ঘুস খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান হেলালুদ্দীন

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৫৬
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ০৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৩১০ জন শরণার্থীকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার খায়েশ ছিল তার। এজন্য নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হেলালুদ্দীন।

কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র অনুসন্ধানে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু হাসিনা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন জড়িত থাকায় বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো দুদকের যে কর্মকর্তা এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন তারই চাকরি চলে যায় ‘ঠুনকো অজুহাতে’।

বিজ্ঞাপন

দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানান হেলালুদ্দীন। এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে হয় তাকে।

দুদকের ধারণা, এই চক্র শুধু ঈদগাঁও, ইসলামাবাদেই নয়, বরং কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, লামা, আলীকদমে আশ্রয় নেওয়া আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভোটার বানিয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরে নির্বাচন কমিশনও আলাদা একটি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। নির্বাচন কমিশন ও দুদকের করা চাঞ্চল্যকর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি দৈনিক আমার দেশ’র হাতে এসেছে।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী আমলা হিসেবে পরিচিত হেলালুদ্দীন আহমদ।

দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর নির্বাচন করার খায়েশ থেকে ওই এলাকায় আশ্রিত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার বানাতে শুরু করেন তিনি। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হয়। একদিকে যেমন এলাকায় তার ভোটার তৈরি হয়। অন্যদিকে প্রতিটি এনআইডি কার্ড দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুদক ও নির্বাচন কমিশনের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হেলালুদ্দীনের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটটি শুধু তার নির্বাচনী এলাকাতেই থেমে থাকেনি। বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছে তারা। তবে পতিত সরকারের বাধায় বিস্তারিত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।

বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে পারলে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো, যার মধ্যে অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড পায় পুলিশ, যা ইস্যু করা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে। ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নুর ওই এনআইডি সংগ্রহ করে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে দুদক। এতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

হেলালুদ্দীনের নাম এলো যেভাবে

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্তের স্বার্থে দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে ব্যবহৃত আটটি ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় দুদক। তবে সাতটি ল্যাপটপের ব্যাপারে জিডি ও মামলা রেকর্ড করাসহ আইডি ব্লক করার কথা জানানো হলেও ইসির দাবি করা মিরসরাই থেকে খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অজ্ঞাত কারণে।

৪৩৯১ আইডি নম্বরের ল্যাপটপটির আইডিও ব্লক করা হয়নি তখনও। ওই একটি ল্যাপটপ দিয়েই ২০১৬ সাল থেকে টানা ৩ বছর ধরে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার বানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজারই কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা।

অনুসন্ধানী দল ইসির সার্ভারে ঢুকে দেখতে পায়, ভোটার হওয়ার জন্য যে নিবন্ধন ফর্ম ব্যবহার করা হয় তার সিরিয়াল নম্বর ৪১৮৬৬৩০১ হতে ৪১৮৬৬৪০০ পর্যন্ত ১০০টি ফর্মের একটি বই একটি অফিসের নামে ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও এর ৬৩টি ফরম ব্যবহার করা হয়েছে দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে।

এ ছাড়া ২৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে যে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে ভোটার বানানো হয়েছে তাদের কারোর ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র আপলোড করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে। অনুসন্ধান চলাকালেই সে সময়ের নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুউদ্দীন ফোন করে দুদকের অনুসন্ধানী টিমকে অভিযান অসমাপ্ত রেখেই ফিরে আসতে চাপ দেন। এতেই হেলালের নাম সন্দেহের তালিকায় আসে দুদকের।

যেভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো

মূলত চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেখ, সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল ও পাভেল বড়ুয়া টেকনিক্যাল কাজগুলো করতেন। নির্বাচন অফিসে বসে অফিসের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেই ভুয়া ভোটার তৈরির কাজ করতেন তারা।

এ ছাড়া জয়নালের বাঁশখালীর বাড়িতে আলাদা সার্ভার রুম বসিয়েও অফিস টাইমের পড়ে সবাই মিলে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর এই কাজ চালিয়ে গেছেন টানা তিন বছর। এসব কাজে ডাবলমুরিং নির্বাচন অফিসের স্ক্যানার, ফিঙ্গারিং মেশিন, আইরিশ ডিটেক্টর ও সিগনেচার প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের আরেক অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ ভোটার নিবন্ধন ফরমগুলো চুরি করে জয়নালের কাছে দিত। প্রক্রিয়া শেষে তথ্যগুলো কথিত খোয়া যাওয়া ৪৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে আপলোড করতেন জয়নাল। আর ঢাকা থেকে সেগুলো দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের আইডি ও মডেম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ইমপোর্ট দিতেন সত্য সুন্দর দে ও মহিউদ্দিন তারেখ।

রোহিঙ্গা ইস্যু থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ৩২ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে খাতা-কলমে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তৈরি করা নিবন্ধন ফরমের ৪১টি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করাসহ পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন অফিসের প্রত্যয়নপত্র, বিদ্যালয়ের সনদ, জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন, ভূমিসনদ, উদ্যোক্তা সনদের প্রয়োজন হয়।

এসব ডকুমেন্টের কোনোটির ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সত্যায়নপত্রসহ সব ডকুমেন্টের সফটকপি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করতে হয়। কিন্তু এই ৫৫ হাজার ৩১০ জনের একজনের ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্ট নেই ইসিতে।

হেলালুদ্দীনের সহযোগী হিসেবে যারা

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করা ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরা সবাই হেলালুদ্দীনের সিন্ডিকেটের সদস্য।

এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন হেলালের ভাই নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের শিক্ষক মুজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন পরিচালক খোরশেদ আলম, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন ঢাকার টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অফিসার সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল, কক্সবাজার পূর্ব গোমাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ, নির্বাচন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেক, আউট সোর্সিং কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আবদুল লতিফ শেখ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, সরফরাজ কাদের রাসেল, জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলমসহ ১০৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সিন্ডিকেটে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী, শিক্ষক সবাই রয়েছে।

রোহিঙ্গা ভোটার জালিয়াতি ধরায় চাকরি যায় দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের

দুদকের পরিচালক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অনুসন্ধানী কমিটি গঠিত হয়। তবে কার্যত অনুসন্ধানের সব কাজ করেন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। ২০১৯ সাল থেকে টানা দুই বছর অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ১৬ জুন প্রথম একসঙ্গে ৫টি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই দিনই হেলাল উদ্দিনের প্রভাবে তাকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। এর কয়েকদিন পর চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

অনুসন্ধানী দলের বক্তব্য

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানী দল এমনকি চট্টগ্রাম দুদকের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমার দেশ’র সঙ্গে কথা বলেন অনুসন্ধানী টিমের একজন সদস্য। তিনি বলেন, অনুসন্ধানের বিভিন্ন পর্যায়ে হেলালুদ্দীনের হস্তক্ষেপের কারণে তাকে সন্দেহের চোখে দেখে দুদক। এক পর্যায়ে সরাসরি যুক্ত জয়নাল, সত্যসুন্দর, শাহ নুর, শাহজামালসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলে তারাই হেলালুদ্দীনের নাম স্বীকার করেন।

তদন্তকালে বিভিন্ন নির্বাচন অফিসের অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারাও এই ঘটনার সঙ্গে হেলালুদ্দীনের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। অনুসন্ধানকালে ভোটার তালিকায় ঢোকা কক্সবাজারের ঈদগাঁও ও ইসলামাবাদ এলাকার ৮৯৭ জনকে স্ব-শরীরে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারাও অকপটে বলেছেন হেলালুদ্দীনকে ভোট দেওয়ার শর্তে দালালদের ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী জানান, টাকার বিনিময়ে কিংবা সামাজিক আধিপত্যের কারণে কোনো বিদেশি নাগরিককে নিজ দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সহায়তা করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরও সরকারের টনক না নড়ায় বুঝতে হবে— এর সঙ্গে শুধু সাবেক সচিবই নয় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিষয়টি আবার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে অভিযুক্ত হেলালুদ্দীন আহমদ কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত