
গাজী শাহনেওয়াজ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কমবেশি ১৪ দিন আগে ভোট দিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে ২৮ দিন আগে ব্যালট পাঠানো হবে। দেশের দূরত্ব বিবেচনায় ওই সময় রাখা হয়েছে। এজন্য দুটি খাম একত্রে পাঠানো হবে। মুদ্রিত ব্যালট যাবে সাদা খামে। ভোট শেষে হলুদ খামে ফেরত পাঠাবেন ভোটার। ভোটের গোপনীয়তার স্বার্থে রঙিন খাম ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু নিবন্ধনকারীরা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একাধিক সূত্র এ বিষয়ে আমার দেশকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, এবার ইসির লক্ষ্য ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটার। প্রতিটি ভোটারের পেছনে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। ইতোমধ্যে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি মিশনগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে অংশ নিতে প্রচার শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের আলোকে ধাপে ধাপে প্রবাসীদের জন্য ব্যালট মুদ্রণ শুরু হবে।
ইসি ও ডাক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, কারাগারের বন্দি ও নির্বাচনি কাজে যুক্ত নাগরিকরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। এজন্য তাদেরও আগে থেকে নিবন্ধন করতে হবে। এসব ব্যক্তির কাছে ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহ আগে ব্যালট পাঠানো হবে। দেশি-বিদেশি পাঠানো চিঠির অবস্থান গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমে (জিপিএস) তদারক করবে ডাক বিভাগ।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের জন্য ব্যালট ছাপানো হবে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগে। এ কারণে সেখানে শুধু দলের নাম ও প্রতীক থাকবে। ওই ব্যালটে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্যও কমবেশি ১৫টি প্রতীক রাখা হবে। সংসদীয় ৩০০ আসনে প্রার্থী কে—নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে তা জেনে ভোট দেবেন তারা। অন্যদিকে দেশীয় নাগরিকদের ব্যালটে রাখা হবে প্রার্থীর নাম ও দলীয় প্রতীক। এসব ভোটারের পেছনে সরকারের ব্যয় হবে ১২২ টাকা।
সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটদানে ‘সিস্টেম উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন (ওসিভি-এসডিআই)’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে। এর পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। অনলাইন নিবন্ধনে অ্যাপ তৈরিসহ প্রাসঙ্গিক খরচ নির্বাহ হবে এ প্রকল্প থেকে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ তৈরি, পরীক্ষামূলকভাবে প্রবাসী ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের নিবন্ধন, ট্র্যাকিং মডিউল এবং প্রতীক ও প্রার্থীদের সংযুক্ত করার কাজ শেষ করা হবে। আগামী ১ থেকে ৩১ অক্টোবরের পর্যন্ত মোবাইল অ্যাপের ট্রায়াল, নিরীক্ষা, ত্রুটি সংশোধন ও ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা হবে। ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বরে মধ্যে ব্যালট পেপার, নির্দেশিকা ও ঘোষণাপত্র মুদ্রণ করা হবে। আর ভোটার তালিকাভুক্তি নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে ১১ নভেম্বর থেকে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে ডাক বিভাগ খামের কাস্টমাইজেশন করবে ১৫ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি। ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে ২০ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটার তালিকা মুদ্রণ হবে ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর।
নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারসহ দেশের অভ্যন্তরে ভোটে নিয়োজিত কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আর এজন্য তৈরি করা হচ্ছে, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি অ্যাপ।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অনুমানিক ১০ লাখ মানুষ ভোটে অংশ নেবেন। নিবন্ধন করবেন আরো বেশি। যদি এ সংখ্যক প্রবাসী অংশ নেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রবাসীদের ভোটদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করবে।’
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, প্রবাসীদের ব্যালট আমরা দ্রুত সময়ে ছাপানো শুরু করব। এ ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না। শুধু প্রতীক ও দলের নাম থাকবে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১০ থেকে ১৫টি প্রতীক রাখা হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী নিবন্ধন শুরু হবে। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো ইতোমধ্যে প্রবাসীদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার শুরু হয়েছে।
প্রবাসী ভোটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত জানানো হবে : ইসি
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে দ্রুত জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির নবনিযুক্ত জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের জন্য ওসিভি (আউট অব কান্ট্রি ভোটিং) প্রজেক্ট হয়েছে। ওই প্রকল্পের অধীনে আমরা কীভাবে ভোট দেব, প্রবাসী ভোটাররা কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন—তার একটা মোটামুটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এটা অনুমোদনের জন্য আমরা কমিশনে দিয়েছি।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কমবেশি ১৪ দিন আগে ভোট দিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে ২৮ দিন আগে ব্যালট পাঠানো হবে। দেশের দূরত্ব বিবেচনায় ওই সময় রাখা হয়েছে। এজন্য দুটি খাম একত্রে পাঠানো হবে। মুদ্রিত ব্যালট যাবে সাদা খামে। ভোট শেষে হলুদ খামে ফেরত পাঠাবেন ভোটার। ভোটের গোপনীয়তার স্বার্থে রঙিন খাম ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু নিবন্ধনকারীরা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একাধিক সূত্র এ বিষয়ে আমার দেশকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, এবার ইসির লক্ষ্য ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটার। প্রতিটি ভোটারের পেছনে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। ইতোমধ্যে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি মিশনগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে অংশ নিতে প্রচার শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের আলোকে ধাপে ধাপে প্রবাসীদের জন্য ব্যালট মুদ্রণ শুরু হবে।
ইসি ও ডাক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, কারাগারের বন্দি ও নির্বাচনি কাজে যুক্ত নাগরিকরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। এজন্য তাদেরও আগে থেকে নিবন্ধন করতে হবে। এসব ব্যক্তির কাছে ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহ আগে ব্যালট পাঠানো হবে। দেশি-বিদেশি পাঠানো চিঠির অবস্থান গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমে (জিপিএস) তদারক করবে ডাক বিভাগ।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের জন্য ব্যালট ছাপানো হবে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগে। এ কারণে সেখানে শুধু দলের নাম ও প্রতীক থাকবে। ওই ব্যালটে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্যও কমবেশি ১৫টি প্রতীক রাখা হবে। সংসদীয় ৩০০ আসনে প্রার্থী কে—নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে তা জেনে ভোট দেবেন তারা। অন্যদিকে দেশীয় নাগরিকদের ব্যালটে রাখা হবে প্রার্থীর নাম ও দলীয় প্রতীক। এসব ভোটারের পেছনে সরকারের ব্যয় হবে ১২২ টাকা।
সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটদানে ‘সিস্টেম উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন (ওসিভি-এসডিআই)’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে। এর পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। অনলাইন নিবন্ধনে অ্যাপ তৈরিসহ প্রাসঙ্গিক খরচ নির্বাহ হবে এ প্রকল্প থেকে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ তৈরি, পরীক্ষামূলকভাবে প্রবাসী ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের নিবন্ধন, ট্র্যাকিং মডিউল এবং প্রতীক ও প্রার্থীদের সংযুক্ত করার কাজ শেষ করা হবে। আগামী ১ থেকে ৩১ অক্টোবরের পর্যন্ত মোবাইল অ্যাপের ট্রায়াল, নিরীক্ষা, ত্রুটি সংশোধন ও ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা হবে। ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বরে মধ্যে ব্যালট পেপার, নির্দেশিকা ও ঘোষণাপত্র মুদ্রণ করা হবে। আর ভোটার তালিকাভুক্তি নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে ১১ নভেম্বর থেকে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে ডাক বিভাগ খামের কাস্টমাইজেশন করবে ১৫ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি। ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে ২০ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটার তালিকা মুদ্রণ হবে ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর।
নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারসহ দেশের অভ্যন্তরে ভোটে নিয়োজিত কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আর এজন্য তৈরি করা হচ্ছে, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি অ্যাপ।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অনুমানিক ১০ লাখ মানুষ ভোটে অংশ নেবেন। নিবন্ধন করবেন আরো বেশি। যদি এ সংখ্যক প্রবাসী অংশ নেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রবাসীদের ভোটদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করবে।’
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, প্রবাসীদের ব্যালট আমরা দ্রুত সময়ে ছাপানো শুরু করব। এ ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না। শুধু প্রতীক ও দলের নাম থাকবে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১০ থেকে ১৫টি প্রতীক রাখা হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী নিবন্ধন শুরু হবে। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো ইতোমধ্যে প্রবাসীদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার শুরু হয়েছে।
প্রবাসী ভোটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত জানানো হবে : ইসি
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে দ্রুত জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির নবনিযুক্ত জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের জন্য ওসিভি (আউট অব কান্ট্রি ভোটিং) প্রজেক্ট হয়েছে। ওই প্রকল্পের অধীনে আমরা কীভাবে ভোট দেব, প্রবাসী ভোটাররা কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন—তার একটা মোটামুটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এটা অনুমোদনের জন্য আমরা কমিশনে দিয়েছি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৭ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগে
বছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে