
আমার দেশ অনলাইন

ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা বিশ্বমঞ্চে এক নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন — প্রাক্তন ‘জিহাদি যোদ্ধা’ থেকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক। এই রূপান্তরের প্রতীক হয়ে উঠেছে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর, যেখানে সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সিরিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এটি প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।
জানুয়ারিতে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পর এটি হবে আল-শারার ২০তম বিদেশ সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় আগমন। এর আগে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
এই বৈঠককে বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ও ঝুঁকিপূর্ণ কূটনৈতিক সাক্ষাৎ — মুখোমুখি হবেন সাবেক মার্কিন প্রতিপক্ষ ও হোয়াইট হাউসের বর্তমান অধিপতি।
গত মে মাসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় এক বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আল-শারাকে “তরুণ ও আকর্ষণীয় নেতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে সিরিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের নির্দেশ দেন। তবে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কঠোর নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটনে আল-শারার মূল লক্ষ্য সিরিয়ার ওপর অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ট্রাম্পকে রাজি করানো যেন তিনি ইসরায়েলকে সিরিয়ার ওপর হামলা বন্ধ ও দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি সিরিয়ার আন্তর্জাতিক একঘরেমি ভাঙার চেষ্টা করছেন—যা দীর্ঘদিন ধরে আসাদ শাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে দেশটিকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও ইরানের ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছিল।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে আল-শারা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক প্রতীকী বাস্কেটবল খেলায় অংশ নেন। অথচ দুই দশক আগেও তিনি ছিলেন মার্কিন বাহিনীর প্রতিপক্ষ—ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়া সাবেক যোদ্ধা। বন্দিদশা শেষে মুক্তি পেয়ে ২০১১ সালে তিনি সিরিয়ায় ফিরে আল-কায়েদা-সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গঠন করেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর গত বছর এক আকস্মিক সামরিক অভিযানে তিনি ৫৩ বছরের আসাদ রাজবংশের পতন ঘটান, যা কার্যত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়।
আসাদ যুগে সিরিয়া ছিল মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র। ১৯৭১ সালে হাফেজ আল-আসাদের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তারতুসে নৌঘাঁটি স্থাপন করে, যা আজও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ২০১৫ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক হস্তক্ষেপ আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখলেও, সেই অভিযানে হাজারো সিরীয় প্রাণ হারায়।
গত মাসে আল-শারা মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, যদিও তিনি রাশিয়াকে শত্রু বানাতে চান না। সিবিএসের ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে এখন সংঘাতে যাওয়া সিরিয়ার জন্য ব্যয়বহুল ও অযৌক্তিক হবে।”
একসময় যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই নেতা এখন বৈশ্বিক কূটনীতির নতুন মুখ। সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোও তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে, ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব কমানোর আশায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এই পরিস্থিতি একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে ঝুঁকি। প্রতিবেশী লেবানন ভেঙে পড়ছে, আর ইরাক এখনো ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে।
ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক জোশুয়া ল্যান্ডিস মন্তব্য করেছেন, “ওয়াশিংটন আল-শারা ও সিরিয়ার ওপর এক বড় জুয়া খেলছে। কিন্তু বিকল্পও সীমিত—লেবানন অস্থিতিশীল, আর ইরাক ইরানের প্রভাবাধীন।”
তবে নতুন এই নেতা এখন ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সিএসআইএস-এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নাটাশা হল বলেন, “আল-শারার কূটনৈতিক অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে—নতুন যুগে কেউ একপক্ষীয়ভাবে জোটবদ্ধ নয়। পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক যেমন বাস্তববাদী, তেমনি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও তিনি নতুন সম্পর্কের পথ খুলছেন।”
তথ্যসূত্র: সিএনএন
এসআর

ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা বিশ্বমঞ্চে এক নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন — প্রাক্তন ‘জিহাদি যোদ্ধা’ থেকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক। এই রূপান্তরের প্রতীক হয়ে উঠেছে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর, যেখানে সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সিরিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এটি প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।
জানুয়ারিতে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পর এটি হবে আল-শারার ২০তম বিদেশ সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় আগমন। এর আগে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
এই বৈঠককে বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ও ঝুঁকিপূর্ণ কূটনৈতিক সাক্ষাৎ — মুখোমুখি হবেন সাবেক মার্কিন প্রতিপক্ষ ও হোয়াইট হাউসের বর্তমান অধিপতি।
গত মে মাসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় এক বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আল-শারাকে “তরুণ ও আকর্ষণীয় নেতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে সিরিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের নির্দেশ দেন। তবে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কঠোর নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটনে আল-শারার মূল লক্ষ্য সিরিয়ার ওপর অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ট্রাম্পকে রাজি করানো যেন তিনি ইসরায়েলকে সিরিয়ার ওপর হামলা বন্ধ ও দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি সিরিয়ার আন্তর্জাতিক একঘরেমি ভাঙার চেষ্টা করছেন—যা দীর্ঘদিন ধরে আসাদ শাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে দেশটিকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও ইরানের ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছিল।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে আল-শারা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক প্রতীকী বাস্কেটবল খেলায় অংশ নেন। অথচ দুই দশক আগেও তিনি ছিলেন মার্কিন বাহিনীর প্রতিপক্ষ—ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়া সাবেক যোদ্ধা। বন্দিদশা শেষে মুক্তি পেয়ে ২০১১ সালে তিনি সিরিয়ায় ফিরে আল-কায়েদা-সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গঠন করেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর গত বছর এক আকস্মিক সামরিক অভিযানে তিনি ৫৩ বছরের আসাদ রাজবংশের পতন ঘটান, যা কার্যত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়।
আসাদ যুগে সিরিয়া ছিল মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র। ১৯৭১ সালে হাফেজ আল-আসাদের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তারতুসে নৌঘাঁটি স্থাপন করে, যা আজও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ২০১৫ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক হস্তক্ষেপ আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখলেও, সেই অভিযানে হাজারো সিরীয় প্রাণ হারায়।
গত মাসে আল-শারা মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, যদিও তিনি রাশিয়াকে শত্রু বানাতে চান না। সিবিএসের ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে এখন সংঘাতে যাওয়া সিরিয়ার জন্য ব্যয়বহুল ও অযৌক্তিক হবে।”
একসময় যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই নেতা এখন বৈশ্বিক কূটনীতির নতুন মুখ। সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোও তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে, ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব কমানোর আশায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এই পরিস্থিতি একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে ঝুঁকি। প্রতিবেশী লেবানন ভেঙে পড়ছে, আর ইরাক এখনো ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে।
ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক জোশুয়া ল্যান্ডিস মন্তব্য করেছেন, “ওয়াশিংটন আল-শারা ও সিরিয়ার ওপর এক বড় জুয়া খেলছে। কিন্তু বিকল্পও সীমিত—লেবানন অস্থিতিশীল, আর ইরাক ইরানের প্রভাবাধীন।”
তবে নতুন এই নেতা এখন ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সিএসআইএস-এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নাটাশা হল বলেন, “আল-শারার কূটনৈতিক অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে—নতুন যুগে কেউ একপক্ষীয়ভাবে জোটবদ্ধ নয়। পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক যেমন বাস্তববাদী, তেমনি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও তিনি নতুন সম্পর্কের পথ খুলছেন।”
তথ্যসূত্র: সিএনএন
এসআর
এরদোয়ান তার আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হলো এমন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা যা যুদ্ধবিরতি টেকসই করবে এবং অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী হামলার স্থায়ী সমাপ্তি ঘটাবে।" তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, চূড়ান্ত শান্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জা
২১ মিনিট আগে
ইসলামাবাদে বিরোধীদের বয়কট ও হট্টগোলের মধ্যেও পাকিস্তান সিনেটে ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল ভোটের জন্য পেশ করা হয়েছে। এর আগে সিনেট ও জাতীয় পরিষদের আইন ও বিচার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির যৌথ বৈঠকে সামান্য পরিবর্তনসহ বিলটি অনুমোদন পেয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
রাশিয়া তার জনবল ও সামরিক সরঞ্জামে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে, তবে ভূখণ্ড দখল ধীরে ধীরে এবং ব্যয়সাপেক্ষে হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় চার বছর পরে দুই পক্ষই ব্যাপকভাবে নিরাপদ স্থাপনায় অবস্থান করছে।
২ ঘণ্টা আগে
৩ নভেম্বর ইসরাইলি সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য একটি বিল উত্থাপন করে। সংসদের নিরাপত্তা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত বিলটি আজ (১০ নভেম্বর) প্রথম পাঠের জন্য নেসেটে আনা হয়েছে। ইতোমেধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আইনটির বিরুদ্ধে ব্যাপক
৩ ঘণ্টা আগে