‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন উত্তর কোরিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩৮
ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের সর্বাধুনিক ও ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উন বিদেশি অতিথিদের সামনে প্রদর্শিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ পর্যবেক্ষণের সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করেন।

শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। সেটি উদযাপন উপলক্ষে পরদিন শুক্রবার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ও ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তো লামসহ রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।

বিজ্ঞাপন

সামরিক কুচকাওয়াজে দূরপাল্লার কৌশলগত বিভিন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎক্ষেপণযান প্রদর্শন করা হয়। তবে হোয়াসং-২০ নামে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির সামরিক বাহিনীর ‘সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে কেসিএনএ।

হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়া থেকে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের যে কোনো স্থানে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নির্দেশনা ব্যবস্থার দক্ষতা এবং বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ প্রতিরোধে বহনকারী ওয়ারহেডের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি ইঞ্জিনটি এক হাজার ৯৭১ কিলোনিউটন পর্যন্ত সম্মুখ বল প্রয়োগ করতে সক্ষম, যা উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী রকেট ইঞ্জিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞদের মতে, হোয়াসং- ২০ একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করার ক্ষমতাসম্পন্ন, যা প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহজে ভেদ করতে সক্ষম।

কেসিএনএ জানায়, সামরিক কুচকাওয়াজে দেওয়া বক্তব্যে কিম তার সেনাবাহিনীকে বহির্বিশ্বে অভিযান পরিচালনার জন্য ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছেন। কিম বলেন, সামরিক বাহিনীর বীরত্ব কেবল উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষাতেই নয়, বরং দূরবর্তী নির্মাণ ঘাঁটিতে অভিযানের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে। আমাদের সেনাবাহিনীকে এমন একটি অজেয় সত্তায় পরিণত হতে হবেÑযা সব ধরনের হুমকিকে উড়িয়ে দেবে।

এদিকে শুক্রবার কিমের সঙ্গে আলোচনায় মেদভেদেভ জানান, ইউক্রেনে পরিচালিত রাশিয়ার সামরিক অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের আত্মত্যাগ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ওপর আস্থার প্রমাণ দেয়।

কেসিএনএ আরো জানায়, মেদভেদেভদের সঙ্গে আলোচনাকালে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করবে। এছাড়া উভয় দেশের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চুক্তিতে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকার আশা প্রকাশ করেন কিম।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত