ইমদাদ হোসাইন
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব এতটাই প্রকট যে, গ্রীষ্মে মধুমতির পানির গ্রহণযোগ্য লবণাক্ততার সীমা প্রতি লিটারে ৬০০ মিলিগ্রাম থেকে বেড়ে ২৬০০ মিলিগ্রাম হয়। সুপেয় পানি দিতে ব্যর্থ হয় ওয়াসা। এপ্রিল ও মে মাসে ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য দুই হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে খুলনা ওয়াসা। প্রকল্পটির ব্যয়ের সিংহভাগই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। প্রকল্পটি আজ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে খুলনা ওয়াসার প্রস্তাবিত খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২) শীর্ষক প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় মোট দুই হাজার ৫৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় হবে ৭৭৭ কোটি আর এডিবির প্রকল্প ঋণ এক হাজার ৮২২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে বিদ্যমান এলাকায় ৩০০ কিলোমিটারের পাইপ নেটওয়ার্কে মিটারসহ ডিএমএ (ডিটেইলড মিটারড এরিয়া) স্থাপনে। এ খাতে ব্যয় হবে ৭০৬ কোটি টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ২৭ শতাংশের বেশি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় হবে নতুন করে সম্প্রসারণ এলাকায় মিটারসহ ডিএমএ স্থাপন এবং পরিষেবা সংযোগসহ ২৩০ কিলোমিটার বিতরণ পাইপ নেটওয়ার্ক নির্মাণে। এ খাতে ব্যয় হবে ৫০৯ কোটি টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ৩৮ কিলোমিটার খাল খনন ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ হবে ৪৬৯ কোটি টাকার বেশি। এটি প্রকল্পের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়।
খুলনা ওয়াসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদ্যমান সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের (ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারের প্লান্ট) উৎপাদিত পানি এবং নলকূপ থেকে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে গ্রাহকের চাহিদার শতভাগ পূরণ করা হবে। কিন্তু খুলনা অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে (এপ্রিল ও মে) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মধুমতি নদীর পানিতে লবণাক্ততা দেখা দেয়।
বর্তমানে খুলনা ওয়াসা মধুমতি নদী থেকে প্রায় ১০ মাস নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে স্বাভাবিক নিরাপদ পানি সরবরাহ বছরের দুই মাস (এপ্রিল ও মে) ব্যাহত হয়। সে সময় খুলনাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত মানের পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।
সমুদ্রের লবণাক্ত পানির বিস্তৃতি প্রতি মাসেই বাড়ছে। খুলনা ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫০ কিলোমিটার দূরে মধুমতি নদী থেকে সুপেয় পানি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ৫০ কিলোমিটার দূরেও লবণাক্ততা ছাড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও ওয়াসা বলছে, সেটি তাদের গবেষণায়ও আছে; কিন্তু সবচেয়ে কাছের সুপেয় পানির ব্যবস্থা এটিই। বাধ্য হয়েই এখানে যেতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা ওয়াসার এমডি আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে কাছের সুপেয় পানির বিকল্প ৫০ কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লবণ পানি শোধনের প্রযুক্তি আছে। কিন্তু আমাদের দেশে লবণাক্ত পানি শোধনের প্রযুক্তি এখনো আসেনি।’
আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, ‘এ প্রযুক্তি আনলে আবার লবণ পানি কোথায় ফেলব—সেটিও চিন্তার বিষয়। কারণ, এর মাধ্যমে অন্য পানির লবণাক্ততা আরো বাড়বে। সবচেয়ে কাছে মধুমতি ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প এখন হাতে নেই, সে জন্য প্রকল্প এভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।’
নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে ভবিষ্যতে শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা মহানগরীতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জন্য সারা বছর সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে খুলনা ওয়াসা এ প্রকল্পটির প্রস্তাব করেছে।
খুলনা ওয়াসার এমডি বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করা। আমাদের পানিস্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে আমাদের অর্ধেক ওয়ার্ডকে ১৬টি সুপেয় পানির আওতায় নিয়ে এসেছি। বাকি ১৫টি ওয়ার্ডে আমরা ভূ-উপরিস্থ পানি দিতে পারি না। এসব ওয়ার্ডে দুই কোটি লিটার পানির প্রয়োজন। খুলনা ওয়াসা সেখানে সরবরাহ করতে পারে মাত্র অর্ধেক। প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর বাকি এলাকায় সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় পর্যায় হাতে নেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) মতো প্রধান তহবিলগুলোর প্রক্রিয়াগত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অর্থপ্রাপ্তি কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ অনুদানের পরিবর্তে ঋণ হিসেবে আসছে—যা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর নতুন করে ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে। জলবায়ুর জন্য নেওয়া ঋণ জলবায়ু ন্যায়বিচার নীতির পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ, এ খাতে মূলত জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী দেশগুলোর অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন করার কথা।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে খুলনার নদ-নদী ও খালে অস্বাভাবিক লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। এখানকার পানি সেচের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ, এর লবণাক্ততার মাত্রা পাঁচ ডিএস/মিটারের স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত লবণাক্ততার অনুপ্রবেশের কারণে কৃষিজমি তার উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে; ফলে ফসল উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়াও এই লবণাক্ততা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব এতটাই প্রকট যে, গ্রীষ্মে মধুমতির পানির গ্রহণযোগ্য লবণাক্ততার সীমা প্রতি লিটারে ৬০০ মিলিগ্রাম থেকে বেড়ে ২৬০০ মিলিগ্রাম হয়। সুপেয় পানি দিতে ব্যর্থ হয় ওয়াসা। এপ্রিল ও মে মাসে ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য দুই হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে খুলনা ওয়াসা। প্রকল্পটির ব্যয়ের সিংহভাগই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। প্রকল্পটি আজ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে খুলনা ওয়াসার প্রস্তাবিত খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২) শীর্ষক প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় মোট দুই হাজার ৫৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় হবে ৭৭৭ কোটি আর এডিবির প্রকল্প ঋণ এক হাজার ৮২২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে বিদ্যমান এলাকায় ৩০০ কিলোমিটারের পাইপ নেটওয়ার্কে মিটারসহ ডিএমএ (ডিটেইলড মিটারড এরিয়া) স্থাপনে। এ খাতে ব্যয় হবে ৭০৬ কোটি টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ২৭ শতাংশের বেশি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় হবে নতুন করে সম্প্রসারণ এলাকায় মিটারসহ ডিএমএ স্থাপন এবং পরিষেবা সংযোগসহ ২৩০ কিলোমিটার বিতরণ পাইপ নেটওয়ার্ক নির্মাণে। এ খাতে ব্যয় হবে ৫০৯ কোটি টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ৩৮ কিলোমিটার খাল খনন ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ হবে ৪৬৯ কোটি টাকার বেশি। এটি প্রকল্পের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়।
খুলনা ওয়াসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদ্যমান সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের (ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারের প্লান্ট) উৎপাদিত পানি এবং নলকূপ থেকে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে গ্রাহকের চাহিদার শতভাগ পূরণ করা হবে। কিন্তু খুলনা অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে (এপ্রিল ও মে) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মধুমতি নদীর পানিতে লবণাক্ততা দেখা দেয়।
বর্তমানে খুলনা ওয়াসা মধুমতি নদী থেকে প্রায় ১০ মাস নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে স্বাভাবিক নিরাপদ পানি সরবরাহ বছরের দুই মাস (এপ্রিল ও মে) ব্যাহত হয়। সে সময় খুলনাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত মানের পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।
সমুদ্রের লবণাক্ত পানির বিস্তৃতি প্রতি মাসেই বাড়ছে। খুলনা ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫০ কিলোমিটার দূরে মধুমতি নদী থেকে সুপেয় পানি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ৫০ কিলোমিটার দূরেও লবণাক্ততা ছাড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও ওয়াসা বলছে, সেটি তাদের গবেষণায়ও আছে; কিন্তু সবচেয়ে কাছের সুপেয় পানির ব্যবস্থা এটিই। বাধ্য হয়েই এখানে যেতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা ওয়াসার এমডি আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে কাছের সুপেয় পানির বিকল্প ৫০ কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লবণ পানি শোধনের প্রযুক্তি আছে। কিন্তু আমাদের দেশে লবণাক্ত পানি শোধনের প্রযুক্তি এখনো আসেনি।’
আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, ‘এ প্রযুক্তি আনলে আবার লবণ পানি কোথায় ফেলব—সেটিও চিন্তার বিষয়। কারণ, এর মাধ্যমে অন্য পানির লবণাক্ততা আরো বাড়বে। সবচেয়ে কাছে মধুমতি ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প এখন হাতে নেই, সে জন্য প্রকল্প এভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।’
নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে ভবিষ্যতে শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা মহানগরীতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জন্য সারা বছর সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে খুলনা ওয়াসা এ প্রকল্পটির প্রস্তাব করেছে।
খুলনা ওয়াসার এমডি বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করা। আমাদের পানিস্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে আমাদের অর্ধেক ওয়ার্ডকে ১৬টি সুপেয় পানির আওতায় নিয়ে এসেছি। বাকি ১৫টি ওয়ার্ডে আমরা ভূ-উপরিস্থ পানি দিতে পারি না। এসব ওয়ার্ডে দুই কোটি লিটার পানির প্রয়োজন। খুলনা ওয়াসা সেখানে সরবরাহ করতে পারে মাত্র অর্ধেক। প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর বাকি এলাকায় সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় পর্যায় হাতে নেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) মতো প্রধান তহবিলগুলোর প্রক্রিয়াগত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অর্থপ্রাপ্তি কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ অনুদানের পরিবর্তে ঋণ হিসেবে আসছে—যা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর নতুন করে ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে। জলবায়ুর জন্য নেওয়া ঋণ জলবায়ু ন্যায়বিচার নীতির পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ, এ খাতে মূলত জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী দেশগুলোর অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন করার কথা।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে খুলনার নদ-নদী ও খালে অস্বাভাবিক লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। এখানকার পানি সেচের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ, এর লবণাক্ততার মাত্রা পাঁচ ডিএস/মিটারের স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত লবণাক্ততার অনুপ্রবেশের কারণে কৃষিজমি তার উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে; ফলে ফসল উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়াও এই লবণাক্ততা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে