অর্থসংকটে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী এক চতুর্থাংশ কমাবে জাতিসংঘ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৪৮

তীব্র অর্থসংকট ও ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তহবিল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চতায় কারণে বিশ্বজুড়ে নয়টি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে এক-চতুর্থাংশ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ (ইউএন)।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স

বিজ্ঞাপন

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, “সামগ্রিকভাবে আমাদের মোট শান্তিরক্ষী সেনা ও পুলিশের প্রায় ২৫ শতাংশকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। পাশাপাশি তাদের সরঞ্জাম এবং মিশনগুলোর বিপুল সংখ্যক বেসামরিক কর্মীর ওপরও এর প্রভাব পড়বে।” এতে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

জাতিসংঘের শান্তি মিশনগুলোতে সবচেয়ে বেশি তহবিল যুগিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট তহবিলের ২৬ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করে। এরপর চীন প্রায় ২৪ শতাংশ তহবিলের যোগান দেয়।

আরেক কর্মকর্তা জানান, ১ জুলাই নতুন অর্থ বছর শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া জমে ১৫০ কোটি ডলার হয়ে গেছে। এখন ওয়াশিংটনের কাছে অতিরিক্ত আরও ১৩০ কোটি ডলার পাওনা। এতে তাদের মোট বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ডলার।

মার্কিন কংগ্রেসকে পাঠানো ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অগাস্টে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৮০ কোটি ডলার একতরফাভাবে বাতিল করেন।

হোয়াইট হাউজের বাজেট দপ্তর ২০২৬ সালের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিলও বাতিল করার প্রস্তাব করেছে। এর কারণ হিসেবে তারা মালি, লেবানন ও ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে মিশনের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের বাধ্য হয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে যে শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে প্রভাব পড়বে সেগুলো হল দক্ষিণ সুদান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ওয়েস্টার্ন সাহারা, ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী গোলান মালভূমির অসামরিকীকরণকৃত এলাকা এবং সুদান ও দক্ষিণ সুদানের যৌথভাবে শাসিত প্রশাসনিক এলাকা আবেই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত