আল-আমিন
দেশের মহাসড়কগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে এক হাজার ৪৩ জনের ডাকাতদল। এরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। তবে এরা সমন্বয় করে ডাকাতির কাজ করে। মহাসড়কের নির্জন এলাকাগুলোয় ঘটছে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। যানবাহনের যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে এই ডাকাতচক্র।
এ কর্মকাণ্ডে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ান, তাদের খুন করতেও দ্বিধা করছে না দুর্বৃত্তরা। শুধু তা-ই নয়, মহাসড়কে বাসের মধ্যে নারীদের ধর্ষণের ঘটনায়ও জড়িত এসব চক্র। তাদের চিহ্নিত করতে দেশব্যাপী হাইওয়ে পুলিশ ডাকাতদের একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে।
পুলিশের ডেটাবেসে ডাকাতচক্রের সদস্যদের নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, আগের পেশা, ডাকাতির মামলার সংখ্যা, পুলিশের হাতে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল কি না এবং কোন ডাকাতদলের সদস্যÑএর বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও মহাসড়কে ডাকাতদলের মাস্টার মাইন্ড বড় তিনটি গ্রুপ। এ গ্রুপের সদস্যরা খুব ধূর্ত প্রকৃতির। তাদের দেখলে বোঝার কোনো উপাই নেই, তারা ডাকাতদলের সদস্য।
চক্রের সদস্যদের অনেকেই বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ডাকাতি করে থাকে। বড় তিনটি গ্রুপের নাম হলোÑ‘আরজু ডাকাতদল’, ‘কৃষ্ণকলি ডাকাতদল’ ও ‘মারদাঙ্গা ডাকাতদল’। প্রত্যেক গ্রুপে সাত থেকে আটজন করে সক্রিয় ডাকাত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিগত সরকারের আমলে এসব ডাকাতদল ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ চক্রের সদস্যদের কোমর ভেঙে দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। চক্রের অধিকাংশ সদস্য গা-ঢাকা দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের আট মাসে দেশের হাইওয়ে থানাগুলোয় ডাকাতির ঘটনায় ৫৭টি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি এবং হাইওয়ে পুলিশের প্রধান দেলোয়ার হোসেন মিঞা আমার দেশকে বলেন, ‘মহাসড়কে আমাদের টহল বেড়েছে। হাইওয়েকে নিরাপদ করতে দিনরাত কাজ করছি।’
হাইওয়ে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকাতদল তিনটি অঞ্চলের সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতি করে থাকে। আরজু ডাকাতদল উত্তরাঞ্চলের সড়কে, কৃষ্ণকলি খুলনার বিভিন্ন মহাসড়কে এবং মারদাঙ্গা ডাকাতদল চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাসড়কে ডাকাতি করে থাকে।
এর মধ্যে মারদাঙ্গা ডাকাতদল প্রবাসীদের টার্গেট করে থাকে। চক্রটি বিমানবন্দরে থেকেই প্রবাসীদের টার্গেট করে। বিমানবন্দরে নেমে কোনো প্রবাসী তার নিজ জেলায় যাওয়ার সময় যে গাড়িতে যান, ওই গাড়ির নম্বর তারা তাদের দলের সদস্যদের মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। তারা ওই গাড়িকে টার্গেট করে প্রবাসীর সব ছিনিয়ে নেয়। কেউ কেউ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পোশাক পরে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামায়। এ সময় তল্লাশির নামে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস ডাকাতির সময় দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রামগামী আল আরাফাত পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল বাসটি। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার জগ্ননাথ দীঘি এলাকায় দুজন যাত্রী নামার জন্য গাড়ি থামালে সাত-আটজনের ডাকাতদল গাড়িতে উঠে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। চালক বাসটি না থামিয়ে সামনে এগোতে চেষ্টা করলে ডাকাতদলের সদস্যরা বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায়। এ সময় যাত্রীরা দুজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দিলে সীতাকুণ্ডের কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশ গতিরোধক বসিয়ে বাসটিতে থাকা ৪২ যাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতদলের দুই সদস্য মো. মনির ও ওমর ফারুক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দুজন কৃষ্ণকলি দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ময়মনসিংহ (ব-১১-০০৬১) নম্বরের যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছলে যাত্রীরা বাসটি আটকে দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাসচালক ও সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গত আট মাসে হাইওয়েতে ডাকাতির ঘটনায় ৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চলে ১৪, সিলেটে ১৬, গাজীপুরে এক, ময়মনসিংহ আট, বগুড়ায় তিন, রংপুরে ১০ এবং মাদারীপুরে দুটি মামলা করা হয়। ৫৭ মামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের ডেটাবেস থেকে যেসব ডাকাতদলের সদস্যদের নাম জানা গেছে তারা হলোÑঢাকার উত্তরখানের চানপাড়া এলাকার কাওছার আহমেদ (৩৫), ঝালকাঠির রাজাপুরের আরিফ হোসেন (৪২), বরিশালের বাকেরগঞ্জের আব্দুল হাকিম (৪৮), হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের আবু তালেক (৪৪), চুনারুঘাটের সালমান উদ্দিন (৩২), ফয়সাল মিয়া (৩৪), রুহুল আমিন (২৪) ও জয়নাল মিয়া (৪২), মাধবপুরের মো. রুবেল আহমদ রনি (২৬) ও জালাল মিয়া (৩২), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আজিজ খান (৩৭), বগুড়ার সোনাতলার মো. সাবু সরকার (৩২), পিরোজপুর সদরের মো. ইব্রাহিম শেখ (২৭), চাঁদপুরের কচুয়ার মো. আবদুল হান্নান (৩৫), লক্ষ্মীপুরের
রায়পুরের মো. শরীফ হোসেন (৪৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের মো. তহিদুল ইসলাম (৪০)।
তালিকায় রয়েছেÑরংপুরের মিঠাপুকুরের মো. আনোয়ার হোসেন (৪১), পীরগঞ্জের মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. হাসানুর (৪০) ও মো. আয়নাল (৩৮), নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ইলিয়াছ (২৬), চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রৌশনুজ্জামান (৪৭), নাহিদ (২৫), সোলায়মান (৩৮) ও মো. লোকমান হোসেন (ড্রাইভার) (৩০), রংপুরের মিঠাপুকুরের মো. আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের মো. তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জের মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. হাসানুর (৪০) ও মো. আয়নাল (৩৮)।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাইওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের মহাসড়কে নতুন ৩২টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের নির্জন এলাকাগুলোয় টহল বাড়ানো ছাড়াও যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাসের মধ্যে যেসব ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হয়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
দেশের মহাসড়কগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে এক হাজার ৪৩ জনের ডাকাতদল। এরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। তবে এরা সমন্বয় করে ডাকাতির কাজ করে। মহাসড়কের নির্জন এলাকাগুলোয় ঘটছে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। যানবাহনের যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে এই ডাকাতচক্র।
এ কর্মকাণ্ডে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ান, তাদের খুন করতেও দ্বিধা করছে না দুর্বৃত্তরা। শুধু তা-ই নয়, মহাসড়কে বাসের মধ্যে নারীদের ধর্ষণের ঘটনায়ও জড়িত এসব চক্র। তাদের চিহ্নিত করতে দেশব্যাপী হাইওয়ে পুলিশ ডাকাতদের একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে।
পুলিশের ডেটাবেসে ডাকাতচক্রের সদস্যদের নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, আগের পেশা, ডাকাতির মামলার সংখ্যা, পুলিশের হাতে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল কি না এবং কোন ডাকাতদলের সদস্যÑএর বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও মহাসড়কে ডাকাতদলের মাস্টার মাইন্ড বড় তিনটি গ্রুপ। এ গ্রুপের সদস্যরা খুব ধূর্ত প্রকৃতির। তাদের দেখলে বোঝার কোনো উপাই নেই, তারা ডাকাতদলের সদস্য।
চক্রের সদস্যদের অনেকেই বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ডাকাতি করে থাকে। বড় তিনটি গ্রুপের নাম হলোÑ‘আরজু ডাকাতদল’, ‘কৃষ্ণকলি ডাকাতদল’ ও ‘মারদাঙ্গা ডাকাতদল’। প্রত্যেক গ্রুপে সাত থেকে আটজন করে সক্রিয় ডাকাত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিগত সরকারের আমলে এসব ডাকাতদল ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ চক্রের সদস্যদের কোমর ভেঙে দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। চক্রের অধিকাংশ সদস্য গা-ঢাকা দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের আট মাসে দেশের হাইওয়ে থানাগুলোয় ডাকাতির ঘটনায় ৫৭টি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি এবং হাইওয়ে পুলিশের প্রধান দেলোয়ার হোসেন মিঞা আমার দেশকে বলেন, ‘মহাসড়কে আমাদের টহল বেড়েছে। হাইওয়েকে নিরাপদ করতে দিনরাত কাজ করছি।’
হাইওয়ে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকাতদল তিনটি অঞ্চলের সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতি করে থাকে। আরজু ডাকাতদল উত্তরাঞ্চলের সড়কে, কৃষ্ণকলি খুলনার বিভিন্ন মহাসড়কে এবং মারদাঙ্গা ডাকাতদল চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাসড়কে ডাকাতি করে থাকে।
এর মধ্যে মারদাঙ্গা ডাকাতদল প্রবাসীদের টার্গেট করে থাকে। চক্রটি বিমানবন্দরে থেকেই প্রবাসীদের টার্গেট করে। বিমানবন্দরে নেমে কোনো প্রবাসী তার নিজ জেলায় যাওয়ার সময় যে গাড়িতে যান, ওই গাড়ির নম্বর তারা তাদের দলের সদস্যদের মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। তারা ওই গাড়িকে টার্গেট করে প্রবাসীর সব ছিনিয়ে নেয়। কেউ কেউ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পোশাক পরে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামায়। এ সময় তল্লাশির নামে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস ডাকাতির সময় দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রামগামী আল আরাফাত পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল বাসটি। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার জগ্ননাথ দীঘি এলাকায় দুজন যাত্রী নামার জন্য গাড়ি থামালে সাত-আটজনের ডাকাতদল গাড়িতে উঠে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। চালক বাসটি না থামিয়ে সামনে এগোতে চেষ্টা করলে ডাকাতদলের সদস্যরা বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায়। এ সময় যাত্রীরা দুজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দিলে সীতাকুণ্ডের কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশ গতিরোধক বসিয়ে বাসটিতে থাকা ৪২ যাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতদলের দুই সদস্য মো. মনির ও ওমর ফারুক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দুজন কৃষ্ণকলি দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ময়মনসিংহ (ব-১১-০০৬১) নম্বরের যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছলে যাত্রীরা বাসটি আটকে দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাসচালক ও সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গত আট মাসে হাইওয়েতে ডাকাতির ঘটনায় ৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চলে ১৪, সিলেটে ১৬, গাজীপুরে এক, ময়মনসিংহ আট, বগুড়ায় তিন, রংপুরে ১০ এবং মাদারীপুরে দুটি মামলা করা হয়। ৫৭ মামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের ডেটাবেস থেকে যেসব ডাকাতদলের সদস্যদের নাম জানা গেছে তারা হলোÑঢাকার উত্তরখানের চানপাড়া এলাকার কাওছার আহমেদ (৩৫), ঝালকাঠির রাজাপুরের আরিফ হোসেন (৪২), বরিশালের বাকেরগঞ্জের আব্দুল হাকিম (৪৮), হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের আবু তালেক (৪৪), চুনারুঘাটের সালমান উদ্দিন (৩২), ফয়সাল মিয়া (৩৪), রুহুল আমিন (২৪) ও জয়নাল মিয়া (৪২), মাধবপুরের মো. রুবেল আহমদ রনি (২৬) ও জালাল মিয়া (৩২), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আজিজ খান (৩৭), বগুড়ার সোনাতলার মো. সাবু সরকার (৩২), পিরোজপুর সদরের মো. ইব্রাহিম শেখ (২৭), চাঁদপুরের কচুয়ার মো. আবদুল হান্নান (৩৫), লক্ষ্মীপুরের
রায়পুরের মো. শরীফ হোসেন (৪৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের মো. তহিদুল ইসলাম (৪০)।
তালিকায় রয়েছেÑরংপুরের মিঠাপুকুরের মো. আনোয়ার হোসেন (৪১), পীরগঞ্জের মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. হাসানুর (৪০) ও মো. আয়নাল (৩৮), নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ইলিয়াছ (২৬), চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রৌশনুজ্জামান (৪৭), নাহিদ (২৫), সোলায়মান (৩৮) ও মো. লোকমান হোসেন (ড্রাইভার) (৩০), রংপুরের মিঠাপুকুরের মো. আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের মো. তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জের মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. হাসানুর (৪০) ও মো. আয়নাল (৩৮)।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাইওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের মহাসড়কে নতুন ৩২টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের নির্জন এলাকাগুলোয় টহল বাড়ানো ছাড়াও যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাসের মধ্যে যেসব ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হয়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে