ইমদাদ হোসাইন
জুলাই আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৫৬০ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি এমন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে ৮০৪ শহীদ পরিবারকে ফ্ল্যাট দেওয়ার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপনের পর মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। গত ২৭ জুলাইয়ের ওই একনেক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরামর্শ দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমন্বিত একটি নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা করতে হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য এসব আবাসন শহরে হবে নাকি তার নিজ এলাকাতে করে দেওয়া হবে বা এর উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে নিষ্পত্তি হবে—এসব নীতিমালার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রকল্পটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করে আবার উপস্থাপন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাইয়ে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের জন্য ফ্ল্যাট উপহারের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের করা ক্যাটাগরি-‘এ’ ও ক্যাটাগরি-‘বি’ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ঢাকার মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪ এ কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই-যোদ্ধা পরিবারের স্থায়ী বাসস্থানের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির জন্য সরকারের অনুদান চাওয়া হয়েছিল।
আবেদনটি অনুমোদন করে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বিধায় ভূমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় খাতে কোনো বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। প্রকল্পের অনুকূলে নির্মাণ করা আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকৃত আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো পরিবারগুলোর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে এবং প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অন্যান্য যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে।
আহতদের মধ্যে ১ হাজার ৫৬০ জনকে কোন বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখা-২-এর কর্মকর্তা নাজমুল আলম আমার দেশকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে করা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ক্যাটাগরি-‘এ’ ও ক্যাটাগরি-‘বি’ তালিকা ধরে উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-‘এ’ শ্রেণির তালিকাভুক্তরা অতি গুরুতর আহত। ক্যাটাগরি-‘বি’ শ্রেণির তালিকাভুক্তরা গুরুতর আহত হিসেবে বিবেচিত। শুধু আহতরা ‘সি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছেন। সে হিসাবে যথাক্রমে ৬০২, ১ হাজার ১১৮ ও ১২ হাজার ৮০ জন জুলাই যোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলা জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাটের মাধ্যমে স্থায়ী আবাসনের পরিকল্পনাটি নিয়েছে সরকার।
পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ভবন নির্মাণ করা হবে। ১৪ তলা বিশিষ্ট সব ভবনে পৃথক বেসমেন্ট থাকবে।
একনেকের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকার মিরপুর সেকশন-৯-এ মিরপুর ডিওএইচএসের কাছে ৮৩৩ কাঠা জমিতে ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে ভবনগুলো সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে।
গৃহায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী আহতদের জন্য নির্মাণ করা এসব ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১ হাজার ৩২০ বর্গফুট। সব ফ্ল্যাটের গড় মূল্য ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৩৭৪ কোটি টাকা জমির মূল্য অন্তর্ভুক্ত করলে এসব ফ্ল্যাটের দাম দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩৫০ টাকা। তবে এটি বর্তমান বাজার দরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) একটি সভা করেছে। কমিশন কিছু সুপারিশ মেনে চলা সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি একনেকের সামনে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এরপর থেকে সংশোধিত প্রস্তাবটি পুনরায় জমা দিয়েছে, যা ভৌত অবকাঠামো বিভাগ পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য পাঠিয়েছে। তবে, কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বর্তমান প্রকল্পটি অনুমোদনে বিলম্বের সম্মুখীন হতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শহীদ পরিবারের জন্য এর আগের প্রস্তাবিত ৭৬১ কোটি টাকার ‘৩৬ জুলাই ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পটি শেষ মুহূর্তে একনেকের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকের পর পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একটি সংশোধিত, সমন্বিত প্রস্তাব প্রস্তুত করার প্রকল্পটি আপাতত ফেরত পাঠানো হয়েছে। ব্যয়, নির্মাণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য উপাদান পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে প্রকল্পটি পুনরায় জমা দেওয়া যেতে পারে।
আহতদের জন্য প্রস্তাবিত এসব ভবনের সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকবে বেসমেন্ট এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, লিফট, সাব-স্টেশন, জেনারেটর, সৌরশক্তি ব্যবস্থা এবং ফায়ার হাইড্রেন্ট। প্রকল্পটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খেলার মাঠ, সবুজ স্থান এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তার মতো কমিউনিটি সুবিধাও থাকবে।
নির্বাচিত স্থানটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে, মিরপুর-১১ মেট্রো স্টেশন থেকে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কালশী ফ্লাইওভার এবং ১২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার মাধ্যমে এই এলাকাটি শহরের প্রধান অংশের সঙ্গে সুসংযুক্ত, যা এটিকে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত করে তোলে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি থেকে আনুমানিক ১ হাজার ৫৬০টি পরিবার সরাসরি উপকৃত হবেন। পাশাপাশি অনেক নিম্ন আয়ের বাসিন্দা পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করছে গৃহায়ন।
গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় জুলাই শহীদদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা হয়েছিল কিন্তু অনুমোদিত হয়নি। ওই সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব সভায় বলেন যে, ৮৩৪ শহীদের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং অন্য যোদ্ধাদের জন্য অনুরূপ প্রকল্প যাচাইয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থ উপদেষ্টার সামাজিক নিরাপত্তা কমিটির মতামত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি সমন্বিত নীতি অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
জুলাই আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৫৬০ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি এমন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে ৮০৪ শহীদ পরিবারকে ফ্ল্যাট দেওয়ার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপনের পর মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। গত ২৭ জুলাইয়ের ওই একনেক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরামর্শ দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমন্বিত একটি নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা করতে হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য এসব আবাসন শহরে হবে নাকি তার নিজ এলাকাতে করে দেওয়া হবে বা এর উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে নিষ্পত্তি হবে—এসব নীতিমালার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রকল্পটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করে আবার উপস্থাপন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাইয়ে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের জন্য ফ্ল্যাট উপহারের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের করা ক্যাটাগরি-‘এ’ ও ক্যাটাগরি-‘বি’ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ঢাকার মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪ এ কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই-যোদ্ধা পরিবারের স্থায়ী বাসস্থানের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির জন্য সরকারের অনুদান চাওয়া হয়েছিল।
আবেদনটি অনুমোদন করে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বিধায় ভূমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় খাতে কোনো বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। প্রকল্পের অনুকূলে নির্মাণ করা আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকৃত আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো পরিবারগুলোর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে এবং প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অন্যান্য যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে।
আহতদের মধ্যে ১ হাজার ৫৬০ জনকে কোন বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখা-২-এর কর্মকর্তা নাজমুল আলম আমার দেশকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে করা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ক্যাটাগরি-‘এ’ ও ক্যাটাগরি-‘বি’ তালিকা ধরে উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-‘এ’ শ্রেণির তালিকাভুক্তরা অতি গুরুতর আহত। ক্যাটাগরি-‘বি’ শ্রেণির তালিকাভুক্তরা গুরুতর আহত হিসেবে বিবেচিত। শুধু আহতরা ‘সি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছেন। সে হিসাবে যথাক্রমে ৬০২, ১ হাজার ১১৮ ও ১২ হাজার ৮০ জন জুলাই যোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলা জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ১ হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাটের মাধ্যমে স্থায়ী আবাসনের পরিকল্পনাটি নিয়েছে সরকার।
পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ভবন নির্মাণ করা হবে। ১৪ তলা বিশিষ্ট সব ভবনে পৃথক বেসমেন্ট থাকবে।
একনেকের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকার মিরপুর সেকশন-৯-এ মিরপুর ডিওএইচএসের কাছে ৮৩৩ কাঠা জমিতে ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে ভবনগুলো সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে।
গৃহায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী আহতদের জন্য নির্মাণ করা এসব ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১ হাজার ৩২০ বর্গফুট। সব ফ্ল্যাটের গড় মূল্য ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৩৭৪ কোটি টাকা জমির মূল্য অন্তর্ভুক্ত করলে এসব ফ্ল্যাটের দাম দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩৫০ টাকা। তবে এটি বর্তমান বাজার দরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) একটি সভা করেছে। কমিশন কিছু সুপারিশ মেনে চলা সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি একনেকের সামনে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এরপর থেকে সংশোধিত প্রস্তাবটি পুনরায় জমা দিয়েছে, যা ভৌত অবকাঠামো বিভাগ পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য পাঠিয়েছে। তবে, কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বর্তমান প্রকল্পটি অনুমোদনে বিলম্বের সম্মুখীন হতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শহীদ পরিবারের জন্য এর আগের প্রস্তাবিত ৭৬১ কোটি টাকার ‘৩৬ জুলাই ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পটি শেষ মুহূর্তে একনেকের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকের পর পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একটি সংশোধিত, সমন্বিত প্রস্তাব প্রস্তুত করার প্রকল্পটি আপাতত ফেরত পাঠানো হয়েছে। ব্যয়, নির্মাণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য উপাদান পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে প্রকল্পটি পুনরায় জমা দেওয়া যেতে পারে।
আহতদের জন্য প্রস্তাবিত এসব ভবনের সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকবে বেসমেন্ট এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, লিফট, সাব-স্টেশন, জেনারেটর, সৌরশক্তি ব্যবস্থা এবং ফায়ার হাইড্রেন্ট। প্রকল্পটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খেলার মাঠ, সবুজ স্থান এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তার মতো কমিউনিটি সুবিধাও থাকবে।
নির্বাচিত স্থানটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে, মিরপুর-১১ মেট্রো স্টেশন থেকে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কালশী ফ্লাইওভার এবং ১২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার মাধ্যমে এই এলাকাটি শহরের প্রধান অংশের সঙ্গে সুসংযুক্ত, যা এটিকে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত করে তোলে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি থেকে আনুমানিক ১ হাজার ৫৬০টি পরিবার সরাসরি উপকৃত হবেন। পাশাপাশি অনেক নিম্ন আয়ের বাসিন্দা পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করছে গৃহায়ন।
গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় জুলাই শহীদদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা হয়েছিল কিন্তু অনুমোদিত হয়নি। ওই সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব সভায় বলেন যে, ৮৩৪ শহীদের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং অন্য যোদ্ধাদের জন্য অনুরূপ প্রকল্প যাচাইয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থ উপদেষ্টার সামাজিক নিরাপত্তা কমিটির মতামত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি সমন্বিত নীতি অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে