জেন-জি বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসভায় যোগ দিলেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা। তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের ভার ছেড়ে দিয়ে তিনি পালাবেন না। শনিবার নিজ দল সিপিএন-ইউএমএলের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বালুওয়াতার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক সভায় ভাষণ দিলেন তিনি।
কেপি শর্মা বলেন, ‘আমরা এই দেশকে সাংবিধানিক মূলধারায় ফিরিয়ে আনব। আমরা দেশে শান্তি ও সুশাসন ফিরিয়ে আনব।’
অলির অভিযোগ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নয়, বরং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। পাশাপাশি আন্দোলনের সময় সেসময়ের প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার রেকর্ড প্রকাশ করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কেপি শর্মা।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাহসের সাথে এগুলো প্রকাশ করুন। আমি সরকারি কর্মচারীদের যে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, সেই সময়কার নির্দেশনাগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করুন।’
বর্তমান সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ ও তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সুশীলা কার্কির সরকার দেশকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও তার অভিযোগ।
জেন-জি বিক্ষোভের সময় নয় দিন নেপালি সেনাবাহিনীর অধীনে থাকার পর, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর গুন্ডুতে একটি ভাড়া বাড়িতে চলে যান তিনি। কারণ গত ৯ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের সময় তার ব্যক্তিগত বাড়ি বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দেয়।
আরএ


ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া বেআইনি
ওয়াংচুক বাংলাদেশ এসেছিলেন, রয়েছে পাকিস্তান সংশ্লিষ্টতা: দাবি লাদাখ পুলিশের