গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় কী আছে?

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ০০
ছবি: বার্তা সংস্থা আনাদোলু

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যুদ্ধের অবসান ঘটবে এবং সেখানে থাকা সকল জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর

স্থানীয় সময় সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘পুরো অঞ্চলে আমাদের বন্ধু এবং অংশীদারদের সাথে ব্যাপক আলোচনার পর, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তির জন্য আমাদের নীতিমালা প্রকাশ করছি।’

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাস তার অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং যাবতীয় আক্রমণাত্মক অস্ত্র ধ্বংস করবে। পাশাপাশি গাজায় সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ও অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা ধ্বংস করা হবে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ২০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। এর পাশাপাশি ২৪ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

যেসব ইসরাইলি জিম্মির দেহাবশেষ দেয়া হবে তার প্রতিটির বিনিময়ে ইসরাইল ১৫ জন করে গাজার নিহত ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করবে।

এছাড়া পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ প্রস্তাবে সম্মত হলে অবিলম্বে গাজায় পূর্ণ মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘যদি উভয় পক্ষ এই প্রস্তাবে সম্মত হয়, তাহলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে এবং ইসরাইলি বাহিনী গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, সকল সামরিক অভিযান স্থগিত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পনায় গাজার ভবিষ্যৎ শাসন কেমন হবে তার একটি রূপরেখাও দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে ‘একটি টেকনোক্র্যাট, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি’ সাময়িকভাবে গাজা শাসন করবে।

আর এর তদারকি করবে নতুন একটি আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তীকালীন সংস্থা। ট্রাম্প এর নাম দিয়েছেন বোর্ড অব পিস, যা তার নেতৃত্বেই হবে।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও এ পরিকল্পনার অংশ হবেন।

এ প্রশাসন বা সরকারের অধীনে গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না। ইসরেইল উপত্যকাটি দখল করবে না। গাজা পুনর্নির্মাণ করা হবে।

আরএ

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত