দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি গ্রেপ্তার

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৪৭
ছবি: আল জাজিরা

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেয়াবাজারে কারসাজি এবং ঘুষসহ একাধিক অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে থেকেই তার স্বামী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল কারাগারবন্দি রয়েছেন। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার সিউলে আদালতে চার ঘন্টার শুনানিতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি। তবে আদালত প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় তাকে আটক রাখতে পরোয়ানা জারি করে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী একই সময়ে কারাগারে বন্দি হলেন।

কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনা দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

প্রসিকিউটররা বলছেন, ৫২ বছর বয়সী কিম দক্ষিণ কোরিয়ার বিএমডব্লিউ ডিলার ডয়চ মোটরসের শেয়ারের মূল্য কারচুপির একটি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ ডলারের বেশি আয় করেছেন।

যদিও ঘটনাটি তার স্বামী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ঘটেছিল, তবে পুরো মেয়াদ জুড়ে এ অভিযোগ তার স্বামীর প্রেসিডেন্সিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছিল।

ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে ঘুষ হিসেবে দুটি শ্যানেল ব্যাগ এবং একটি হীরার নেকলেস গ্রহণ করেছিলেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া কিমের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের সময় প্রার্থী মনোনয়নে হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে।

মঙ্গলবারের শুনানিতে কালো স্যুট এবং কালো স্কার্ট পরে হাজির হন কিম। এসময় তিনি বেষশ গম্ভীর ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইউন কিমের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বিরোধী দলের আনা বিশেষ কাউন্সেল বিল তিনবার ভেটো দেন। এর মধ্যে শেষ ভেটোটি ছিল গত বছরের নভেম্বরে। সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেই ভেটো দিয়েছিলেন তিনি।

আর চলতি বছরের জুনে ইউনের প্রতিদ্বন্দ্বী লি জে মিয়ং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশেষ কাউন্সেল গঠন করা হয়।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত