আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০: ৩২

যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। এটি তার বিরুদ্ধে নেওয়া ফ্রান্সের বিচার বিভাগ কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।

বিজ্ঞাপন

মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার জারি করা এই পরোয়ানায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদকে ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক’ হিসেবে ২০১৭ সালে সিরিয়ার ডেরা শহরে বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

৫৯ বছর বয়সি ফ্রাঙ্কো সিরীয় নাগরিক এবং সাবেক ফরাসি শিক্ষক সালাহ আবু নাবাউত হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি ২০১৭ সালের ৭ জুন সিরীয় সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় নিজ বাড়িতে নিহত হন।

ফরাসি বিচার বিভাগ মনে করে, আসাদ এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এর পেছনে সবকিছু সরবরাহও করেছিলেন তিনি। এ মামলার তদন্ত করছেন ফ্রান্সের দুই তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই মামলার জন্য দেশটির ঊর্ধ্বতন ছয় সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ফ্রান্স সরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাসায়নিক গ্যাস হামলার জন্য বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই হামলায় সারিন গ্যাস দ্বারা এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এমন তথ্য জানিয়েছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা।

নিহত শিক্ষকের ছেলে ওমর আবু নাবুত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ন্যায়বিচারের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন। এ মামলায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার হবে বলে আশা প্রকাশ তার পরিবারের।

এই হামলার পেছনে আসাদের অংশগ্রহণ ‘সম্ভাব্য’ বিবেচনা করে গত বছর এই পরোয়ানার বিরুদ্ধে আপিল জারি করেছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটররা। এর পেছনে তাদের যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আসাদের দায়মুক্তি থাকা উচিত। তবে তার ক্ষমতাচ্যুতির ফলে এখন তার মর্যাদা ও সম্ভাব্য দায়মুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসাদ ও তার পরিবার মস্কোয় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুসারে, ফরাসি বিচার ব্যবস্থা সিরিয়ার কর্মকর্তাদের জন্য মোট ১৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ২০১১ সালে নৃশংসভাবে দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে আসাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত