ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সৌদি নাগরিক ওমর ইয়াগি ২০২৫ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এই সম্মান ভাগাভাগি করেছেন জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড রবসন। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে। তারা যৌথভাবে পুরস্কারটি পেয়েছেন “ধাতু-জৈব কাঠামোর ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ উন্নয়নের জন্য”।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ধাতু-জৈব কাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে এই বিজ্ঞানীরা রসায়নবিদদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন, যা আধুনিক যুগের নানা বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।”
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস কর্তৃক প্রদত্ত এই নোবেল পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
জর্ডানে ফিলিস্তিনি পিতামাতার ঘরে জন্ম নেওয়া ওমর ইয়াঘি ২০২১ সালে সৌদি নাগরিকত্ব লাভ করেন। সৌদি সরকারের রাজকীয় অনুমোদনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি নাগরিকত্ব পান। বিদ্যুৎ এবং সুপেয় পানির সীমিত সুবিধা নিয়ে একটি মাত্র ঘরে গাদাগাদি করে থেকে কেটেছে তাঁর শৈশব। বাবার অনুপ্রেরণায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় আর্বানা-শ্যাম্পেইন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন।
এদিকে, সুসুমু কিতাগাওয়া ১৯৫১ সালে জাপানের কিয়োটোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। রিচার্ড রবসন ১৯৩৭ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাসবার্নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন।
২০২৫ সালের চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর এটি ছিল বছরের তৃতীয় পুরস্কার। ১৯০১ সালে আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা অনুযায়ী চালু হওয়া এই পুরস্কার বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখাদের দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার, জন জাম্পার, এবং ব্রিটিশ ডেমিস হাসাবিস, প্রোটিনের গঠন বিশ্লেষণ ও নতুন প্রোটিন তৈরির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদানের জন্য।


রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিনজন
শহিদুল আলম আটকের পর তার পেজ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলো