চরম নিরাপত্তাহীনতায় সুদানের বাস্তুচ্যুত ৮১ হাজার মানুষ: জাতিসংঘ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৭
ছবি: বার্তা সংস্থা আনাদোলু

চলমান সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে সুদানের এল-ফাশের থেকে পালিয়েছে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। বুধবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একথা জানিয়েছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, পালিয়ে গিয়েও নিশ্চিত নন বাস্তুচ্যুত মানুষেরা। নিরপত্তার অভাবে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, এল-ফাশের এবং আশেপাশের এলাকা থেকে ৮১ হাজার ৮১৭ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের বেশিরভাগই এল-ফাশের এলাকার আশপাশেই রয়েছেন। তবে কিছু সংখ্যক মানুষ উত্তর দারফুরের কাবকাবিয়া, মেলিট, কুতুম এবং তাওইলা এলাকায় চলে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতি অনুসারে, সুদানের অন্যান্য রাজ্যেও বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে হোয়াইট নাইল রাজ্যের কোস্তি, পশ্চিম কর্দোফানের ঘবেইশ, মধ্য দারফুরের মধ্য ও উত্তর জেবেল মারা, পশ্চিম দারফুরের পশ্চিম আল-জুনাইনাহ এবং কুলবুস, পূর্ব দারফুরের শায়েরিয়া, দক্ষিণ দারফুরের পূর্ব জেবেল ও আল-উইহদা।

আইওএম জানিয়েছে, বাস্তুচ্যতরা রাস্তাঘাটে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ২৬শে অক্টোবর উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এবং এই অঞ্চলের একটি কৌশলগত শহর এল-ফাশের দখল করে নেয়। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ভৌগোলিক বিভাজন আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে, আরএসএফ বর্তমানে পশ্চিমে দারফুর অঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যই নিয়ন্ত্রণ করে। রাজধানী খার্তুমসহ দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব এবং মধ্য অঞ্চলের বাকি ১৩টি রাজ্যের বেশিরভাগই সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে, যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আরএ

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত