আমার দেশ অনলাইন
সরকারি শাটডাউনের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রায় ১৫,০০০ কর্মীকে এই সপ্তাহে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ফলে সংস্থার বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাজেট কাটছাঁট, কর্মী ছাঁটাই এবং ভবিষ্যৎ তহবিল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও একটি মিশন এগিয়ে চলছে পূর্ণ উদ্যমে—নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য চাঁদে পুনরায় নভোচারী পাঠানো।
শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, নাসার নেতৃত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিদলীয় আইনপ্রণেতারা আর্টেমিস মিশনকে "জাতীয় নিরাপত্তার অপরিহার্য অংশ" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, চাঁদে চীনের আগমন প্রতিহত করতে আমেরিকার আগে সেখানে পৌঁছানো প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটেই আর্টেমিস প্রোগ্রামকে শাটডাউনেও ‘অপরিহার্য’ কার্যক্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নাসার সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বন্ধের সময়েও প্রায় ৩,০০০ কর্মী আর্টেমিস মিশনে কাজ করছেন—যা আগের শাটডাউনের তুলনায় দ্বিগুণ। চলমান কার্যক্রমের বেশিরভাগই আর্টেমিস ২ মিশন ঘিরে, যা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাঁদের কক্ষপথে চার নভোচারী নিয়ে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এছাড়া আর্টেমিস ৩ মিশনের কাজও অব্যাহত রয়েছে, যার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটিতে আবারো মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই মিশনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট। বিশাল এই রকেট এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একাধিক ইন-ফ্লাইট ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে। যদিও সর্বশেষ পরীক্ষাটি সফল ছিল এবং আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি আরও একটি ফ্লাইটের পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, নাসার অন্যান্য বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প ও গবেষণার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্থার বিজ্ঞান তহবিল প্রায় ৫০% এবং মোট বাজেট ২৪% কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, তবুও চূড়ান্ত তহবিল পাস না হওয়ায় আশঙ্কা রয়ে গেছে যে, ওএমবি পক্ষ থেকে কঠোর বাজেট বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের আটজন আইনপ্রণেতা কংগ্রেসে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, যেন নাসাকে স্টপগ্যাপ তহবিলেও সুরক্ষা দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নাসার অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ রোবোটিক বিজ্ঞান মিশন, যেগুলিতে ইতিমধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের করদাতাদের অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে—যা পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হবে।
নাসার সাবেক প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইনও সতর্ক করে বলেছেন, মৌলিক বিজ্ঞান ছাড়া নাসার মিশনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এ ধরনের গবেষণা অপরিহার্য।
তবে পরিস্থিতির সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়েছে মানবসম্পদের উপর। ছাঁটাই ও চাকরি ছাড়ার কারণে নাসার কর্মীসংখ্যা ২০% এরও বেশি কমে গেছে। হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থেকে অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী বিদায় নিয়েছেন। এমনকি চাঁদের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞকেও হারিয়েছে নাসা।
নাসার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে কর্মীরা জানিয়েছেন, অফিস বন্ধ, ইউনিয়ন ভাঙন ও চূড়ান্ত বাজেটের অভাবে অনিশ্চয়তা চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই জানেন না কী বাজেট অনুযায়ী কাজ চলছে এবং প্রকৃতপক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে যাচ্ছে।
নাসার সাম্প্রতিক শাটডাউন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গবেষণা প্রকল্পগুলোতেই অর্থায়ন চলবে—যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে অনেক বিজ্ঞানমিশনের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সব মিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান গবেষণা সংস্থা নাসা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর্টেমিস প্রোগ্রাম সামনের দিকে এগোলেও, অন্যসব বিজ্ঞানমিশনের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।
সরকারি শাটডাউনের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রায় ১৫,০০০ কর্মীকে এই সপ্তাহে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ফলে সংস্থার বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাজেট কাটছাঁট, কর্মী ছাঁটাই এবং ভবিষ্যৎ তহবিল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও একটি মিশন এগিয়ে চলছে পূর্ণ উদ্যমে—নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য চাঁদে পুনরায় নভোচারী পাঠানো।
শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, নাসার নেতৃত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিদলীয় আইনপ্রণেতারা আর্টেমিস মিশনকে "জাতীয় নিরাপত্তার অপরিহার্য অংশ" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, চাঁদে চীনের আগমন প্রতিহত করতে আমেরিকার আগে সেখানে পৌঁছানো প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটেই আর্টেমিস প্রোগ্রামকে শাটডাউনেও ‘অপরিহার্য’ কার্যক্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নাসার সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বন্ধের সময়েও প্রায় ৩,০০০ কর্মী আর্টেমিস মিশনে কাজ করছেন—যা আগের শাটডাউনের তুলনায় দ্বিগুণ। চলমান কার্যক্রমের বেশিরভাগই আর্টেমিস ২ মিশন ঘিরে, যা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাঁদের কক্ষপথে চার নভোচারী নিয়ে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এছাড়া আর্টেমিস ৩ মিশনের কাজও অব্যাহত রয়েছে, যার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটিতে আবারো মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই মিশনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট। বিশাল এই রকেট এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একাধিক ইন-ফ্লাইট ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে। যদিও সর্বশেষ পরীক্ষাটি সফল ছিল এবং আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি আরও একটি ফ্লাইটের পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, নাসার অন্যান্য বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প ও গবেষণার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্থার বিজ্ঞান তহবিল প্রায় ৫০% এবং মোট বাজেট ২৪% কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, তবুও চূড়ান্ত তহবিল পাস না হওয়ায় আশঙ্কা রয়ে গেছে যে, ওএমবি পক্ষ থেকে কঠোর বাজেট বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের আটজন আইনপ্রণেতা কংগ্রেসে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, যেন নাসাকে স্টপগ্যাপ তহবিলেও সুরক্ষা দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নাসার অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ রোবোটিক বিজ্ঞান মিশন, যেগুলিতে ইতিমধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের করদাতাদের অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে—যা পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হবে।
নাসার সাবেক প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইনও সতর্ক করে বলেছেন, মৌলিক বিজ্ঞান ছাড়া নাসার মিশনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এ ধরনের গবেষণা অপরিহার্য।
তবে পরিস্থিতির সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়েছে মানবসম্পদের উপর। ছাঁটাই ও চাকরি ছাড়ার কারণে নাসার কর্মীসংখ্যা ২০% এরও বেশি কমে গেছে। হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থেকে অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী বিদায় নিয়েছেন। এমনকি চাঁদের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞকেও হারিয়েছে নাসা।
নাসার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে কর্মীরা জানিয়েছেন, অফিস বন্ধ, ইউনিয়ন ভাঙন ও চূড়ান্ত বাজেটের অভাবে অনিশ্চয়তা চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই জানেন না কী বাজেট অনুযায়ী কাজ চলছে এবং প্রকৃতপক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে যাচ্ছে।
নাসার সাম্প্রতিক শাটডাউন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গবেষণা প্রকল্পগুলোতেই অর্থায়ন চলবে—যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে অনেক বিজ্ঞানমিশনের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সব মিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান গবেষণা সংস্থা নাসা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর্টেমিস প্রোগ্রাম সামনের দিকে এগোলেও, অন্যসব বিজ্ঞানমিশনের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্পনগরী এলাকা কানপুর। গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সৈয়দ নগরে ঈদে মিলাদুন্নবি উদ্যাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
২১ মিনিট আগেসম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৩৩ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে