
সরদার আনিছ

চাল আমদানি বন্ধ হওয়ার গুজব ছড়িয়ে আবার বাজার অস্থির করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মাঠপর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধেই বাজারে সরবরাহ বেড়ে দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে, চাল আমদানি স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে ব্যাপক আমদানি হওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে; ফলে দাম কমে বাজার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। সরবরাহ অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু করপোরেট হাউসগুলো এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাইছে না। তারা চাইছে আমদানি বন্ধ হোক, তাহলে আবার ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো সম্ভব হবে।
রাজধানীর চাঁদপুর রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলোর সততা থাকলে দাম আরো কমতে পারত। কিন্তু তারা গুজব ছড়িয়ে মিনিকেট চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, চাল আমদানি বন্ধের কোনো আলোচনা নেই। বরং উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি অব্যাহত থাকবে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে বাজারে মজুতের চাল ঢুকছে, ফলে সিন্ডিকেটের সুযোগ কমেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে, আমন মৌসুমে ফলন ভালো হলে দাম আরো কমবে।
এদিকে আমদানির প্রভাবে গত দুই মাসে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম পাঁচ-ছয় টাকা কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকায় চালের বাজার এখনো নিম্নমুখী রয়েছে। তারা বলছেন, আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সহসাই চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে তিন লাখ ৮৪ হাজার টন এবং সরকারি পর্যায়ে ৫০ হাজার ৪৩০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ বছর ৯ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১১ লাখ টন গমও আমদানি করেছে সরকার।
সরকারের আমদানিকৃত চাল আসছে ভারত, মিয়ানমার ও দুবাই থেকে। ২২ অক্টোবর আরো এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং দুবাই থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ও জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ আট হাজার টাকা।
চলতি বছর দেশে বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও গত জুন থেকে বাড়তে শুরু করে চালের দাম। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোটা, মাঝারি ও সরু চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছিল প্রায় ৮-১০ টাকা। আগস্টের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা এবং বস্তাপ্রতি ১২৫-১৫০ টাকা দাম কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত আমদানির কারণেই দাম কমতে শুরু করেছে। তবে পোলাও চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাবুবাজার, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ইরি, স্বর্ণা-জাতীয় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও এ চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আটাশ, পাইজাম-জাতীয় মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, মানভেদে এ ধরনের চালের সর্বোচ্চ দাম ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও মাঝারি মানের চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নাজিরশাইল-জাতীয় সরু চালের দাম কমেছে সাত টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে ভালো মানের নাজিরশাইল ৮০ টাকা এবং নিম্নমানেরগুলো ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জনতা রাইস এজেন্সির হাজী আবু ওসমান বলেন, ‘কয়েক মাস পর চালের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক ধরে পাঁচ থেকে ছয় টাকা কমেছে। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট করার ক্ষমতা এখন আর নেই। আমদানি অব্যাহত থাকলে আমন মৌসুমে চালের দাম আরো কমতে পারে।’
এদিকে চলতি বছর বোরো মৌসুমে দেশের কৃষক থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনেছে সরকার। যার পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ টন। এছাড়া ৪৯ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল কিনেছে প্রায় ১৪ হাজার টন এবং আতপ চাল কিনেছে ৫১ হাজার ৩০৭ টন। যার কেজিপ্রতি মূল্য ৪৮ টাকা। বর্তমানে সরকারের খাদ্যভাণ্ডারে চাল মজুত রয়েছে ১৪ লাখ এক হাজার ৪৪৬ টন এবং ধান রয়েছে দুই হাজার ৫৬৬ টন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ প্রকাশিত আপডেট তথ্যে বলা হয়েছে, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় এক শতাংশ কমেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী; সরকারিভাবে আমদানি করায় দেশের বাজারে দাম যখন কিছুটা কমছে, ঠিক সে সময়ে নতুন গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে করপোরেট হাউসগুলো। তারা সব সময় এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বাজার অস্থির করে থাকে। এসবের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার চাল কিনতে অভ্যন্তরীণ খাতের জন্য ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং আমদানির জন্য সাত হাজার আট কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে সরকার এটি বাড়াতে বা কমাতেও পারে।

চাল আমদানি বন্ধ হওয়ার গুজব ছড়িয়ে আবার বাজার অস্থির করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মাঠপর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধেই বাজারে সরবরাহ বেড়ে দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে, চাল আমদানি স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে ব্যাপক আমদানি হওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে; ফলে দাম কমে বাজার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। সরবরাহ অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু করপোরেট হাউসগুলো এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাইছে না। তারা চাইছে আমদানি বন্ধ হোক, তাহলে আবার ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো সম্ভব হবে।
রাজধানীর চাঁদপুর রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলোর সততা থাকলে দাম আরো কমতে পারত। কিন্তু তারা গুজব ছড়িয়ে মিনিকেট চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, চাল আমদানি বন্ধের কোনো আলোচনা নেই। বরং উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি অব্যাহত থাকবে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে বাজারে মজুতের চাল ঢুকছে, ফলে সিন্ডিকেটের সুযোগ কমেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে, আমন মৌসুমে ফলন ভালো হলে দাম আরো কমবে।
এদিকে আমদানির প্রভাবে গত দুই মাসে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম পাঁচ-ছয় টাকা কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকায় চালের বাজার এখনো নিম্নমুখী রয়েছে। তারা বলছেন, আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সহসাই চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে তিন লাখ ৮৪ হাজার টন এবং সরকারি পর্যায়ে ৫০ হাজার ৪৩০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ বছর ৯ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১১ লাখ টন গমও আমদানি করেছে সরকার।
সরকারের আমদানিকৃত চাল আসছে ভারত, মিয়ানমার ও দুবাই থেকে। ২২ অক্টোবর আরো এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং দুবাই থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ও জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ আট হাজার টাকা।
চলতি বছর দেশে বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও গত জুন থেকে বাড়তে শুরু করে চালের দাম। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোটা, মাঝারি ও সরু চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছিল প্রায় ৮-১০ টাকা। আগস্টের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা এবং বস্তাপ্রতি ১২৫-১৫০ টাকা দাম কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত আমদানির কারণেই দাম কমতে শুরু করেছে। তবে পোলাও চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাবুবাজার, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ইরি, স্বর্ণা-জাতীয় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও এ চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আটাশ, পাইজাম-জাতীয় মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, মানভেদে এ ধরনের চালের সর্বোচ্চ দাম ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও মাঝারি মানের চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নাজিরশাইল-জাতীয় সরু চালের দাম কমেছে সাত টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে ভালো মানের নাজিরশাইল ৮০ টাকা এবং নিম্নমানেরগুলো ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জনতা রাইস এজেন্সির হাজী আবু ওসমান বলেন, ‘কয়েক মাস পর চালের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক ধরে পাঁচ থেকে ছয় টাকা কমেছে। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট করার ক্ষমতা এখন আর নেই। আমদানি অব্যাহত থাকলে আমন মৌসুমে চালের দাম আরো কমতে পারে।’
এদিকে চলতি বছর বোরো মৌসুমে দেশের কৃষক থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনেছে সরকার। যার পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ টন। এছাড়া ৪৯ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল কিনেছে প্রায় ১৪ হাজার টন এবং আতপ চাল কিনেছে ৫১ হাজার ৩০৭ টন। যার কেজিপ্রতি মূল্য ৪৮ টাকা। বর্তমানে সরকারের খাদ্যভাণ্ডারে চাল মজুত রয়েছে ১৪ লাখ এক হাজার ৪৪৬ টন এবং ধান রয়েছে দুই হাজার ৫৬৬ টন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ প্রকাশিত আপডেট তথ্যে বলা হয়েছে, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় এক শতাংশ কমেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী; সরকারিভাবে আমদানি করায় দেশের বাজারে দাম যখন কিছুটা কমছে, ঠিক সে সময়ে নতুন গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে করপোরেট হাউসগুলো। তারা সব সময় এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বাজার অস্থির করে থাকে। এসবের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার চাল কিনতে অভ্যন্তরীণ খাতের জন্য ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং আমদানির জন্য সাত হাজার আট কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে সরকার এটি বাড়াতে বা কমাতেও পারে।

গণশুনানির কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে—গ্রাহকের অভিযোগ শোনা, নীতিমালা উন্নয়ন ও সেবার মান যাচাইসংক্রান্ত আলোচনা। মিটিংয়ে গ্রাহকরা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তখন ওই সমস্যার সমাধান দেবেন। এছাড়া তাদের নতুন কী উদ্যোগ রয়েছে, সেটিও তারা গ্রাহকদের বলবেন। গ্রাহকদের অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত
২ ঘণ্টা আগে
রবিশস্য চাষের ভরা মৌসুমে সারের জন্য দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না কোথাও। তবে বাড়তি দামে কোনো কোনো স্থানে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শস্য চাষে চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন কৃষক।
১ দিন আগে
স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষের বই ছাপতে সরকারের বরাদ্দ থেকে নানা কৌশলে শত শত কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট মহল লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ আছে।
২ দিন আগে
রাজধানীর বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগান এলাকার আট তরুণকে হঠাৎ রাতের আঁধারে তুলে নিয়েছিল র্যাব। ঘটনার শিকার পাঠাওয়ের তখনকার সফটওয়্যার প্রকৌশলী আরাফাত জানান, বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সময় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্তত একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
২ দিন আগে