জিম্মি মুক্তির আগে তেল আবিবের সমাবেশে ট্রাম্পের প্রশংসা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৫
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০২
তেল আবিবের সমাবেশে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ। ছবি : রয়টার্স

হামাসের কাছে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির আগে তেলআবিবে এক সমাবেশে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সেখানে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের ফেরানোর বিষয়টি সম্ভব করে তোলায় ট্রাম্পের প্রশংসা করেন। সমাবেশে ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার বক্তব্য রাখেন।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরাইলি সেনা সরে যাওয়ার পর গত দুই দিনে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরে এসেছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে যুদ্ধ অবসানের সমঝোতা চূড়ান্ত করতে একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিসর। ট্রাম্পসহ প্রায় ২০ জন নেতা সোমবারের ওই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মিসরে যাওয়ার আগে ইসরাইলে যাবেন ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতার আওতায় ৪৮ জন জিম্মির প্রত্যেককে মুক্তি দিতে হামাসকে সোমবার স্থানীয় সময় ১২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হয়।

হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ওসামা হামদান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সমঝোতা অনুযায়ী সোমবার সকালে বন্দি বিনিময় শুরু হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় আভিভ হাভরনের পরিবারের সদস্যদের অপহরোণ করা হয়। আভিভ বলেছেন, এটি কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে তারা ফিরে আসছে। এটি ছাড়া আমরা পুনরায় জীবন শুরু করতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, আমার বোনেরা ও দুই ভগ্নিপতিকে হত্যা করা হয়েছিল। পরিবারের সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছে।

তেল আবিবের সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকে বলেছেন, ধন্যবাদ, ট্রাম্প। আবার উইটকফ যখন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করেন, তখন অনেকে দুয়ো দেন।

এদিকে গাজায় ইসরাইলি সেনারা যেসব এলাকা ছেড়ে গেছে, সেখানকার নিয়ন্ত্রণের জন্য হামাস তাদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছে।

অবশ্য কে গাজা শাসন করবে, এই অনিশ্চয়তা ও অভ্যন্তরীণ সহিংসতার আশঙ্কার মধ্যে এটাই প্রত্যাশিত ছিল। হামাস ও গাজার কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে ঘরবাড়ি হারানো ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরের দিকে আসা অব্যাহত রেখেছে। অনেকেই এসে তাদের ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখছেন।

গাজার বসাইন্দা মোসা আলদৌস বলেন, এখানে আর কোনো ঘর নেই। সব শেষ।

রাজা সালমি নামের একজন বলেছেন, তার সব স্মৃতি ধুলোয় মিশে গেছে।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতা অনুযায়ী, গাজায় আরো ত্রাণবাহী ট্রাক যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যায় ত্রাণবাহী ট্রাক এখনো গাজায় প্রবেশ করেনি। সংস্থাটি বলছে, তাদের লক্ষ্য শহরজুড়ে ১৪৫টি জায়গায় নিয়মিত খাদ্য বিতরণ শুরু করা।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার ৫০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে। তবে এই দাবি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, কোথাও ক্ষুধা দেখা গেলে তার দায় সাহায্য সংস্থা ও হামাসের।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

গৃহবধূর লাশ রেখে স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির সবাই উধাও

কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকায় বিক্রি, ৩ নারী গ্রেপ্তার

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত