
আমার দেশ অনলাইন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকায় পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির চিত্র। একসময় যেখানে তরুণরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকতেন, সেখানে এখন তারাই নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের মতোই নিঃশব্দে ঘটে চলেছে এই রূপান্তর—যেখানে তরুণ প্রজন্ম কেবল দর্শক নয়, বরং কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
বহু বছর ধরে অঞ্চলটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে প্রথাগত রাজনীতিবিদ এবং উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নেতৃত্ব। কিন্তু নতুন প্রজন্ম, যারা অধিকতর শিক্ষিত, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ এবং সামাজিকভাবে জড়িত, তারা এখন রাজনীতিকে নতুনভাবে কল্পনা করছে—অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণমুখী এবং উন্নয়নকেন্দ্রিক এক রূপে।
বুদগামের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী আকিব শাহ আইন স্নাতক করেছেন, সম্প্রতি পৌর নির্বাচনে অংশ নেন। যদিও তিনি বিজয়ী হননি, তবে অংশগ্রহণই ছিল তার মূল লক্ষ্য। ‘রাজনীতি কেবল অভিজাতদের জন্য নয়, এটি যে কারও জন্য, যে তার কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করতে চায়,’ বলেন আকিব।
শুধু শহরেই নয়, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গ্রামাঞ্চলেও তরুণরা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে—বিশুদ্ধ পানি, ইন্টারনেট সংযোগ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুতে। তারা অনেক সময় রাজনৈতিক ব্যানারে কাজ না করলেও তাদের কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে নাগরিক সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ।
জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি) নির্বাচনে তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন অনন্তনাগের ৩০ বছর বয়সী জুভেরিয়া নাজির, যিনি সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা প্রতিনিধিদের একজন হয়েছিলেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের সাথে উন্নত যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘আমরা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করতে চাই না, আমরা এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে চাই’।
তবে এই অগ্রযাত্রার পথ সম্পূর্ণ মসৃণ নয়। তরুণ নেতারা এখনও পুরনো রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতিরোধ এবং সংশয়ী মানসিকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজন আরও বেশি পরামর্শদাতা, প্ল্যাটফর্ম এবং নাগরিক শিক্ষা।
আশার বিষয় হলো, এই পরিবর্তন ভেতর থেকেই আসছে। পরিবারগুলো মেয়েদের রাজনীতিতে উৎসাহিত করছে, কলেজগুলো আয়োজন করছে মক পার্লামেন্ট এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সোশ্যাল মিডিয়া কেবল মত প্রকাশের নয়, বরং বাস্তব সম্পৃক্ততার একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে।
এই তরুণ প্রজন্ম অতীতকে অস্বীকার করছে না, বরং সেটিকে অতিক্রম করে গঠনমূলক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে। তারা কাশ্মীরের রাজনৈতিক মঞ্চকে এক বন্ধ দরজা থেকে উন্মুক্ত সংলাপের জায়গায় রূপান্তর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সত্যিকার অর্থে কাশ্মীরের উন্নয়ন চাইলে এই তরুণদের কেবল ভোটার নয়, শাসন ব্যবস্থার অংশীদার হিসেবেই দেখতে হবে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই গড়ে উঠবে এক অংশগ্রহণমূলক, গণতান্ত্রিক এবং ভবিষ্যতবান্ধব কাশ্মীর।
সূত্র: দ্য গ্লোবাল কাশ্মীর

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকায় পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির চিত্র। একসময় যেখানে তরুণরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকতেন, সেখানে এখন তারাই নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের মতোই নিঃশব্দে ঘটে চলেছে এই রূপান্তর—যেখানে তরুণ প্রজন্ম কেবল দর্শক নয়, বরং কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
বহু বছর ধরে অঞ্চলটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে প্রথাগত রাজনীতিবিদ এবং উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নেতৃত্ব। কিন্তু নতুন প্রজন্ম, যারা অধিকতর শিক্ষিত, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ এবং সামাজিকভাবে জড়িত, তারা এখন রাজনীতিকে নতুনভাবে কল্পনা করছে—অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণমুখী এবং উন্নয়নকেন্দ্রিক এক রূপে।
বুদগামের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী আকিব শাহ আইন স্নাতক করেছেন, সম্প্রতি পৌর নির্বাচনে অংশ নেন। যদিও তিনি বিজয়ী হননি, তবে অংশগ্রহণই ছিল তার মূল লক্ষ্য। ‘রাজনীতি কেবল অভিজাতদের জন্য নয়, এটি যে কারও জন্য, যে তার কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করতে চায়,’ বলেন আকিব।
শুধু শহরেই নয়, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গ্রামাঞ্চলেও তরুণরা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে—বিশুদ্ধ পানি, ইন্টারনেট সংযোগ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুতে। তারা অনেক সময় রাজনৈতিক ব্যানারে কাজ না করলেও তাদের কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে নাগরিক সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ।
জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি) নির্বাচনে তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন অনন্তনাগের ৩০ বছর বয়সী জুভেরিয়া নাজির, যিনি সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা প্রতিনিধিদের একজন হয়েছিলেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের সাথে উন্নত যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘আমরা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করতে চাই না, আমরা এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে চাই’।
তবে এই অগ্রযাত্রার পথ সম্পূর্ণ মসৃণ নয়। তরুণ নেতারা এখনও পুরনো রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতিরোধ এবং সংশয়ী মানসিকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজন আরও বেশি পরামর্শদাতা, প্ল্যাটফর্ম এবং নাগরিক শিক্ষা।
আশার বিষয় হলো, এই পরিবর্তন ভেতর থেকেই আসছে। পরিবারগুলো মেয়েদের রাজনীতিতে উৎসাহিত করছে, কলেজগুলো আয়োজন করছে মক পার্লামেন্ট এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সোশ্যাল মিডিয়া কেবল মত প্রকাশের নয়, বরং বাস্তব সম্পৃক্ততার একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে।
এই তরুণ প্রজন্ম অতীতকে অস্বীকার করছে না, বরং সেটিকে অতিক্রম করে গঠনমূলক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে। তারা কাশ্মীরের রাজনৈতিক মঞ্চকে এক বন্ধ দরজা থেকে উন্মুক্ত সংলাপের জায়গায় রূপান্তর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সত্যিকার অর্থে কাশ্মীরের উন্নয়ন চাইলে এই তরুণদের কেবল ভোটার নয়, শাসন ব্যবস্থার অংশীদার হিসেবেই দেখতে হবে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই গড়ে উঠবে এক অংশগ্রহণমূলক, গণতান্ত্রিক এবং ভবিষ্যতবান্ধব কাশ্মীর।
সূত্র: দ্য গ্লোবাল কাশ্মীর

পুরো দুবছর ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে এ অঞ্চলের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরুর পরিকল্পনা চলছে। এ লক্ষ্যে আমেরিকা গাজাকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ইসরাইলি ও আন্তর্জাতিক
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, মিশরসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (UNSC) দ্রুত গাজার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা পরিষদের চলমান প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে বৃষ্টি কামনার বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিখারা অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পরই মদিনার আকাশে নেমে আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। শুক্রবার প্রবল বর্ষণে ভিজে ওঠে মসজিদে নববীর প্রাঙ্গণ, আর সেই নির্মল বর্ষণের মাঝে মুসল্লিরা আদায় করেন সাপ্তাহিক জুমার নামাজ। পবিত্র এই মুহূর্তটি বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ আ
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে শনিবার (১৫ শনিবার) ভারী বৃষ্টিপাতে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবিরগুলো পানিতে ডুবে গেছে। আল-মাওয়াসি এলাকার বিভিন্ন স্থানে শরণার্থী শিবিরগুলোতে পানি ঢুকে পড়লে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জরুরি ব্য়বস্থা নেয় গাজার সিভিল ডিফেন্স।
৯ ঘণ্টা আগে