ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার ঘিরে তীব্র চাপে নরওয়ে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৭
ছবি: মিডল ইস্ট মনিটর

নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি চাপের মুখে পড়েছে নরওয়ে। শুক্রবার শান্তি পুরস্কারের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নরওয়ের ওপর মার্কিন নেতাকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক ও প্রচারমূলক চাপ বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে নিজের ভূমিকা দাবি করে ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। তার ছেলে এরিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা ট্রাম্পের পুরস্কার পাওয়ার দাবিকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা দপ্তর সামাজিক মাধ্যমে তাকে “শান্তির প্রেসিডেন্ট” হিসেবে প্রচার করছে।

নরওয়ের রাজধানী অসলোভিত্তিক স্বাধীন নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তারা কোনো রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস জানিয়েছেন, এ বছরের পুরস্কারের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির বিষয়টি ভবিষ্যতের পুরস্কারে বিবেচনা করা হতে পারে। নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডও জানিয়েছেন, সরকার নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তে কোনোভাবেই প্রভাব খাটায় না।

ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক প্রচারণা নরওয়েকে কূটনৈতিকভাবে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নরওয়ের চলমান বাণিজ্য আলোচনায় ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে নরওয়ের ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রায় ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় উদ্বেগ রয়েছে যে ট্রাম্প কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন।

বুকমেকারের এক প্রতিষ্ঠানের তথ্যে দেখা গেছে, ট্রাম্প বর্তমানে নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকার শীর্ষে আছেন। তার পরেই রয়েছে সুদানের মানবিক সহায়তা সংস্থা ইআরআর এবং প্রয়াত রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার নাম। তবে ইতিহাস বলছে, বুকমেকারদের পূর্বাভাস অতীতে বহুবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন শেষ হয়েছে ৩১ জানুয়ারি, ঠিক ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার কিছুদিন পরেই। এর আগে ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যেই এই পুরস্কার লাভ করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত