বিপিপিএর প্রতিবেদন
ইমদাদ হোসাইন
সরকারি ওষুধ কেনাকাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোর (সিএমএসডি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় অর্ধেক ক্রয় চুক্তিতে কম ছিল দরদাতাদের অংশগ্রহণ। সরকারি এক প্রতিবেদনে দরদাতাদের অংশগ্রহণ কম থাকায় প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছতা এবং অর্থের মূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
গত জুনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কর্তৃপক্ষের (বিপিপিএ) প্রণীত এ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটিতে অনিয়মের ক্ষেত্রে শুধু বেক্সিমকোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৩০টি চুক্তির পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব পর্যালোচনায় গেছে, ১২টি দরপত্রের জন্য দরপত্র পড়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের। অর্থাৎ মোট ৪০ শতাংশ দরপত্রের জন্য দরপত্র পড়েছে একটি। অন্য দরপত্রগুলোতে মাত্র দুই বা তিনজন অংশগ্রহণ করেছেন।
জমা দেওয়া দরপত্রগুলোর বেশির ভাগই এসেছে মুষ্টিমেয় পরিচিত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃত মূল্য প্রায়ই সরকারের প্রত্যাশিত দামের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কম মূল্যের কারণে ওষুদের মানের সঙ্গে আপস বা অ-প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের অনিয়ম হতে পারে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধু একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেওয়ার পর আরো ছয়টি দরপত্র জমা দেওয়া হয়। ফলে দরপত্রগুলো কার্যকরভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জমা দেওয়া হয়েছিল। একটি ক্ষেত্রে, মোবাইল ক্লিনিক ভ্যান সংগ্রহের জন্য বারবার আহ্বানের পরও শুধু একটি সরবরাহকারী দরপত্র জমা দিয়েছিল। একইভাবে, মেথাডোন, অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ ও ডায়াগনস্টিক মেশিনের মতো উচ্চমূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জামের চুক্তিতেও মাত্র একজন অংশগ্রহণকারী ছিল।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, একক দরপত্র বিক্রয়, জমা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার ঘটনা প্রায়শই লক্ষ করা গেছে। এই প্রবণতার কারণে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও কেনাকাটার মানও কমে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে, সরকারি ওষুধে প্রদত্ত মূল্য আনুমানিক খরচের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম ছিল। প্রকল্পটির পর্যালোচকরা এর ভিত্তিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কম দামের কারণে সরবরাহ করা পণ্যের মানের সঙ্গে আপস করেছে কি না। এমন একটি ক্ষেত্রে ফ্রিজার এবং ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে প্রদত্ত মূল্য অনুমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম ছিল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, সিএমএসডি এইচআইভি এইডসের জন্য দায়ী ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ড্রাগস (এআরভি) কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। সে দরপত্রে শুধু একজন দরদাতা—বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকারি অনুমানের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম মূল্যে চুক্তি করা হয়।
আইএমইডি কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, আনুমানিক ব্যয় ইচ্ছা করেই বেশি নির্ধারণ করা হতে পারে। এর কারণে প্রতিযোগিতা নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং বেক্সিমকোকে চুক্তি প্রদানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
প্রতিবেদনে প্রতিযোগিতার অভাবের জন্য আংশিকভাবে সিএমএসডির মধ্যে পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সক্রিয় ক্রয় সেলের অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা এবং সরবরাহকারীদের একটি সংকীর্ণ পুলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএমএসডি কর্মকর্তারা যথাযথ বিজ্ঞাপন, দরপত্র খোলা এবং মূল্যায়নের মতো আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিগুলো মেনে চলা নিশ্চিত করেছিলেন। স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অধীন ক্রয় ও বিতরণ শাখা সিএমএসডি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সরকারি ওষুধ কেনাকাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোর (সিএমএসডি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় অর্ধেক ক্রয় চুক্তিতে কম ছিল দরদাতাদের অংশগ্রহণ। সরকারি এক প্রতিবেদনে দরদাতাদের অংশগ্রহণ কম থাকায় প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছতা এবং অর্থের মূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
গত জুনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কর্তৃপক্ষের (বিপিপিএ) প্রণীত এ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটিতে অনিয়মের ক্ষেত্রে শুধু বেক্সিমকোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৩০টি চুক্তির পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব পর্যালোচনায় গেছে, ১২টি দরপত্রের জন্য দরপত্র পড়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের। অর্থাৎ মোট ৪০ শতাংশ দরপত্রের জন্য দরপত্র পড়েছে একটি। অন্য দরপত্রগুলোতে মাত্র দুই বা তিনজন অংশগ্রহণ করেছেন।
জমা দেওয়া দরপত্রগুলোর বেশির ভাগই এসেছে মুষ্টিমেয় পরিচিত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃত মূল্য প্রায়ই সরকারের প্রত্যাশিত দামের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কম মূল্যের কারণে ওষুদের মানের সঙ্গে আপস বা অ-প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের অনিয়ম হতে পারে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধু একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেওয়ার পর আরো ছয়টি দরপত্র জমা দেওয়া হয়। ফলে দরপত্রগুলো কার্যকরভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জমা দেওয়া হয়েছিল। একটি ক্ষেত্রে, মোবাইল ক্লিনিক ভ্যান সংগ্রহের জন্য বারবার আহ্বানের পরও শুধু একটি সরবরাহকারী দরপত্র জমা দিয়েছিল। একইভাবে, মেথাডোন, অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ ও ডায়াগনস্টিক মেশিনের মতো উচ্চমূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জামের চুক্তিতেও মাত্র একজন অংশগ্রহণকারী ছিল।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, একক দরপত্র বিক্রয়, জমা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার ঘটনা প্রায়শই লক্ষ করা গেছে। এই প্রবণতার কারণে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও কেনাকাটার মানও কমে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে, সরকারি ওষুধে প্রদত্ত মূল্য আনুমানিক খরচের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম ছিল। প্রকল্পটির পর্যালোচকরা এর ভিত্তিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কম দামের কারণে সরবরাহ করা পণ্যের মানের সঙ্গে আপস করেছে কি না। এমন একটি ক্ষেত্রে ফ্রিজার এবং ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে প্রদত্ত মূল্য অনুমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম ছিল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, সিএমএসডি এইচআইভি এইডসের জন্য দায়ী ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ড্রাগস (এআরভি) কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। সে দরপত্রে শুধু একজন দরদাতা—বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকারি অনুমানের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম মূল্যে চুক্তি করা হয়।
আইএমইডি কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, আনুমানিক ব্যয় ইচ্ছা করেই বেশি নির্ধারণ করা হতে পারে। এর কারণে প্রতিযোগিতা নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং বেক্সিমকোকে চুক্তি প্রদানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
প্রতিবেদনে প্রতিযোগিতার অভাবের জন্য আংশিকভাবে সিএমএসডির মধ্যে পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সক্রিয় ক্রয় সেলের অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা এবং সরবরাহকারীদের একটি সংকীর্ণ পুলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএমএসডি কর্মকর্তারা যথাযথ বিজ্ঞাপন, দরপত্র খোলা এবং মূল্যায়নের মতো আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিগুলো মেনে চলা নিশ্চিত করেছিলেন। স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অধীন ক্রয় ও বিতরণ শাখা সিএমএসডি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে