ন করছি — যার মধ্যে যৌথ উৎপাদনও অন্তর্ভুক্ত — যা আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
দুই নেতা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনসহ বর্তমান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়েও আলোচনা করেছেন। এরদোগান তুলে ধরেছেন হাঙ্গেরির তুর্কি রাষ্ট্র সংস্থায় (যার পর্যবেক্ষক সদস্য) অবদান।
তিনি বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে হাঙ্গেরি আমাদের স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের ক্ষেত্রে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, শুরু থেকেই আনকারা সকল কূটনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, “যুদ্ধে বিজয়ী বা পরাজিত নেই, ন্যায়সঙ্গত শান্তিতে সবাই লাভবান।”
দুই নেতার আলোচনার পর উভয় দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৬টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরদোয়ান পরে ওরবানের সম্মানে একটি ডিনারও আয়োজন করেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসআর

