ইসরাইল সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো নরওয়ের প্রকল্প

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১৪: ২৪
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ১৪: ৫৪
ছবি: আল জাজিরা

নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল প্রকল্প কেএলপি জানিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে এখন থেকে আর ব্যবসা করবে না তারা। এই দুটি প্রতিষ্ঠান হলো ওশকোশ কর্পোরেশন এবং থাইসেনক্রুপ। প্রতিষ্ঠান দুটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে যন্ত্রপাতি বিক্রি করে। কেএলপি বলছে, এসব যন্ত্রপাতি গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ওশকোশ কর্পোরেশন ট্রাক, সামরিক যানবাহন, ট্রাকবডি, বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি এবং নকশা করে।

বিজ্ঞাপন

আর জার্মান শিল্প সংস্থা থাইসেনক্রুপ লিফট এবং শিল্প যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ পর্যন্ত তৈরি করে।

কেএলপি’র দায়িত্বশীল বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান কিরণ আজিজ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুনে, কেএলপি জাতিসংঘের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় বেশ কয়েকটি নামি সংস্থা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে এবং এই অস্ত্রগুলো গাজায় হামলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো ওশকোশ কর্পোরেশন এবং থাইসেনক্রুপ প্রতিষ্ঠান আমাদের দায়িত্বশীল বিনিয়োগ নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছে।’

আর এ কারণেই এই প্রতিষ্ঠান দুটোকে কেএলপি’র বিনিয়োগের সব ক্ষেত্র থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পেনশন তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ওশকোশে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার এবং থাইসেনক্রুপে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল।

কেএলপি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল প্রকল্প।

কেএলপি জানিয়েছে, সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তখন ওশকোশ নিশ্চিত করেছে যে তারা ইসরাইলের কাছে যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছে। আর এসব যন্ত্রপাতি গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। ওশকোশ ইসরাইলের কাছে মূলত সামরিক যানবাহন এবং যন্ত্রাংশ বিক্রি করে।

আর থাইসেনক্রুপ কেএলপিকে জানিয়েছে যে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তারা ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ইসরাইলের নৌবাহিনীকে চারটি যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করেছে।

জার্মান কোম্পানিটি আরো জানিয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের শেষের দিকে ইসরাইলি নৌবাহিনীকে একটি সাবমেরিন সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত