এম এ নোমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আলোচিত জুবায়ের হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নাজমুল হোসেইন প্লাবন রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছিলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ডের লোভনীয় পদেও ছিলেন দেড় বছর। বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদে কর্মরত আছেন তিনি।
গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে নাজমুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী ও শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ শতাংশ জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ সম্পত্তি দখলে নিতে শাশুড়িসহ পিতা-মাতা, স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়ের নামে একাধিক দলিল তৈরি করতে গিয়েও নাজমুল প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
আওয়ামী শাসনে যেসব হত্যাকাণ্ড দেশবাসীর মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার মধ্যে জাবির মেধাবী ছাত্র জুবায়ের হত্যার ঘটনা অন্যতম। ছাত্রলীগ নেতারা ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে জুবায়েরকে। দেশের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে প্লাবনসহ ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, শুনানি ও যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাজমুল হুসেইন প্লাবনসহ দুই আসামি খালাস পেয়ে যান। প্লাবনের খালাস পাওয়ার খবরে ওই সময় জাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় বলে ওই সময়ের শিক্ষার্থীরা জানান।
জমি দখলে জামাই-শাশুড়ির তেলেসমাতি
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ড হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার নাজমুলকে পদায়ন করে। এলাকাবাসীর দাবি, দায়িত্ব নিয়ে ডেমরার দামি সম্পত্তির দিকে নজর দেন প্লাবন। ভুয়া ও জাল দলিল এবং প্রতারণার মাধ্যমে শাশুড়ি শারমিন পারভীন যোগসাজশ করে প্রায় কোটি টাকার জমি নিজেদের নামে সাব কবলা দলিল করে নেন।
তাদের এ দলিলের চাঞ্চল্যকর কাহিনি ও এলাকার লোকজনের মুখে মুখে। জমির দলিল ও জামাই-শাশুড়ির প্রতারণা নিয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানার উত্তর বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আজগর আলীর পুত্র মো. কামাল উদ্দিন প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি আবেদন দিলে মন্ত্রণালয় গত ২২ এপ্রিল তা গ্রহণ করে তদন্তের উদ্যোগ নেয়।
নাজমুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়েছে, কামাল উদ্দিনের পিতা আজগর আলী ও মাতা পিয়ার বানু ১৯৭৮ সালে জনৈক একেএম সামসুদ্দিনের কাছ থেকে ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার নন্দীপাড়া মৌজার সিএস ৭৪ নম্বর খতিয়ানের ১০৪ নম্বর এসএ ও আরএস ৬৪০ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৮ শতাংশ জমি কেনেন। যার সিএস ও এসএ দাগ নম্বর ৮৪৯ ও আরএস দাগ নম্বর ১৪০৫ এবং মহানগর ৮৪২১, ৮৪২২ ও ৮৪২৩ নম্বর দাগের অংশ বিশেষ। কামাল উদ্দিনের বাবা-মা ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এ জমির খাজনা পরিশোধ করেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক কামাল উদ্দিন আমার দেশকে জানান, নাজমুল ডেমরা সার্কেলে এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করে আমাদের জমির আগের নামজারিসহ সব নথি বাতিল করে নিজের নামে দলিল করে নিতে নানা ধরনের কারসাজি ও প্রতারণার আশ্রয় নেন।
কামাল উদ্দিনের আইনজীবী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন জানান, নাজমুল হোসেইন প্রথমে তার নিকটাত্মীয় সানোয়ার হোসেনের নামে সাব কবলা করার ব্যবস্থা করেন। কিছুদিনের মধ্যে সানোয়ার আরেকটি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইনের শাশুড়ি শরমিন পারভীনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
রাজধানীর খিলগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানিয়েছে, শরমিন পারভীন গত বছর ২ ডিসেম্বর আরেকটি দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইন প্লাবন, প্লাবনের স্ত্রী মেহের জারীন চৌধুরী (দলিল দাতার মেয়ে), নাজমুলের পিতা এম হান্নান প্রধান ও নাজমুলের মা নাছিমা খাতুনের নামে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেন।
নাজমুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে তিনি কোনো অপরাধই বাকি রাখেননি। আমাদের পুরো পরিবারটি আজ বিপর্যস্ত। আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কামাল উদ্দিন বলেন, নাজমুল হোসেইন নিজেও ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। পিতা এম হান্নান প্রধানও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা থাকায় বিগত সরকারের সময় আমরা বহু চেষ্টা করেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি।
হত্যা মামলার আসামি থেকে বিসিএস কর্মকর্তা
জাবি ছাত্র জুবায়ের নিহত হন ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি। নির্মম এ হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন প্লাবন। জাবি শিক্ষার্থীদের দাবি, বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়। রায়ে প্লাবন খালাস পেয়ে ২০১৬ সালের ১ জুন প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করেন।
জাবির ওই সময়ের একাধিক শিক্ষার্থী আমার দেশকে জানিয়েছেন, আসামি প্লাবন জুবায়ের হত্যা মামলার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি এ মামলায় খালাস পেয়েছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়।
জুবায়ের হত্যায় প্লাবনের বিষয়ে দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চ আদালতে আপিল করার যথেষ্ট উপাদান ছিল। কিন্তু দলীয় বিবেচনা থেকেই ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ তার খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা থেকে বিরত থাকে।
জুবায়ের হত্যা ঘটনায় নাজমুলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জাবির ওই সময়ের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক রিপন আমার দেশকে বলেন, মেধাবী ছাত্র জুবায়েরকে হত্যার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে। নাজমুল জুবায়ের হত্যা মামলায় এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন এবং এ মামলায় কারাগারেও ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি খালাস পেলেন আবার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েছেন।
যা বলছেন প্লাবন
জুবায়ের হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আমার দেশকে নাজমুল বলেন, ‘বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এটি এখন পুরোনো বিষয়। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’
ডেমরা জোনের এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শাশুড়ি ও নিজের নামে জমির দলিল করে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হোসেইন বলেন, ‘জমিটি আমার নামে ছিল। আমি আবার সেটি বিক্রি করে দিয়েছি।’ আপনি কীভাবে এ জমির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নথিপত্রের বিষয়। তাছাড়া আমার নামে এসিল্যান্ড অফিসে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই দপ্তরে এগুলোর নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। অভিযোগগুলোও খারিজ হয়ে গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আলোচিত জুবায়ের হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নাজমুল হোসেইন প্লাবন রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছিলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ডের লোভনীয় পদেও ছিলেন দেড় বছর। বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদে কর্মরত আছেন তিনি।
গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে নাজমুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী ও শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ শতাংশ জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ সম্পত্তি দখলে নিতে শাশুড়িসহ পিতা-মাতা, স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়ের নামে একাধিক দলিল তৈরি করতে গিয়েও নাজমুল প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
আওয়ামী শাসনে যেসব হত্যাকাণ্ড দেশবাসীর মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার মধ্যে জাবির মেধাবী ছাত্র জুবায়ের হত্যার ঘটনা অন্যতম। ছাত্রলীগ নেতারা ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে জুবায়েরকে। দেশের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে প্লাবনসহ ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, শুনানি ও যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাজমুল হুসেইন প্লাবনসহ দুই আসামি খালাস পেয়ে যান। প্লাবনের খালাস পাওয়ার খবরে ওই সময় জাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় বলে ওই সময়ের শিক্ষার্থীরা জানান।
জমি দখলে জামাই-শাশুড়ির তেলেসমাতি
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ড হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার নাজমুলকে পদায়ন করে। এলাকাবাসীর দাবি, দায়িত্ব নিয়ে ডেমরার দামি সম্পত্তির দিকে নজর দেন প্লাবন। ভুয়া ও জাল দলিল এবং প্রতারণার মাধ্যমে শাশুড়ি শারমিন পারভীন যোগসাজশ করে প্রায় কোটি টাকার জমি নিজেদের নামে সাব কবলা দলিল করে নেন।
তাদের এ দলিলের চাঞ্চল্যকর কাহিনি ও এলাকার লোকজনের মুখে মুখে। জমির দলিল ও জামাই-শাশুড়ির প্রতারণা নিয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানার উত্তর বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আজগর আলীর পুত্র মো. কামাল উদ্দিন প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি আবেদন দিলে মন্ত্রণালয় গত ২২ এপ্রিল তা গ্রহণ করে তদন্তের উদ্যোগ নেয়।
নাজমুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়েছে, কামাল উদ্দিনের পিতা আজগর আলী ও মাতা পিয়ার বানু ১৯৭৮ সালে জনৈক একেএম সামসুদ্দিনের কাছ থেকে ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার নন্দীপাড়া মৌজার সিএস ৭৪ নম্বর খতিয়ানের ১০৪ নম্বর এসএ ও আরএস ৬৪০ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৮ শতাংশ জমি কেনেন। যার সিএস ও এসএ দাগ নম্বর ৮৪৯ ও আরএস দাগ নম্বর ১৪০৫ এবং মহানগর ৮৪২১, ৮৪২২ ও ৮৪২৩ নম্বর দাগের অংশ বিশেষ। কামাল উদ্দিনের বাবা-মা ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এ জমির খাজনা পরিশোধ করেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক কামাল উদ্দিন আমার দেশকে জানান, নাজমুল ডেমরা সার্কেলে এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করে আমাদের জমির আগের নামজারিসহ সব নথি বাতিল করে নিজের নামে দলিল করে নিতে নানা ধরনের কারসাজি ও প্রতারণার আশ্রয় নেন।
কামাল উদ্দিনের আইনজীবী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন জানান, নাজমুল হোসেইন প্রথমে তার নিকটাত্মীয় সানোয়ার হোসেনের নামে সাব কবলা করার ব্যবস্থা করেন। কিছুদিনের মধ্যে সানোয়ার আরেকটি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইনের শাশুড়ি শরমিন পারভীনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
রাজধানীর খিলগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানিয়েছে, শরমিন পারভীন গত বছর ২ ডিসেম্বর আরেকটি দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইন প্লাবন, প্লাবনের স্ত্রী মেহের জারীন চৌধুরী (দলিল দাতার মেয়ে), নাজমুলের পিতা এম হান্নান প্রধান ও নাজমুলের মা নাছিমা খাতুনের নামে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেন।
নাজমুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে তিনি কোনো অপরাধই বাকি রাখেননি। আমাদের পুরো পরিবারটি আজ বিপর্যস্ত। আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কামাল উদ্দিন বলেন, নাজমুল হোসেইন নিজেও ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। পিতা এম হান্নান প্রধানও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা থাকায় বিগত সরকারের সময় আমরা বহু চেষ্টা করেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি।
হত্যা মামলার আসামি থেকে বিসিএস কর্মকর্তা
জাবি ছাত্র জুবায়ের নিহত হন ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি। নির্মম এ হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন প্লাবন। জাবি শিক্ষার্থীদের দাবি, বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়। রায়ে প্লাবন খালাস পেয়ে ২০১৬ সালের ১ জুন প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করেন।
জাবির ওই সময়ের একাধিক শিক্ষার্থী আমার দেশকে জানিয়েছেন, আসামি প্লাবন জুবায়ের হত্যা মামলার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি এ মামলায় খালাস পেয়েছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়।
জুবায়ের হত্যায় প্লাবনের বিষয়ে দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চ আদালতে আপিল করার যথেষ্ট উপাদান ছিল। কিন্তু দলীয় বিবেচনা থেকেই ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ তার খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা থেকে বিরত থাকে।
জুবায়ের হত্যা ঘটনায় নাজমুলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জাবির ওই সময়ের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক রিপন আমার দেশকে বলেন, মেধাবী ছাত্র জুবায়েরকে হত্যার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে। নাজমুল জুবায়ের হত্যা মামলায় এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন এবং এ মামলায় কারাগারেও ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি খালাস পেলেন আবার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েছেন।
যা বলছেন প্লাবন
জুবায়ের হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আমার দেশকে নাজমুল বলেন, ‘বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এটি এখন পুরোনো বিষয়। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’
ডেমরা জোনের এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শাশুড়ি ও নিজের নামে জমির দলিল করে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হোসেইন বলেন, ‘জমিটি আমার নামে ছিল। আমি আবার সেটি বিক্রি করে দিয়েছি।’ আপনি কীভাবে এ জমির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নথিপত্রের বিষয়। তাছাড়া আমার নামে এসিল্যান্ড অফিসে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই দপ্তরে এগুলোর নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। অভিযোগগুলোও খারিজ হয়ে গেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৬ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে